News

Congue iure curabitur incididunt consequat

বিএনপি কী জগাখিচুরি লাইন ছাড়বে?

কেএইচএন ডেস্কঃ 
বিএনপি নামের দলটি নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক অযোগ্যতায় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ সরকারের নানামুখী ব্যর্থতাতেও দলটি সরব হতে পারছেনা। ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দলটির এই বেহাল দশা৷ নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় এ ব্যর্থতা যেন তাদের নয় সরকারের৷ সরকার যেন চামচ দিয়ে তাদেরকে আন্দোলন খাইয়ে দেবে! মূল বিএনপি দাবীদার একটি অংশ বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপি পুনর্গঠনের দাবি তুলছে৷ তারা প্রশ্ন তুলছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের অযোগ্যতা নিয়ে ও খালেদা জিয়ার বার্ধক্যতা নিয়ে। তারা বলছেন, তারেক রহমানের যোগ্যতা নেই, খালেদা জিয়ার অবসরে যাওয়া উচিত’
 
বিএনপি পুনর্গঠনের কথিত উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম বলছেন, তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে তাই তার এখন অবসরে যাওয়া উচিত। রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের এখন দেশে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিৎ। জামায়াতসহ দুষ্ট দলগুলোর সঙ্গ ছেড়ে বিএনপিকে তার সাথে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান তিনি৷ কে এই কামরুল হাসান নাসিম সেটা না খুঁজে তিনি যে কথাগুলো বললেন সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা যাক৷ বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবী ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও কিছুদিন আগে বলেছিলেন, তারেক রহমানের রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়াশোনা করা উচিত৷ তারেক রহমানের কানে কি এসব মন্তব্য পৌঁছোয়? তিনি থাকছেন লন্ডনে দল চালান বাংলাদেশে৷ নিজে ফেরারী আসামী আবার বলেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা৷ জোর গলায় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন আবার গাঁটছড়া বাঁধেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের সাথে৷ রাখেন জঙ্গী কানেকশন৷
 
লন্ডনে নেতাকর্মীদের মেজর জিয়াউর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বিপদ দেখলে বিপদের মাঝখানে ঢুকে যেতে হয়৷ পালিয়ে গেলে হবেনা৷ কিন্তু নিজে কি বিপদের মাঝখানে ঢুকতে বাংলাদেশে আসবেন? তিনি নিজে কেন পালিয়ে আছেন? তিনি কি দেশের টানে দলীয় নেতাকর্মীদের টানে দেশে আসার রিস্ক নেবেন?জিয়াউর রহমানের বিপদ তত্ত্বটি মানবেন? নাকি কেবল বিদেশে বসে বসে নতুন নতুন বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব দিতেই থাকবেন? তিনি জিয়াউর রহমানকে প্রথম প্রেসিডেন্ট ও জাতির পিতাও বলছেন৷ এসব বলাতে কি দলের কোন লাভ হলো? স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সাথে দহরম মহরমে বিএনপির কি রাজনৈতিক কোন ফায়দা হল? ধর্মান্ধ ধর্মবেনিয়াদের সাথে দহরম মহরমে কী কোন ফায়দা হল দলটির? এসব সম্পর্কে দলটি রাজনীতির ইতিবাচক ধারা থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হল৷ স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর হিসেবে মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করল৷ দলটির সাংগঠনিক নেতৃত্বযোগ্যতা এখন শূন্যের কোটায়৷ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা ব্যর্থতাতেও তারা তাদের সাংগঠনিক যোগ্যতা ও নেতৃত্বের দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারলোনা৷ মানুষ আজ আওয়ামীলীগে ত্যক্ত বিরক্ত হয়েও বিএনপি মুখী হচ্ছেনা৷ এর দায় কি বিএনপির সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের অযোগ্যতা নয়?
 
মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, ডান বামের সংমিশ্রনে এক জগাখিচুরি মার্কা সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছিল বিএনপি নামের দলটি৷ জিয়ার মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেয়েছে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক মতাদর্শী, স্বাধীনতাবিরোধী মতাদর্শী, বাম মতাদর্শী, মুক্তিযুদ্ধ মতাদর্শী৷ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ক্ষমতাতোষণ ও এর স্বাদ নিতেই মূলত এমন বহুমতাদর্শীর একত্র সম্মিলন৷ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকলে কে যেতো তার ডাকে? কই এখনতো এমন আগমনের ঘটনা ঘটছেনা। বিএনপিতে কে যোগ দিচ্ছে এখন? জিয়ার শাসনামলে যেসব চরম বামনেতা চরম পন্থার অভিযোগে কারাগারে ছিল৷ তাদেরকেও বিএনপিতে যোগদান করার শর্তে মুক্তি দিয়ে দেয়া হল৷ দলে দলে কারামুক্ত হয়ে জিয়ার খালকাটা কর্মসূচিতে যোগ দিলো তারা৷ বিএনপিতে আরও এলো এন্টি আওয়ামীলীগ ও এন্টি মুজিব মতাদর্শীরা৷
 
ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা৷ জিয়া সরকার হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে দিল৷ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবেনা এই চরম অমানবিক তত্ত্বকেও সমর্থন দিলো৷ এটা কি আইন ও বিচারের শাসনের চরম বিরোধিতা নয়? একটা হত্যার বিচার করা যাবেনা কোন সভ্য মানুষ কি তা বলতে পারে? আসলে ক্ষমতার সংস্পর্শ যে মানুষের কাণ্ডজ্ঞান ও বিবেককে বিলুপ্ত করে দেয় এটা তারই একটি নজীর৷ বিএনপি তৎকালীন ক্ষমতাসঙ্গে এমনটিই করেছিল৷ জিয়ার শাসনামলে বড় নিরাপদে ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনী মুশতাক৷ বড় আরামে ছিল মেজর ডালিম, কর্নেল ফারুক, কর্নেল বজলুল হুদাসহ সকলেই৷ খুনীদের ফ্রিডম পার্টি নামের দলটিও সক্রিয় ছিল৷ তারা প্রকাশ্যেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকে নিয়ে গর্ব করতো৷ বঙ্গবন্ধু হত্যাকে বলতো পঞ্চম বাহিনী উৎখাত৷
 
বিএনপি কি পারবে এসব ভ্রান্তি ও অনৈতিকতা হতে ফিরে আসতে? পারবে কি প্রতিহিংসার বিরোধীপক্ষতা হতে ফিরে আসতে? পারবে কি জামাত সহ যুদ্ধাপরাধী সঙ্গ ত্যাগ করতে?ব্রাহ্মনবাড়িয়ার দুই বিএনপি এমপি ও জামাত ইন্ধনে করোনাকালে ২০ দলীয় জোটের এক নেতার জানাযায় লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হল৷ এতে বিএনপির কী রাজনৈতিক কোন লাভ হল? সরকার বলছে করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব৷ তাই তারা এটির বিরোধিতা করলো৷ এই গণবিরোধী বিরোধিতার জন্য কি সংশ্লিষ্টদের গণবিরোধিতাকে আরও বাড়তে দিলোনা? এতে কি হুমকিতে পড়লোনা জনস্বাস্থ্য ও বাড়লোনা করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি? বিএনপির দুই এমপি কী বুঝে ও কী উদ্দেশ্যে এমন একটি কাজে প্রণোদনা দিল৷ তাদের বুঝ ও উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা কি তারা দিতে পারবে? বিএনপির উচিত এসব ভুল সঙ্গ, ভুল পথ ও জগাখিচুরি লাইন ত্যাগ করা৷ উচিত প্রতিহিংসার পথ অবলম্বনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবেনা তত্ত্বের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা৷ উচিত জগাখিচুরী মার্কা নেতৃত্বের ছাউনি হতে ফিরে আসা৷
বি. দ্রঃ বিএনপি কী জগাখিচুরি লাইন ছাড়বে?- শিরোনামে চ্যানেল আই অনলাইনে ২৩ মে,  ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। 
আএ/ ০০৮

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close