Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

রাজনৈতিক ভবিষ্যত সেরা ১০০( ২৪-তম) – আহসানুল ইসলাম টিটু

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

সংসদীয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের নতুন করে পথচলা— হ্যাঁ, ১৯৯১ সাল থেকেই। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তখন দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।  রাজনৈতিক প্রতিরোধে যেন নতুন ধারা নিয়ে এলো। নয়া কৃষ্টি !  তখন, বিরোধী শিবিরের প্রতিবাদী রাজনীতির নামে হরতালকে প্রতিরোধ করার নতুন এক আদল।   রাজধানী ঢাকার একটি আসন থেকে এক রাজনৈতিক সত্তা নতুন করে যেন আলোচনায় এলেন। আর কেহ নন, তিনি প্রয়াত রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। 

পরনে পোলো শার্ট আর পায়ে কেডস চাপিয়ে মিছিলের নেতৃত্বে তিনি। প্রায়শই সকাল করে,  ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে হরতালমুক্ত মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডি— এমন স্লোগানে যেয়ে জননিরাপত্তায় থেকে মকবুল হোসেনের সেই উদ্যোগকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভুলে থাকা কঠিন। সেই মকবুল হোসেন আজ পৃথিবীতে নেই।

বৈশ্বিক মহামারি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ধর্মপ্রাণ মকবুলের চির প্রস্থান কে মেনে নেয়া কষ্টের। আওয়ামী লীগের সাবেক এই উপদেষ্টার রাজনৈতিক বোধ, সাহস ও প্রজ্ঞা কে সমীহ করার অযুত দিক থাকলেও তাঁকে কতটুকু ত্যাগী নেতা হিসাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তা নিয়ে কৌতূহলী জিজ্ঞাসায় সঁপে দেয়াই যায়।

একজন মকবুল হোসেন আঘাত পেয়েছিলেন রাজনীতি করতে যেয়ে, তা প্রচলিত ছিল। তিনি বলতেন, এক এগারোর কুশীলবরা যখন ধানমন্ডি- মোহাম্মদপুর থেকে দলীয় মনোনয়ন চায়, কষ্ট তো দেয়-ই।  প্রয়াত মকবুল হোসেন আরো কষ্ট পেয়েছিলেন, যখন তিনি তাঁর মেজো পুত্র মাসুদুর রহমান এর অকাল মৃত্যু পরখ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে তিনি জীবনকে উপভোগ করতে পেরেছিলেন। শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, হাসপাতাল করা এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যক্তি পর্যায়ে তাঁর ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ ও শিল্পনীতি তাঁকে পুনরায় ইতিহাসে দাঁড় করিয়েছিল। হ্যাঁ, তিনি দলের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে যান। আওয়ামী লীগ তাঁকে সম্মান জানাতে অবশেষে বাধ্য হয়! 

একজন মকবুল হোসেন এর সবচাইতে বড় সাফল্য হল, তিনি তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তানকে তাঁর মত করেই তৈরি করতে পেরেছিলেন। একাধারে সেই সন্তানের সাংসদ হয়ে পড়া। তথা, জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়া— তাঁর মত করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকি করার নেতৃত্ব, দেশের পুঁজিবাজারের ধরণ ও ব্যবস্থাপনা বোঝার অতি বোদ্ধা হওয়ার সব লক্ষন তাঁর সন্তানের মাঝে দেখে তিনি পুলকিত হন নাই, তা বলা যায় না। এখানেই মকবুল হোসেনের সার্থকতা। তবে আগামীদিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর সেই পুত্র আহসানুল ইসলাম টিটু এক্সপ্রেস কোথায় গিয়ে থামবেন, তা জানতে আর পারলেন না প্রয়াত রাজনীতিক মকবুল হোসেন। 

“Followers who tell the truth, and leaders who listen to it, are an unbeatable combination.”– ওয়ারেন বেনিসের বিখ্যাত মতবাদের আলোকে আহসানুল ইসলাম টিটুর রাজনৈতিক জীবন পার হচ্ছে, তা সাক্ষ্য দেয়। 

তিনি একজন বাংলাদেশি। তাঁকে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখা হয়।   তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত জীবনে এই পথচলাকে সিগ্ন্যাফিকেন্ট হিসাবে ধরে গবেষণা বলছে, টিটু যাবেন অনেক দূর। বাংলাদেশের  আর্থ -সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বলয়ে তাঁর ভুমিকা থাকবে বলে অনুমিত হয়।  রাষ্ট্র, সরকার ও নিজ দলের হয়ে তাঁকে কৃতি ব্যক্তিসত্তা হিসাবে ইতিহাসে জায়গা করে দেয়ার শক্ত যুক্তিসমুহ হাজির হয়ে জানান দিচ্ছে, জনস্বার্থে আহসানুল ইসলামের নামটিও বাংলার আকাশে নক্ষত্রের মত করেই। 

টিটু ১১ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  মাতার নাম গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ব্যাংককের অ্যাজাম্পসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। টিটুর ছোট ভাই মজিবুর রহমান পান্নাও একজন ব্যবসায়ী। 

টিটু শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যবসাতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদ পান। ১৯৯৫ সালে তিনি মনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি এন্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ৩০ মার্চ ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাউন্সিলর, ২৯ মার্চ ২০০১ পর্যন্ত ভাইস-চেয়ারম্যান, ১৬ মার্চ ২০১১ পর্যন্ত পরিচালক, ১৫ মার্চ ২০১২ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ২০১৩ সালের ১৫ জুন তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়ও তিনি বাংলাদেশ বীমা সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।টিটু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

রাজনীতি ও অর্থনীতির মিশেলে একটি সার্বজনীন দার্শনিক মত রয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে যে, “There is no longer any difference between the economic and the political, because the same language reigns in both, from one end to the other; a society therefore where the political economy, literally speaking, is finally fully realized.”

উপরিউক্ত দার্শনিক মত একজন আহসানুল ইসলামের জন্যও আদর্শ হয়ে দাঁড়ায়, যখন তিনি রাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্যক ধারণা নিয়ে রাজনীতি করতে উদ্যত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকেই বিপ্লব বলতে হবে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মত কালো দিবসকে প্রতিবিপ্লব বলতে হবে। কিন্তু, আজকের বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে দ্যুতিময় করে দেখতে চাইলে এই প্রজন্ম, নতুন প্রজন্ম কিংবা অনাগত প্রজন্মকে অর্থনৈতিক জ্ঞানমনস্ক হয়েই রাজনীতি করতে হবে। যা একজন আহসানুল ইসলাম টিটোর মধ্যে আছে। এখন,  রাজনৈতিক বিপ্লব করার কিছু নেই। বিবাদের রাজনীতি থেকে সরে যেতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ হচ্ছে, কোন দল কতটা দেশ নিয়ে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করতে পারছে ? জনশ্রেণির মাথা পিছু আয় কত থাকবে ? 

গবেষণা বলছে, যা করতে হবে, তা হল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রেখে অগ্রগামী এক বাংলাদেশ বৈশ্বিক আকাশে তারা হয়ে ফুটবে। অর্থাৎ আগামীদিনের বাংলাদেশ মেধাবী আহসানুল ইসলামদের কাছে। যেমনটি, বাংলাদেশের বর্তমান মেয়াদে (২০১৮—) অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন, চিরচেনা এক ব্যবসায়ী রাজনীতিক। অথচ তাঁর অর্থনৈতিক জ্ঞান বিশ্বমানের এবং তিনি প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন, পুরোদস্তুর অর্থনীতিবিদ না হয়েও রাষ্ট্রের কোষাধাক্ষ্য হওয়া যায় ! 

এদিকে টিটু কথা রেখেছেন। তেমন কথা,  বাবার প্রতি রেখে উচ্চারিত হয়নি বটে। কিন্তু, পারিবারিক রাজনীতির উত্তরসূরী হয়ে প্রয়াত বাবাকে বাঁচিয়ে রাখতে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখান থেকে দুস্থ ও গরীব এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি পেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে মানুষ হতে পারবে। একজন মকবুল জীবদ্দশায় বিভিন্ন হাসপাতাল, শিল্প প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু, এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিনই। তবে আহসানুল ইসলাম আদর্শ হয়ে বলতে চান, বাবার অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো নিয়ে মনোযোগি হলেও বাংলাদেশ উপকৃত হবে। পুরো বাংলাদেশকে যেমন সোনার বাংলা করতে চাইতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ঠিক তেমনি যেভাবে আজকের মহান নেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমিও বাবার জন্য লড়ে যাব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভেসে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাব।   

উল্লেখ্য,  সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেন ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ঢাবি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

তবে একজন আহসানুল ইসলামকেও প্রকৃতির মানুষ হতে হবে। সমাজের মানুষ তো হয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে জনপ্রতিনিধি হতে পেরেছেন। তবে এই সমাজের মানুষ হতে পারাটার মধ্যে ব্যবসা জীবনকে ছাপিয়ে রাজনৈতিক জীবনকেই আলিঙ্গন করতে হবে। নতুবা, লেখক নাসিম নিকোলাস তালেব এর বিখ্যাত উক্তি তাঁর ওপর বর্তাবে। যখন তিনি লিখে বললেন,  “We have this culture of financialization. People think they need to make money with their savings rather with their own business. So you end up with dentists who are more traders than dentists. A dentist should drill teeth and use whatever he does in the stock market for entertainment.”

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান শর্ত হল, নিজেকে পথ প্রদর্শক হিসাবে জাত চেনাতে পারার সক্ষমতা। কিন্তু, এই জাত চেনাতে যেয়ে রাজনীতিকেরা ছলের আশ্রয় নিয়ে প্রহসনে ব্যস্ত। তিনিই রাজনীতিক, যিনি অজনপ্রিয় হয়ে বিরাজ করলেও জনশ্রেণির সু-ভাগ্যের সন্ধানে ঝুঁকি নিতে সচেষ্ট হয়। 

ব্যক্তিগত জীবনে আহসানুল আরিয়া ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা সামাজিকভাবে সুখী দম্পতি হিসাবে আদৃত। ধর্মপরায়ন আহসানুল ইসলাম এর ধীরে কথা বলার অভ্যাস, বক্তব্য প্রদানে পরিমিতিবোধ, সততা, দূরদৃষ্টি, দক্ষতা ও দেশপ্রেম— তাঁকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রাখে।  

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হিসাবে একজন আহসানুল ইসলামের জায়গা তৈরি হয়েছে। অথচ, কার্ল মার্ক্স যখন সামাজিক ক্রমবিকাশের মুল চালিকা শক্তি হিসাবে পুঁজিবাদ কে দেখিয়ে বলেছিল, ‘তবু লড়াই চালিয়ে যেতে হবে শোষণের বিরুদ্ধে। শ্রেণি সংগ্রামের আয়োজনে তোমরা বিপ্লব করার প্রস্তুতিতে থাকবে।’ সেখানে বাংলাদেশের একজন আহসানুল ইসলাম পুঁজির ঘরে থেকেই জনকল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে  অদম্য সত্তায় ভর করে বলছে, নিরন্ন, মেহনতি , নগর ও পল্লীর জনমানুষের জন্যই অর্থনীতি কায়েমে ইতিবাচক ভুমিকা রেখে গোষ্ঠিগত ভাগ্যান্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। যেখানে সামাজিক ক্রমবিকাশে বারটাণ্ড রাসেল বলছেন, ক্ষমতাই সব। তখন, আহসানুল ইসলাম বলছেন, ‘ক্ষমতা কি না জানি না, সাধারণ একজন সেবক হয়ে সংসদে যেয়ে জাতীয় আইন প্রণয়নে ভুমিকা রাখার মধ্যে যদি ক্ষমতা প্রতিভাত হয়, তা সে বাংলাদেশের জন্য বার বার করে সাংসদ তবুও হতে চাইবো, কারণ, পাব্লিক ইন্টারেস্ট আমার কাছে বড়।’   

পারিবারিক রাজনীতির অনুশীলন দক্ষিন এশিয়ায় রয়েছে, রয়েছে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশেও। পূর্বসূরীদের ছাপিয়ে যেয়ে উত্তরসূরীরা আরো ভাল করেছে, এমন উদাহরণও রয়েছে। আহসানুল ইসলাম সঠিক কক্ষপথে রয়েছেন বলে গবেষণা দাবী করে। 

 

কে/ল-০৯৮

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close