কেএইচএন কৃষ্টি ও সংবাদঃ
স্ক্রিপ্ট, সমাজে টিকে থাকার প্রধান ব্যবসায়িক অস্ত্র। সাংস্কৃতিক পাড়ায় ‘স্ক্রিপ্ট’ অনিবার্য চাহিদার মধ্যে আছে বলে মত সবার। কিন্তু, স্ক্রিপ্টের ওপরে ধর্মগুলোরও ব্যবসা।
এদিকে, এমন কি একজন গ্রোসারি শপ কিপারও বলছে, “আ-রে ভাই বোঝেন না, লক ডাউন চলছে, জিনিষপত্র আনতে ডাবল খরচ হচ্ছে। তাই দাম বাড়তি। অথচ, যে জিনিষের দাম বাড়তি তখন যে লক ডাউন ছিল না, এমন সময়েই তিনি ওই পণ্য এনেছিলেন। এভাবেই সকলের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ব্যবসা করার স্টাইল। স্ক্রিপ্টের বাইরে কিছু নেই।
ধর্মীয় কিতাবগুলোকেও তাই বুদ্ধিমান গোত্রের মানুষ বলছে, “ও সব স্ক্রিপ্ট, আমাদের কে বুঝিয়ে লাভ নেই ! তাঁরা এও বলছে, আরে ধুর ! জিসাস ক্রাইস্ট বলে আকাশ থেকে নেমে কখনই কেহ কুমারীর গর্ভে আসেনি। ওই বেটারে তো আমরা খুজছি ! মোস্ট ওয়ান্টেড ! তিনি কবে আসবেন ? সব স্ক্রিপ্ট — সব স্ক্রিপ্ট !”
ঈশ্বরমিত্র বলছেন, ” লিপি দ্বারা ফিকশন তৈরি করার মধ্যেই নির্মাতাদের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তু, মানুষ যেমন অপরাধচিত্রের চিত্রনাট্য দেখতে দেখতে একদিন নিজেরাও প্রভাবিত হয়ে পড়ে। তখন মানুষ অভিনেতা ও পরিচলক হতে চাইছে, হয়ে পড়ে। যখন সেখানে তাঁদের স্বার্থ ও অর্থ নিশ্চিত হয়। তবে, তা আধুনিক কালেই এমনটি হচ্ছে।” যখন ধর্মীয় কিতাবগুলো এসেছিল, তখন আসলে কি হয়েছিল ?
তখন ঈশ্বরমিত্র সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, “এই গ্রহে অলৌকিক প্রেক্ষাপটের ক্ষেত্র কখনই প্রস্তুত হয়নি। তবে, স্রষ্টাকে খুঁজতে যেয়ে তাঁরা স্ক্রিপ্ট লিখতে বসে এবং মৌখিক ধারাভাষ্যে যেয়ে মানুষকে বোকা বানাতে রুপকথার গল্প বলতে আরম্ভ করে। গ্রীস এবং আরবে সত্যিকারের কিছু লেখকশ্রেণি, দার্শনিক ও চিত্রশিল্পীরা তাঁদের শরীরে ঈশ্বরকে জায়গা দিতে পেরেছিল। তখন তাঁরা সত্যিটা বলে গেলেও বা কর্ম রেখে গেলেও তাঁরা শাসকশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে চায় নি। ফলে আধ্যাত্মিক অপশক্তি অনেক কেই বললেন, তোমরা দুনিয়াতে বাদশাহ হও আর স্ক্রিপ্ট তৈরি করে মানুষকে বোকা বানাও। হলও তাই।”
প্রশ্ন হল, ঈশ্বর কি মানব শরীরে আসে ? ঈশ্বরমিত্রের জবাব, মন খারাপ করবে না পুরুষ গোত্রেরা। তুমি( পুরুষ) স্পেশাল ওয়ান হলে আসে, কিন্তু প্রতি মাসে নারী মানবদেহে তিনি আসবেনই। অথচ, সে সময় তোমরা( পুরুষ) তাঁদের সাথে কথা বলছো না, দূরে থাকছো, স্পর্শও করছো না। কিন্তু, মানসিক আদর( শারীরিক নয়) করতে হয় তখন, যখন নারী জাতি প্রত্যেক মাসে শরীর খারাপ বলে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখে। অন্যদিকে, ঈশ্বর তখনই আসে, যখন কোন ইতিবাচক সহবাসের চূড়ান্ত পর্যায়ে তোমরা রয়েছো। অথচ, ‘কাম’ ও ‘সন্তুষ্টি’ তোমার ঈশ্বর দর্শনের অন্তরায়।”
ভোরের পাখিরা তখন পুনরায় প্রশ্ন রেখেছে। ঈশ্বরমিত্র বললেন, না, না, না। ‘ব্রহ্মচর্য’ কে সমর্থন করিনি। কারণ, এই গোত্রের সাধকদের কিছুটা জানাশোনা থাকলেও তাঁরা সমাধানপ্রসূত সিদ্ধান্তে সিক্ত হতে পারেন নি। বরং, কামের ফাঁদের হুশিয়ারী দিয়েও তাঁরা নিজেরাও প্রতারকশ্রেণির মত করে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তাঁরা বৈষ্টমী খুঁজেছে। তাঁরা অধিকাংশ শাসক পর্যায়ের ধর্মওয়ালাদের মত করে বহু নিকাহ কিংবা দাসী ও রক্ষিতা রাখার প্রতি উদারতায় থাকার মত করে বলছে, কামের ফাঁদে পড় না। ব্রম্মচর্যবাদীদের মন ও ধর্মেও স্ক্রিপ্ট !
তখন, প্রকৃতি বলে, আমায় কথিত ভালবেসে লাভ নেই, আমি যদি ভালবাসি তোমায়— তখনই কেবল পরিবর্তনের কেতন উড়ে। কিন্তু কেন আমাকে তোমরা দেখতে চাইলে না ? কেন গভীর নিশিতে একাকিত্বে যেয়ে আমাকেও আমার সৃষ্টিই দেখে সময় পার করতে হল ? কেন, সারারাত আলাপে থেকে চাঁদের বিদায় দিয়ে সূর্যস্নানে ভেসে যেয়ে বলতে পারলে না, শুভ সকাল !
কে এইচ এন / কৃ/৮৭৬
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.