নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েছিলেন সিদ্দিকুর রহমান । বাংলাদেশের সেরা এই গলফার সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া-আসরে । যা দেশের ইতিহাসে প্রথম । কিন্তু ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে সেই সিদ্দিকুরের অংশ নেয়া পড়ে গেছে অনিশ্চয়তার মুখে ।
বর্তমানে সাড়া বিশ্ব প্রাণঘাতী করোনা-ভাইরাসের আক্রমণে পর্যুদস্ত । বন্ধ সব ধরণের ঘরোয়া আর বৈশ্বিক খেলাধুলা । আগামী ২৪ জুলাই থেকে জাপানের টোকিওতে শুরু হবার কথা গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আসর । করোনা-ভাইরাসের কারণে সেই আসর বন্ধের নানা সুপারিশ এলেও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে নি । যেহেতু এখনও অলিম্পিকের সময় অনেকটা বাকী , তাই হয়ত বিশ্ব অলিম্পিক সংস্থা ‘আইওসি’ আর আয়োজক দেশ জাপান এখনও আশাবাদী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অলিম্পিক যথাসময়ে আয়োজনের ।
কিন্তু অলিম্পিক যথাসময়ে আয়োজিত হলেও বাংলাদেশের সেরা গলফার সিদ্দিকুর সম্ভবত সুযোগ পাবেন না টোকিও যাবার । আসলে প্রাণঘাতী করোনা-ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত গলফের সব টুর্নামেন্ট। বন্ধ র্যাংকিং টুর্নামেন্ট । সেই ক্ষেত্রে যদি নির্ধারিত সময়ে টোকিও অলিম্পিক গেমস শুরু হয়, তাহলে র্যাংকিং না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সিদ্দিকুর রহমান।
অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য র্যাংকিংয়ে যে অবস্থানে থাকা দরকার, সেখানে নেই সিদ্দিকুর। টুর্নামেন্টগুলো না খেলায় বাছাই পর্বের সুযোগও পাচ্ছেন না তিনি।
এই নিয়ে সিদ্দিকুর জানিয়েছেন , ‘ যদি নির্দিষ্ট সময়ে অলিম্পিক হয়, তাহলে এশিয়ান ট্যুর থেকে চার কিংবা পাঁচজন অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করবেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের মতো দেশের গলফাররা র্যাংকিংয়ে না থাকায় অলিম্পিকে খেলতে পারবেন না। ‘
অর্থাৎ সিদ্দিকুর নিজেই অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার আশা করছেন না । এই নিয়ে সিদ্দিকুর জানান , ‘ এটা অবশ্যই খুবই হতাশাজনক। খারাপ লাগছে। হোম কোর্সে যদি খেলতে পারতাম, সেখানে যদি টপ থ্রিতে থাকতে পারতাম, তাহলেও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ থাকত। আর এই অলিম্পিকে খেলার জন্য আমি প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। আমরা টিমওয়ার্ক করছিলাম। পরিস্থিতির জন্য এখন প্রস্তুতিটা বন্ধ রাখা হয়েছে। আর অবশ্য অলিম্পিকে খেলতে না পারলে খারাপ লাগবে। না খেলে বাদ পড়াটা খুবই হতাশাজনক। আমি যদি খেলে বাদ পড়তাম, তাহলে অন্তত বলতে পারতাম যে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন তো সেই সুযোগ পাচ্ছি না। আর গলফে তো ওয়াইল্ড কার্ডও নেই।’
নিজের সম্পর্কে সিদ্দিকুর জানান , ‘ বর্তমান পরিস্থিতিতে র্যাংকিং বিচারে টোকিও অলিম্পিকে আমার খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই । ‘
সিদ্দিকুরের কথা , ‘যদিও আমি র্যাঙ্কিংয়ে নেই। যারা র্যাঙ্কিংয়ে আছেন, তারা এই পরিস্থিতিতে টোকিওতে অলিম্পিক খেলতে যাবেন কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে কেউ যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাপান যাবে, তা আমি মনে করছি না। কারণ জাপানের অবস্থাও কিন্তু এখন ভালো নয়। বিশ্বের ১৬০ দেশে করোনাভাইরাস। যদি এই অবস্থা থাকে আর যদি নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক গড়ায়, তাহলে ক’জন খেলোয়াড় জাপানে যাবেন এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।’
সূত্র-ক্রীড়ালোক
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.