Blog

বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা দাবিদার কামরুল হাসান নাসিমের অনুসারীদের ওপর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়ে ইতোমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন কামরুল হাসান নাসিম। সেই বিবৃতিতে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অপশক্তি হিসাবে তারেকের বিএনপির পতন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, দলের পুনর্গঠন করা হবে। যে কোনো বিনিময়ে। আমি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আমার ও আমাদের এই উদ্যোগের পাশে থাকার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে সকল দল বলুক এই বিএনপিকে- তোমরা জনস্বার্থের রাজনীতি কর, নতুবা নিধন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হও।’

এর আগে শনিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালতের সাত বছর পূর্তিতে বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিমের অনুসারীরা মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি ফকিরাপুল মোড় থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় কড়াই গোস্ত রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে মুহূর্তেই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

ধাওয়ার সময় কয়েকজনের হাতে লাঠি দেখা যায়। সেই সঙ্গে তাদের হাতে মিছিলকারী কয়েকজন মারধরের শিকারও হন। এছাড়া ওই ঘটনার সময় ছয়জন অনুসারীকে আটকের অভিযোগ করেছেন কামরুল হাসান নাসিম।

২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি কামরুল হাসান নাসিম বিএনপির পুনর্গঠন দাবি করে আলোচনায় আসেন। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসান তিনি। সেখানে তিনি বিএনপির পাঁচটি ‘অসুখের’ কথা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- দলের দুই নেতা (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) দল পরিচালনায় ব্যর্থ, জাতীয়তাবাদী দল থেকে জামায়াতবাদী দলে পরিণত হওয়া, জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি করা হচ্ছে না, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরতা এবং নাশকতাকে রাজনীতির হাতিয়ার করা।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তখন নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আদালত বসানোর ঘোষণাও দেন কামরুল হাসান নাসিম। কিন্তু পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসাতে ব্যর্থ হন তিনি। প্রতিবারই নাসিমের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে, শনিবারের ঘটনার পর গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতে নাসিম বলেছেন, ‘জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসানোর ৭ বছর পূর্তি হল। যে পাঁচটি অসুখ বিএনপির ছিল, তা সারানো যায়নি। সঙ্গত কারণে, পুনর্গঠনের দাবিতে নয়াপল্টন অভিমুখে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী সৈনিকেরা গিয়ে বলেছে, হ্যাঁ, এখানেই বসবে জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত। কিন্তু বরাবরের মতো তারা হায়েনার মতো করে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৩ জনকে গুরুতর আহত করেছে। ছয়জন কর্মীকে তারা বন্দি করেছে। যা উদ্বেগের বিষয়।’

এছাড়াও বিবৃতিতে আগামী ২৯ নভেম্বর আবারও তার অনুসারীরা নয়াপল্টনে যাবে বলেও জানিয়েছেন কামরুল হাসান নাসিম।

সুত্রঃ ঢাকা মেইল 

লিঙ্কঃ https://dhakamail.com/politics/53066?fbclid=IwAR0feejBIQ6596LdYh4–Vz6MyndW7xIVneFsmBD741gvGbw59rJ4an_mpQ