Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

রাজনৈতিক ভবিষ্যত সেরা ১০০ ( ২২-তম)- ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ

A great leader’s courage to fulfill his vision comes from passion, not position. —John Maxwell.

জন ম্যাক্সওয়েল এর এমন মতবাদ রাখার দৃষ্টান্ত হয়ে যেন ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আগামী দিনের জন্য বাংলাদেশের হয়ে লড়বেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল না। পারিবারিক রাজনীতির উত্তরসূরী হয়ে তিনি একাধিকবার করে সাংসদও হয়েছেন, তবে যুগশ্রেষ্ঠ নেতা পিতা আলতাফ গোলন্দাজের মত করে রাজনীতিকে প্যাশন হিসাবেই দেখেছেন পুত্র বাবেল। তাঁকে গণমুখী রাজনীতির আইডল হিসাবে ধরা হচ্ছে। কিন্তু ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গফরগাঁও তে যখন বাবেল অশ্রুসিক্ত নয়নে পিতার স্মৃতি আঁকড়ে রেখে রাজনীতি করতে যেয়ে বলেছিলেন, আমি খুবই সাধারণ—- তখনই ওই এলাকার জনশ্রেণি বুঝতে পেরেছিল, আমরা,  নেতা পুনরায় পেয়ে গিয়েছি।

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল যখন নেতৃত্বের প্রশ্নে মতবাদ দিলেন এবং বললেন, “I am nothing, but I must be everything.” একজন বাবেল যেন তা শুনতে পেলেন ! ধারণ করলেন।  তিনি তাঁর কাজ দিয়ে সবার মন জয় করে আগামীর বাংলাদেশে তাঁর জায়গাটা অতি উচ্চ পর্যায়ে থাকবে, তা বোঝানোর চেষ্টায় ফলত ব্রত আছেন।

 

ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ১৯৭৬ সালের ২৩ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কার্যত বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও  সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পিতা  আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ রাজনীতি করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে, অতি অবশ্যই বিশ্বনন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে।  আলতাফ হোসেন  গোলন্দাজ তিন বার করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফাহমীর মাতার নাম মাহফুজা গোলন্দাজ।

Leadership is the capacity to translate vision into reality. এমন মতবাদে ছিলেন ওয়ারেন বেনিস। ফাহমী গোলন্দাজের রাজনীতি নিয়ে অনুসন্ধানী হতে চাইলে, সত্যান্বেষী হতে চাইলে দেখা যায় যে, মানুষের স্বাপ্নিক বা কল্পনাগত আকাঙ্ক্ষাগুলোর বাস্তবতায় রুপ দিতে যেয়ে তিনি অদম্য সত্তা হয়ে পড়েছেন। তিনি দূরদৃষ্টি দিয়ে নিজের অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য মুলত সেরাটা তুলে রেখেছিলেন। এখানেই ফাহমীর আলাদা গুন, ভিন্ন নেতৃত্বের ক্যারিশ্মা ! ওয়ারেন বেনিস যেন তাই মত রেখেও বাজিমাৎ করলেন।

 

এদিকে ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং ১,৮৫,০৭৮ ভোট পেয়ে খেলাফত মজলিসের নুরুল ইসলাম খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিএনপি সহ বিরোধী দল সমূহ নির্বাচন বর্জন করায় আর কোন প্রার্থী ছিল না। দশম সংসদের মেয়াদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করছেন। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ সালে জেলা কাউন্সিল হলে ২০১৮ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার কমিটি অনুমোদিত হলে বাবেল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২,৮১,২৩০ ভোট পেয়ে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

 

ফাহমী, গফরগাঁও অঞ্চলের সব স্তরের মানুষের জন্য আদর্শ হয়ে পড়েছেন। নেপোলিয়ন যখন বলেছিলেন, A leader is a dealer in hope. একজন বাবেল যেন সেই নেতা, যাকে দ্বারা আশার বীজ বোপিত হয়— আর তেমন আশা অধিকার নিয়েই গফরগাঁও এর মানুষ তাঁর প্রয়াত বাবাকে নিয়ে করত, আজ তাঁকে নিয়ে !  তবে বাবেল যেন বলে ওঠে ওই এরিস্টটলের মত করে, “Choice, not chance, determines your destiny.”

উইনস্টন এস চার্চিল একদিন বললেন, “যখন ভিতরে কোন শত্রু থাকে না, তখন বাইরের শত্রুরা আপনাকে আঘাত করতে পারে না।” একজন বাবেলের ঘরে শত্রু আছে। তাঁরা চায় যে, তিনি যেন এই গ্রহেই আর না থাকেন। এমন শংকায় খোদ বাবেলও প্রায়শই উচ্চারণ করে বলেন যে, “আসলে ওরা কি চায় ? কেন একই তাঁবুতে থেকেও ওরা বিপথগামী ?ওরা কি সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগকে ভালবাসে ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ?”

এখানেই হয়তো প্রকৃতি বলে, সমাজের ওই দার্শনিক মতবাদ কে ধারণ করেই বাবেলের পথচলা নির্ধারিত হওয়া উচিত।  যেখানে  সেই বিখ্যাত উক্তি উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় ! কী সেটা ? “You manage things; you lead people.”

জেনারেল ডুইট বলেছিলেন, Leadership is the art of getting someone else to do something you want done because he wants to do it. একজন ফাহমী গোলন্দাজ হলেন, প্রকৃতিগতভাবে নেতা। তিনি রাজনীতির বাইরে যেতে পারবেন না। সততা, দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, চরিত্র ও দেশপ্রেম–এই পাঁচটি নেতৃত্বের মৌলিকগুন কে সঙ্গী করে তাঁর পথচলায় জনস্বার্থ উঁকি দিয়ে যাবে, তিনি একটি সড়কের আজন্ম পথিক হবেন, যেখানে মায়ের মতো সেই শেখ হাসিনাই রাস্তা দেখাবেন।

কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন,  The oppressed are allowed once every few years to decide which particular representatives of the oppressing class are to represent and repress them.

মানচিত্রভিত্তিক শাসন ব্যবস্থায় পুঁজিবাদী সমাজের শাসন ও শোষণকে রুখে দিয়ে তাই আজকের বিশ্বে গণতন্ত্র খুড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটলেও চলছে তো। ধীরে ধীরে কার্ল মার্ক্সের মতবাদ্গুলো ফিকে হয়ে আসছে। যদিও একশ্রেণির মানুষের কাছেই পুঁজি, ক্ষমতা রয়ে যাচ্ছে। তবু বাংলাদেশের মত দেশের সাংস্কৃতিক বাস্তুবতায় আওয়ামী লীগ ছোট্ট করে হলেও প্রকৃতির আলো হয়েই টিকে আছে। অন্যরা যেন নিয়ন আলোয় পুঁজিতন্ত্রের ধারক হয়ে বুটের শব্দে বলতে চায়, তোমাদের শাসন করবো !

একজন ফাহমী তাঁর মিষ্টি হাসি দিয়ে বলতে চায়, শাসনরীতির রঙ কি হবে ভবিষ্যতে জানি না, তবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর একজন শেখ হাসিনা, আমরা তাঁর জন্য বড়জোর সৈনিক হয়ে সেরাটা তুলে রেখে বলব, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো !

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন,  “রাষ্ট্র ও সরকারের সু সমন্বয় এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েমে শাসকশ্রেণির তৃতীয় চোখই একটি অঞ্চলের জনশ্রেণির ভাগ্য পরিবর্তনে যথেষ্ঠ। তেমন চোখের দৃষ্টি অনেকসময় ওই শাসকগোষ্ঠিকে তাৎক্ষনিকভাবে জনপ্রিয় করাবে না, কিন্তু সময় উত্তর দিয়ে তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব কে একদিন না একদিন স্বীকৃতি দেয়ার বন্দোবস্তে যাবে।”

 

ke/908/78

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close