নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারাদেশ জুড়ে এখন একটাই আলোচনা । আর সেটা হল , দেশের বিভিন্ন বড় বড় আর নামীদামী ক্লাবে ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসা । গত সপ্তাহের বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী । যেখান থেকে উঠে আসে ভয়াবহ সব চিত্র । উদ্ধার হয় কোটি কোটি জুয়ার টাকা । গ্রেফতার হয় ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট হোমরা-চোমড়ারা । যারা আবার কিনা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত ।
সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবে চালানো হয় সাঁড়াশি অভিযান । তাতে ফকিরাপুল , ওয়ান্ডারার্স , আরামবাগ , কলাবাগান এমনকি মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের মত ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের ভেতরেও পাওয়া যায় ক্যাসিনো আর জুয়া খেলার অস্তিত্ব । উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা । গ্রেফতার হয় ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই । যাদের মধ্যে আছেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভুঁইয়াও । যিনি আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) আছেন পরিচালক হিসেবে ।
বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়ার বাড়ীতে পাওয়া গেছে অবৈধ বিদেশী মদ । পাওয়া গেছে বিদেশী ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল টাকার সন্ধান , যার পরিমান আনুমানিক প্রায় ৪১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারের পর এই মুহূর্তে জেল হাজতে আছেন লোকমান হোসেন । তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান ।
এদিকে লোকমান হোসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত । দীর্ঘদিনের বন্ধু লোকমান ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লোকমান হোসেন স্বীকার করেছেন , তিনি নিজে ক্যাসিনো চালাতেন না । তবে দৈনিক ৭০ হাজার টাকা ভাড়ায় মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন ক্যাসিনো চালাবার জন্য । আর সেই টাকা তিনি ক্লাবের পেছনে খরচ করেন নি । যে কারণে তার সময়ে মোহামেডান ক্লাবের পতন ছিল লক্ষণীয় । ২০০২ সালে ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন লোকমান হোসেন ভুঁইয়া । তারপর থেকেই এক সময়ে দেশের সেরা ক্লাব মোহামেডান পরিনত হয় অতি সাধারণ এক দলে ।
বন্ধু লোকমান হোসেন ভুঁইয়া সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন , ‘ ‘আমি যে লোকমানকে চিনি সে জীবনে মদ খায়নি। সে জীবনে কোনো দিন জুয়া খেলেনি। এটা যেমন সত্যি, আবার এটাও সত্যি যে সে ক্যাসিনো ভাড়া দিয়েছে। এখানে অস্বীকার করার তো কোনো উপায় নেই। সে যদি করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমরা তাকে যেভাবে চিনি এবং জানি, সেটাই বললাম। এখন প্রমাণিত হওয়ার আগে তো আমরা কিছু বলতে পারছি না যে আসলে ঘটনাটা কী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, দেশে আইন আছে। তারা আগে দেখুক, বুঝুক। যে দোষ করেছে তার শাস্তি হবে, এটি নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই।’
যদিও মোহামেডান ক্লাবের অনেক সাবেক খেলোয়াড় প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন লোকমানের বিরুদ্ধে । সাবেক ফুটবলার ও ম্যানেজার ইমতিয়াজ সুলতান জনি জানিয়েছেন , ‘ এটা খুব কষ্টের একটা সংবাদ । আমরা ১৫ বছর আগেই বলেছিলাম, লোকমানদের হাতে ক্লাব ভালো করতে পারবে না। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। ‘
আরেক তারকা ফুটবলার বাদল রায় জানিয়েছেন , ‘ লোকমানরা কখনও ক্লাব কিংবা খেলাধুলাকে ভালবাসে নি । তারা খেলাধুলাকে নিজেদের ব্যবসার পুঁজি বানিয়েছে আর আখের গুছিয়েছে । ‘
সূত্র-ক্রীড়ালোক
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.