নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা মহামারীর বিপত্তি কাটিয়েও শেষ হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ক্লাব ফুটবল মৌসুম । সর্বশেষ জুভেন্টাসের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইটালিয়ান সিরি ‘এ’ । তাতে পূর্ণ হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমে ইউরোপিয়ান ঘরোয়া ফুটবল চক্র ।
ইউরোপের ঘরোয়া মৌসুম শেষে নানা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে , সাফল্য পাওয়া অনেক ক্লাব পুরো মৌসুম জুড়ে নির্ভরশীল ছিল তাদের ফরোয়ার্ডদের উপর । যেমন- জুভেন্টাসের টানা নবম ‘স্কুডেটো’ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর । আসরে ৩১ গোল করে রোনালদো ছিলেন দ্বিতীয় সেরা গোলদাতা । গোটা আসরে জুভেন্টাসের গোলের সংখ্যা ৭৬টি । শতকরা হিসেবে জুভেন্টাসের একচল্লিশ ভাগ গোল এসেছে সিআর-সেভেনের মাধ্যমে । যার মধ্যে ১২টি গোল রোনালদো করেছেন পেনাল্টি থেকে । আর বাকী সব ফিল্ড গোল ।
কিরো ইম্মোবিলে-
২০১৯-২০ মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের মালিক হয়েছেন ল্যাৎজিওর এই তারকা ফরোয়ার্ড । ১৪টি পেনাল্টিসহ তাঁর গোলের সংখ্যা ৩৬টি । সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ল্যাৎজিও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৭৯বার । আর ইম্মোবিলের অবদান তাতে ৪৬ ভাগ । ইম্মোবিলের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত চতুর্থ অবস্থানে থাকা ল্যাৎজিও জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ।
হাবীব দিয়ালো-
ফ্রেঞ্চ ক্লান মেইৎজের হয়ে নজর কেড়েছেন হাবীব দিয়ালো । করোনা মহামারীর কারণে মাঝপথেই বাতিল ঘোষণা করা হয় ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানের খেলা । সেই সময় পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পনেরোতম অবস্থানে ছিল মেইৎজ । দলের বাজে অবস্থার মধ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন সেনেগালের ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড দিয়ালো । দলের ২৭ গোলের মধ্যে ১২টি করেছেন তিনি । শতকরা বিচারে যা ইম্মোবিলের পরেই , ৪৪ ভাগ ।
ড্যানি ইংস-
জেমি ভার্ডি , পিয়েরে এমরে ওবামাইয়াং , সাদিও মানে আর মোহাম্মদ সালাহ কিংবা সার্জিও আগুয়েরোদের তুলনায় ড্যানি ইংসের তারকা খ্যাতি নেই বললেই চলে । অথচ সাউথহ্যাম্পটনের এই ফরোয়ার্ড ২২ গোল করে হয়েছেন আর্সেনালের ওবামাইয়াংয়ের সাথে যৌথ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা । মাত্র এক গোল বেশী করা লিচেস্টার সিটির জেমি ভার্ডি জিতেছেন ইপিএলের গোল্ডেন-বুট । কিন্তু সাউথহ্যাম্পটনের ড্যানি ইংস দলের ৫১ গোলের মধ্যে একাই করেছেন ২২টি । যা দলের মোট গোলের শতকরা ৪৩ ভাগ ।
রুয়ান হেনিংস-
বুন্দেস লীগা থেকে অবনমন ঘটেছে ডুসেলডর্ফের । ১৮ দলের আসরে তারা ছিল ১৭তম অবস্থানে । কিন্তু সেই দলেও জার্মানির ৩২ বছরের ফরোয়ার্ড রুয়ান ছিলেন অনন্য । দল যেখানে লীগের ৩৪ ম্যাচে মোট গোল করেছে ৩৬টি , সেখানে রুয়ানের গোল সংখ্যা ১৫টি । অর্থাৎ দলের ৪২ ভাগ গোল করেছেন তিনি একাই ।
উইসাম ভ্যান ইয়েডার-
পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পের সমান ১৮ গোল করেছেন মোনাকোর ভ্যান ইয়েডার । দলের শতকরা ৪৪ ভাগ গোল এসেছে এই ফরোয়ার্ডের মাধ্যমে । সাবেক সেভিয়া ফরোয়ার্ডের দল জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপা লীগে ।
পিয়েরে এমরিক ওবামাইয়াং-
গ্যাবনের ফরোয়ার্ড ওবামাইয়াং কিছুদিন আগেই আর্সেনালকে জিতিয়েছেন ইংলিশ এফএ কাপ । ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ২২ গোল করে তিনি হয়েছেন দ্বিতীয় সেরা গোলদাতা । যেখানে দলের গোলের সংখ্যা ছিল ৫৬টি । অর্থাৎ দলের মোট গোলের ৩৯ ভাগ এসেছে এই ফরোয়ার্ডের কল্যাণে ।
মুসা ডেম্বেলেঃ
মুসা ডেম্বেলে দুর্দান্ত ছিলেন ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানে । তাঁর দল অলিম্পিক লিও লীগ শেষ করেছে সপ্তম স্থানে থেকে । ইতোমধ্যে তাঁর দল খেলছে উইয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নক আউট পর্বে । লীগে লিওর গোলের সংখ্যা ৪২টি । যার মধ্যে ফ্রেঞ্চম্যান মুসার গোল ১৬টি । অর্থাৎ দলের মোট গোলের ৩৮ ভাগ করেছেন তিনি ।
ইয়াগো আসপাস-
সদ্য সমাপ্ত লা লীগায় সেল্টা ভিগোর পারফর্মেন্স ভাল ছিল না । ১৭তম অবস্থানে থেকে কোনমতে দলটি এড়িয়েছে অবনমন । কিন্তু দলের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইয়াগো আসপাস ছিলেন দুর্দান্ত । দলের ৩৭ গোলের মধ্যে ১৪টি করেছেন তিনি একা । ৩৩ বছর বয়সী আসপাস দলের মোট গোলের ৩৮ ভাগ করেছেন নিজে ।
রাউল গার্সিয়া-
এথলেটিক বিলবাওয়ের রাউল গার্সিয়া লা লীগায় গোল করেছেন ১৫টি । যা দলের মোট গোলের ৩৭ ভাগ ।
রবার্ট লেভেনডস্কিঃ
বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৩৪ গোল করেছেন রবার্ট লেভেন্ডস্কি । লীগে বায়ার্নের গোলের সংখ্যা ঠিক ১০০টি । সেই হিসেবে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা গোলদাতা দলের হয়ে ৩৪ ভাগ গোল করেছেন ।
উপরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে , আলোচিত ১০ খেলোয়াড় ছিলেন নিজ নিজ দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী । দলের ফলাফল যেমন হউক , তারা নিজেরা ছিলেন নিজ দায়িত্বে সফল । এদের মধ্যে লিওনেল মেসির নাম অবশ্যই আসছে না । যদিও ২৫ গোল করে তিনি জিতেছেন লা লীগার ‘পিচিচি’ কিন্তু দলের মোট গোলের মাত্র ২১.৫ ভাগ এসেছে মেসির কাছ থেকে ।
সূত্র/ক্রীড়ালোক
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.