Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

গবেষণায় দেশসেরা ১০০ রাজনৈতিক নেতার নাম

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

গবেষণাধর্মী নয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কেএইচএন রিসার্চ টিম তাঁদের  দুইটি নতুন গবেষণা প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় রয়েছে।   একটি গবেষণার সার সংক্ষেপ হল, বাংলাদেশের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ঘিরে একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকবর্গের নামের তালিকা প্রকাশ। অন্যটি হল, বাংলাদেশের সর্বযুগের সেরা একশত কিংবদন্তীতুল্য রাজনীতিক বর্গের নামের তালিকা প্রকাশ করা। নামের তালিকা প্রকাশকরত প্রত্যেক রাজনৈতিক সত্তাসমূহের  জীবন বৃত্তান্ত এবং কর্ম তুলে ধরার প্রয়াসে থাকা হচ্ছে।  ঠিক এই মুহূর্তের বাংলাদেশ থেকে আগামী দিনের জন্য কার্যকরী  ভুমিকায় দেশ বিনির্মাণে প্রত্যাশিত একশত জন রাজনীতিকের( ২০৪০ জনের মধ্যে)  নাম তুলে ধরা হচ্ছে। যাদেরকে নিয়ে আশা করাই যায়। যাদের মূল্যায়ন করতে যেয়ে সততা, মেধা বা দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক গুন এবং জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তাঁদের ভুমিকাকে বড় করে দেখে পয়েন্ট বা স্কোর করবার মধ্য দিয়ে এই আলোচিত একশ’তে জায়গা পেতে হয়েছে। অন্যটিতে ইতিহাসের সেরা রাজনীতিকেরা নানা গবেষণায় জায়গা নিচ্ছেন।

এদিকে  বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির চাহিদা বাড়বেই। এখন যদি প্রশ্নটা করা যায় যে, বাংলাদেশের আগামীদিনের রাজনীতিতে কোন কোন দলের প্রভাব থাকবে ? আওয়ামী লীগ, বিএনপি,  জাতীয় পার্টি, বাম বলয় নাকি আস্তিক শক্তির কাছে, অথবা, বাঁকা রাস্তায় চলে আসা কোনো অশুভ শক্তির কাছে ? তাঁদের সৃষ্ট নতুন কোন দলের কাছে ? যাই-ই হোক,  সব ধারার কাছেই বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি ও মেধার অনুরণনে বিকশিত রাজনীতিক থাকা চাই, চাই-ই ! তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজকের যুগে যেভাবে বিনা উদ্বিগ্নে সেই ধারার রাজনীতির সূচনাটা করতে পারছে, অন্যরা সেভাবে পারছে না। তেমন ধারাবাহিকতায় গবেষণা টিম দাবী করছে, আওয়ামী লীগের হয়ে প্রায় ছয়টি রিসার্চ টিম রয়েছে, যেখানে তাঁদের প্রবল প্রতিপক্ষের কাছে সেরা পর্যায়ে মাত্র দুইটি। আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবেই। ধারণা করা হয়, ২০৩০ সালের পর হতে এই বাংলাদেশে বড় বড় সভা মঞ্চ বানিয়ে চলবে কিনা সন্দেহ আছে। স্ট্রিট শো কিংবা অতি কালারফুল কিছু রিয়েলিটি শো’র মত করে রাজনৈতিক কর্মসূচী চলতে পারে। মোদ্দকথা, সব ক্ষেত্রেই গুনগত পরিবর্তন আসতে পারে। সেটার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে চলতে পারে সংসদে বিভিন্ন পক্ষীয় মোকাবেলাকরত ভাষণযুদ্ধ এবং নীতি প্রণয়নে রাতভোর পার করে পরামর্শকদের রাজনীতি।

 

এই প্রসঙ্গেই চলতি বছরের ২ জুন ২০২০ তারিখ কেএইচএন রিসার্চ টিম এর অভিভাবক সংস্থা বা দাফতরিক পরিদপ্তর কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে যে, তাঁরা এমন উদ্যোগে যাবে। ইতোমধ্যে দুইটি গবেষণার পৃথক পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হয়েছে। যা ধাপে ধাপে প্রকাশ করা চলছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে যে, এখন থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য যে ১০০ জন রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন তার মধ্য হতে ১০০ থেকে ৮৬ সিরিয়াল পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা যথাক্রমে হলেন,

১০০

রেজা কিবরিয়া

৯৯

ইকবালুর রহিম

৯৮

শামীম হায়দার পাটোয়ারী

৯৭

নুরজাহান বেগম মুক্তা

৯৬

জোনায়েদ সাকি

৯৫

তাবিথ আউয়াল

৯৪

মাশরাফি বিন মরতুজা

৯৩

সৈয়দ এহসানুল হুদা

৯২

আসাদুজ্জামান নূর

৯১

শামসুজ্জামান দুদু

৯০

নিজাম উদ্দীন জলিল 

৮৯

নাইমুর রহমান দুর্জয়

৮৮

শামা ওবায়েদ 

৮৭ 

শারুন চৌধুরী 

৮৬ 

আরিফুর রহমান দোলন 

 

পূর্ববর্তী চারটি প্রতিবেদন পড়তে নীচের  লিংকগুলোতে ক্লিক করুন। 

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ; গবেষণায় একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক বর্গের নাম( প্রথম ধাপ)

শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক ১০০, জায়গা পেলেন যারা

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, সেরা ১০০-তে যারা

সর্বযুগের সেরা একশত রাজনীতিক ( প্রথম ধাপ)

 

আজ ৩০ আগস্ট ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত ঘিরে ৮৫ থেকে ৮১ নং পর্যন্ত দেশের সেরা অন্যতম পাঁচজন রাজনীতিকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হল। 

 

৮৫

আজিজুস সামাদ ডন 

 

 

তাঁর বয়স বাড়লো কিন্তু কদর হল না। হ্যাঁ, রাজনীতিতে। ইচ্ছে ছিল, বাবার মত করে সংসদ কাঁপানোর। বিধি, নাকি নিজের দল সহায় হল না– এই প্রশ্ন খোদ তাঁর নিজের এলাকার মানুষের। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের অনেক মানুষেরই  জিজ্ঞাসা, ডন হলেন সেই অবহেলিত রাজনৈতিক উত্তরাধিকার, যাকে একটিবারের জন্য হলেও মহান জাতীয় সংসদে পাঠানোর দরকার ছিল। প্রতিবারই নির্বাচনের সময়ে জোর গুঞ্জন, এবার আজিজুস সামাদ ডনই মনোনয়ন পাচ্ছেন। নৌকার টিকিট পাচ্ছেন ! কিন্তু, শেষমেশ তা আর হয়ে উঠছে না। ব্যাটে বলে কোথায় যেন সংযোগের অভাব। মন খারাপ করে ডন তাই উক্তি করে, দেখা যাক, পরের বার !

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আব্দুস সামাদ আজাদ বরেণ্য এক নাম। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, দুইজনার সাথেই রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার মত সেই জ্যেষ্ঠ নেতা, যাকে উদাহরণ হিসাবে রাখাই যায় ইতিহাসের পাতায়। কারণ, দুই প্রজন্মের দুই প্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি করতে পারাটাই একটা ইতিহাস। সেটা আব্দুস সামাদ আজাদ করে দেখিয়েছিলেন। চাচা হয়েই আগলিয়ে রেখেছিলেন শেখ হাসিনাকে। তখন শেখ হাসিনা আজকের মত এতটা পরিণত রাজনৈতিক সত্তাও ছিলেন না। অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি আজ বিশ্বমানের নেতৃত্ব। সেই আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পারিবারিক পুরস্কার মিলবার কথা, আর তা পুত্র ডনের । কিন্তু, কোথায় যেন একটা সমস্যা আছে। সাংসদ হতে পারলেন না আজিজুস সামাদ ডন।

ডন মিষ্টভাষী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এক রাজনৈতিক সত্তা। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাধ্যম কখনই তাঁর সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরিতে যেতে পারেনি । ক্লিন ইমেজের সাথে উচ্চতা, গলার কণ্ঠ, নেতৃত্ব, সাংগঠনিক ক্ষমতা— সব কিছু থেকেও ‘ডন’ পারেন নি। একদিকে সাংসদ না হতে পারার ব্যর্থতা, অন্যদিকে নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় রাজনীতিতে ভিন্ন ধারার রাজনীতি সামনে এনে নিজেকে জাত রাজনীতিক হিসাবেও চেনাতে পারেন নি। যা তাঁর সামর্থ্যে ছিল।

সাদামাটা ও সরল এই মানুষটির মধ্যে মেধা  আছে, আছে দেশকে দেয়ার মত নানা দিক। রাজনৈতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ কোনো জাতীয় নেতাকে হারিয়ে ফেললে, কোন না কোন ভাবে পারিবারিক রাজনৈতিক উত্তরসূরীর কাছেই আঞ্চলিক রাজনীতির দায়িত্ব সঁপে দেয়। ডনের বেলায় তা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, একজন রাজনীতিকের শুধুমাত্র সাংসদ হওয়াটাই বড় কিছু হয়ে উঠতে পারে না। একজন ডন তাই আওয়ামী লীগের হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির হাতিয়ার হয়েই মুলধারার রাজনীতির ‘আদর্শ’ হয়ে উঠুক।

নিজ দলের হয়ে যুক্তি, মত প্রদান করে আজিজুস সামাদ ডন বিবেক শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারে একজন সৈনিক হয়ে আগামীতে লড়ুক। রিসার্চ টিম দাবী করছে, তিনি এখনো সম্ভাবনার দিক দিয়ে অনেক প্রতিভাধর রাজনীতিকদের চেয়ে সু অবস্থানে থাকার মতই সত্তা। সে কারণেই তিনি দেশসেরা রাজনীতিক হিসাবে স্থানও করে নিয়েছেন। যাকে ঘিরে অতি অবশ্যই বাজি রাখতে পারে আওয়ামী লীগ, রাখতে পারে লাল সবুজের বাংলাদেশ !

 

৮৪ 

এ বি এম আনিছুজ্জামান

এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিস, ভাগ্য সহায় হলে সংসদীয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় চলমান শাসনরীতিতে থাকার কথা ছিল জাতীয় সংসদে। কিন্তু, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল অঞ্চলের মেয়র হয়েই বলছেন, জনপ্রিয়তা আমার ছিল এবং আছে।

 

২০১৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ মেয়র এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ মেয়রের সম্মাননা নিয়েও ২০২১ সালের নির্বাচনে আনিছুজ্জামানকে পুনরায় ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে বিজয়ী হতে হয়েছে। যেখানে তাঁর সবচেয়ে বড় সম্বল হল, গণমুখী বিচরণ ও এলাকার উন্নয়ন। তবে ত্রিশাল এলাকার অধিকাংশের দাবী, তিনি মুলত গরীবের বন্ধু।

আনিছুজ্জামান ফলত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুরণিত হয়ে একজন শেখ হাসিনার সৈনিক হয়েই রাজনীতি করতে চান। কিন্তু, সূত্রমতে একই দলের শক্তিশালী বিরোধী শিবির তাঁর রাজনৈতিক পথচলায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুখতে চায়। তবুও গেল এক যুগ ধরে এ বি এম আনিছুজ্জামান তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতায় নিজেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতৃস্থানীয় চরিত্র হিসাবে  মেলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন।

 

নেতৃত্বের মৌলিক গুনাবলীর মধ্যে যা যা থাকার দরকার, তথা সততা, মেধা ও দূরদৃষ্টি, তা তাঁর মধ্যে আছে, গবেষণা দাবী করে।  এ বি এম আনিছুজ্জামান ১৯৮৬ সালে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের (১) এর দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রাবস্থায় স্বৈরাচারবিরোধী তথা এরশাদ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি  ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত দুইবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ত্রিশাল উপজেলায় যুবলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপ নেয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগ এর ভুমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের। যার নেতৃত্বে থেকে তিনি যুবলীগের প্রমাণিত সংগ্রামী নেতা হিসাবে নিজের জাতকে চেনাতে সক্ষম হন।

 

এ বি এম আনিছের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে অনুমিত হয়। তিনি ত্রিশালের সুতিয়া নদীর প্রাণ ফেরাতে লড়ছেন। দীর্ঘদিন এলাকার জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে স্থানীয় সাংসদের চেয়েও তাঁর জনপ্রিয়তা বেশী বলে ধরে নেয়ার অবকাশ আছে। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় দায়িত্বশীল পদে থেকে সুনাম ধরে রাখাটা কষ্টকর বলে কথিত আছে। এমন ধারা ভাঙ্গার অদম্য চরিত্র হিসাবে আগামী দিনের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যৎ রাজনীতিক হিসাবে তিনি জায়গা করে নিয়ে ঢুকে পড়লেন ইতিহাসের রঙ্গীন পাতায়।

 

 

 

 

৮৩ 

এম এম শাহীন 

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি এক ভীন্ন ধরণের রাজনৈতিক সত্তা। সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক জনপ্রিয় নাম এম এম শাহীন। রাজনৈতিক জীবনে দুইবার সাংসদ হওয়া এই রাজনীতিক গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও ‘প্রশ্ন’ থেকেই যায় বলে অভিমত রাজনৈতিক বোদ্ধাদের।

শাহীন ১ আগস্ট ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রব ও মাতার নাম সৈয়দা মাহেরু রব। আবার আপন এক ভাইয়ের নামও সাঈদ উর  রব। যিনি দেশের একজন বিখ্যাত এথলেট হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। জনাব শাহীন কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী। তিনি পেশায় মূলত সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী।

জনাব শাহীনের জনসম্পৃক্ততা, সততা, দক্ষতা, দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি, তাঁকে আলাদা করে রাখে। রাজনীতিতে আসবার পর হতে তিনি কখনই বিতর্কের জন্ম দেন নাই। তাঁর সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে অনৈতিক কিছু, দুর্নীতি প্রশ্নে কোনো ধরণের অভিযোগ উঠে আসে নাই। অত্যন্ত সজ্জন চরিত্রের এই রাজনীতিকের ব্যবহার, শিষ্টাচার অনুকরণীয় দিক বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য ‘আদর্শ’ হয়ে থাকবার মত রাজনৈতিক সত্তা। একজন শাহীনের সাংসদ হয়েই রাজনীতির স্রোতে টিকে থাকতে হবে, এমন নয়। কারণ, ইতোমধ্যে সংসদীয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় তিনি দুইবার করে সংসদে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। এমন কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও তিনি দ্বিদলীয় ক্ষমতাধর রাজনৈতিক বলয়কে পরাজিত করে নিজের জাত চেনানো রাজনৈতিক এক নেতা।

এম এম শাহীন জাতীয় রাজনীতিতে বরং খানিকটা পিছিয়ে আছেন। সংসদে যেয়েই জাতীয় আইন প্রণয়ন করবার মধ্যে তো জাতীয় নেতৃত্ব সু প্রতিষ্ঠিত হয় না। সেক্ষেত্রে তিনি তাঁর নিজের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সব ধরণের বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে মুখপাত্রের মত করে ‘কন্ঠ’ হয়ে কথা বলতে পারলে দেশ উপকৃত হত বলে মনে করে কেএইচএন রিসার্চ টিম।

দেশের প্রবীন আইনজীবী ও আলোকিত মানুষ ব্যারিষ্টার রফিকুল হক এর একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের উদ্ধৃতি ছিল। তিনি বলেছিলেন, নীতি কথায় আবৃত হতে হলে নিজের গা বা শরীরটাও ধোয়া থাকতে হয়, গা ধোয়া থাকা আবশ্যক। কাজেই, জাতীয় সংকটে কিংবা জাতীর সংলাপে যেয়ে যুক্তি নিয়ে যে কেহ কথা বললেও হবে না। এম এম শাহীন সেই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারলে দেশের জনগণ আর্থসামাজিক কিংবা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুফল পেত। কারণ, তাঁর গা ধোয়া। বদনাম শরীরে নেই। শাহীন গবেষণায় ভাল স্কোর গড়েই ইতিহাসের পাতায় রঙ্গীন হয়ে থাকলেন। হয়তো গেল নির্বাচনে হেরে যেয়ে মন তাঁর বিষন্ন, ধূসর কিংবা সাদাকালো হয়েই আছে, তবু বাংলার রাজনীতির আকাশে এম এম শাহীন যেন ধ্রুব তারার মত করে জ্বলজ্বল করে। হ্যাঁ, ভবিষ্যতেও তাঁর অনেক কিছুই দেয়ার আছে। এম এম শাহীন , সু স্বাগত ! আপনার জায়গা মিলেছে ৮৩- তে !

 

৮২

জহির উদ্দীন স্বপন

 

বাম ধারার ছাত্র রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সফল হতে হতেই বুর্জুয়া দলের আমন্ত্রণ ! জনপ্রিয় বলে কথা ! একটুও দেরি করেন নাই। যোগ দিয়ে দেন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় দল বিএনপিতে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিতে যোগদান করবার পরই দলটি বুঝতে পারে, দলে জহির উদ্দীন স্বপনেরা এলে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে উৎসাহী করে কাজের কাজ করে দেয়া যাবে। জাতীয়তাবাদী তাঁবু হবে শক্ত, সাথে খানিকটা রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাভাষ্যে পরিবর্তন আনলেই,  ব্যাস। সেভাবেই চলছিল। কিন্তু, ঈশ্বর খুব সম্ভবত নারাজ হলেন। প্রকৃতি বলে উঠলো, রাজনীতি করবা কর, ইতিহাস বিকৃতি আর নাশকতার রাজনীতি কেন ? চলে এলো ১/১১ সরকার ! মেধাবী জহির উদ্দীন স্বপনকে বিএনপি বলয় সংস্কারবাদী, অমুকবাদী বলা শুরু করলেও তিনি কি কোন দলে যোগ দিয়েছিলেন ? উত্তর আসবে, না। বরং তিনি অপেক্ষা করেছেন। পুরো দশ বছর ! গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাইলেন মনোনয়ন। পেয়েও গেলেন। কিন্তু, একজন জহির উদ্দীন স্বপনের যে মেধা ছিল,  তা থেকে কী বঞ্চিত হয় নাই বাংলাদেশ ?

এদিকে জহির উদ্দীন স্বপনকে  বিএনপির জন্য ত্যাগী নেতাই বলা যায়। কত ধরণের সুযোগকে উপেক্ষা করে বাম বলয় হতে উঠে আসা বিএনপির রাজনীতি করা এই স্বপনই যে যোগ্যতার নিরিখে দলটির শেষ মেধাবী সত্তা, তা অস্বীকার করবার উপায় কারোরই নেই।

জনাব স্বপন ১৯৬০ সালের ২৯ জানুয়ারী জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম এ কে মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বরিশালের গৌরনদীর সন্তান। বিএসএস করবার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস করেন। এখন পেশায় একজন ব্যবসায়ী।  ২০০১ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপির বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির অন্যতম সত্তা হলেন এই নেতা। যার মাঝে রাজনৈতিক লেখাপড়ার পাশাপাশি, দক্ষতা ও নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সমন্বয় সাধনের মধ্য দিয়ে তিনি লাল পতাকা নিয়ে এখন বের হতে পারবেন না। তাঁকে ধনীদের দল করতে হচ্ছে, মানুষের সস্তা জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির পতাকাতলে রাজনীতি করে প্রমাণ করতে হচ্ছে যে, শোষণ ও দুঃশাসন এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শ্রেণি সংগ্রামের লড়াই করে বাংলাদেশে লাভবান হওয়া যাবে না, তাই শহীদ জিয়া অমর হোক— এমন শ্লোগানে মুখর হয়ে লালের সাথে সবুজ পতাকা ধরে বলতে হচ্ছে, চলো জাতীয়তাবাদী হই। কিন্তু, সেই প্রাণের দলটি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। দলটি জামায়াতেবাদী হয়ে বলতে চায়, মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে না, মানে না, প্রতিবেশী আধিপত্যবাদী শক্তির যাতাকলে আমরা আছি, তাঁদের প্রভাবমুক্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই আমাদের মিত্র হতে পারে, আমরা আওয়ামী লীগ থেকে  মুক্তি চাই, ভোট চাই, ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অগনিত ভুল, অন্যায়ের মাশুল মেধাবী জহির উদ্দীন স্বপনদের দিতে হয়েছে, হচ্ছে ও হবে। এর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের নীতি কে দায়ী করতে হবে। জাতির দুর্ভাগ্য যে, পারিবারিক রাজনীতির প্রভাবযুক্ত  ধারাবাহিকতায় জহির উদ্দীন স্বপনদের বিশ বছরেও দলীয় মনোনয়নের জন্য ভিক্ষা চাইতে হয় । অথচ, পুরো দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেয়ার মত ক্ষমতা তাঁর ছিল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর যে দলটি গঠিত হয়েছিল, সেই দলে বামপন্থী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, তরিকুল ইসলাম কিংবা আজকের মির্জা ফখরুলেরা যে ধারাবাহিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করে দলটাকে সমৃদ্ধ করেছিল, তাঁদের প্রত্যেকেরই বিএনপি কে নেতৃত্ব দেয়ার মত ক্ষমতা ছিল, ইতিহাস তাই বলে। প্রতিভা ছিল একজন জহির উদ্দীন স্বপনেরও। যুবক স্বপন যখন নির্বাচিত সাংসদ, তাঁর মাঝে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মত সামর্থ্য ছিল, সেই স্বপনের বয়স কত আজ ? ষাট বছর ! বুড়ো হয়ে গেলেন তো ! তবুও উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই সময়টাই রাজনীতি করার পিক টাইম ! এখনই নাকি উচ্চ নেতৃত্ব ধরা দেয় ! স্বপন কী পারবেন  ঘুরে দাঁড়াতে ? ধনীদের দল হোক, সন্ধ্যা করে দামী পারফিউম গায়ে স্প্রে করে দলীয় চেয়ারপার্সনের সাথে সাক্ষাৎ পর্বও চলুক, কিন্তু, একটি জায়গায় জনাব স্বপন নেতৃত্ব দিক। আওয়ামী লীগকে বুদ্ধি বৃত্তিক চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির শুরুটা করুক। নামেই জাতীয়তাবাদী দল, কর্মে কি দলটি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করতে পেরেছে ?

জহির উদ্দীন স্বপন, ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেয়েছেন। গবেষণা দল বলছে, তাঁর বাংলাদেশকে এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে। পারবেন তিনি ?

 

৮১ 

মাহমুদুর রহমান মান্না 

 

ঢাকাই ফিল্মের প্রয়াত হিরো মান্নার নামকে ছাপিয়ে যেয়ে রাজনীতিক ‘মান্না’ অনেক বড় নাম হয়ে উঠতে পারেন নি। অন্তত জনপ্রিয়তার বিচারে। দুই অঙ্গনের দুই বাসিন্দা হলেও দুই পক্ষেরই সম্বল ছিল সস্তা জনপ্রিয়তা। নিম্নবিত্ত মানুষ সারাদিন ক্লান্ত হয়ে ফিরে যখন খানিকটা বিনোদনের স্বাদে যেতে চেয়েছে, তখন প্রয়াত নায়ক মান্না ছিল তাঁদের আশা ভরসার প্রতীক। অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়ে জনাব মাহমুদুর রহমান মান্নাও একাধিকবার করে হিরো হতে যেয়েও সফল হতে পারেন নি। বরং ‘খল’ নায়ক হয়ে নানা বাস্তবমুখী অভিযোগের ভাগীদার হয়ে  তাঁকে জেলখানায় থাকতে হয়েছে।

 

প্রতিভা, বক্তব্য রাখার মধ্যে নাসিক্য প্রাধাণ্যে ভিন্ন ধরনের বাচনভঙ্গি তাঁকে খানিকটা ব্যতিক্রমি রাজনীতিক হিসাবে দাঁড় করায়। উচ্চাভিলাসী এই রাজনীতিকের  আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতির সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে তিনি মাথা না ঘামালে,  মান্নাও একজন অতি সফল রাজনীতিক হিসাবে আবির্ভূত হতে পারতেন বলে গবেষণা বলছে। তখন তাঁর নাম চলচ্চিত্রের হিরো মান্নাকে ছাপিয়ে যেত বলে মনে করার সুযোগ আছে।

 

এদিকে মাহমুদুর রহমান মান্নার নিন্দুকেরা প্রমাণ করতে উদ্যত হয়, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কি ভুমিকায় ছিলেন !  অনেকেই বলে থাকেন, তিনি সে সময় বিতর্কিত  ‘এনএসএফ’  নামক ছাত্রসংগঠনের হর্তাকর্তা ছিলেন। পারিবারিকভাবে তাঁর আপন ভাই মোবায়দুর রহমান সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন বলে কথিত আছে।

সময় দ্রুত চলে যায়। ১৯৫১ সালের ১ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্না জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমান বয়স  প্রায় সত্তর !  তিনি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম আফসার উদ্দিন আহমদ এবং মাতা মেহের আক্তার। ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এর  গন্ডির পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথেমেটিকস ও লাইব্রেরী সাইন্স বিভাগে ভর্তি হন। পরে রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মাস্টার্স  শেষ করতে পারেন নি। 

১৯৬৮ সালে তিনি ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক হন। ১৯৭২ সালে চাকসুর জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৬ সালে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হন। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় এসে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল –‘বাসদ’ গঠন করেন। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিলেন। ১৯৯১ সালে  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করে এক পর্যায়ে  ওই দল এর  সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এর পদ থেকে বাদ পড়ে যান। পরে নাগরিক ঐক্য নামে একটা রাজনৈতিক দল করে নিবন্ধন আদায় করতে ব্যর্থ হন।

 

জনাব মান্নার নির্দিষ্ট কিছু ভক্ত রয়েছেন। যারা দেশের বিভিন্ন ধরণের পেশায় নিয়োজিত। তিনি যখন ডাকসুর ভিপি ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর প্রতি সাধারণ ছাত্রদের আবেগ ছিল। টান ছিল, মায়া ছিল। যা আজো রয়েছে। তখন মেধাবীরা ছাত্র রাজনীতি করত বলে স্বীকৃত আছে। সঙ্গত কারণেই কদর ছিল একজন মান্নার। রাজনৈতিক রঙ বদল করে নানা ধরণের পরীক্ষা- নিরীক্ষা করাটা তাঁর মজ্জাগত রাজনৈতিক অভ্যাস। ডান থেকে বাম ধারার রাজনীতি, আবার মধ্য পন্থী ধারায় চলে যাওয়া, প্রয়োজনে স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তির সঙ্গেও তিনি যেতে রাজী থাকবেন, যদি সেই সংযুক্তিতে তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ফায়দা অর্জিত হবার বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকে ।

রিসার্চ টিম বলছে, গেল একযুগে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেয়ার জন্য যতটা সময় ব্যয় করেছেন, তা না করে তিনি যদি সারাদেশ ঘুরে সত্যিকারের বাংলাদেশ বিনির্মাণে চেষ্টা চালাতেন, সফল হতেন। শর্টকার্ট রাস্তা খুঁজতে যেয়েই প্রবল মেধাবী চরিত্রের মাহমুদুর রহমান মান্না ফলত রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন। তবুও সারাদেশের সংবাদ মাধ্যমে তাঁর অনুগত অযুত সংবাদ কর্মী, সহকর্মী থাকায় তাঁকে ঘিরে  কিছুটা প্রচারণায় সাহায্য করা হয়, আর এটিকে কাজে লাগিয়েই কিছু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফলত তিনি কথিত বিপ্লব করবার নামে রাজনীতি করবার আসল সময়টাকে ফেলে এসেছেন।

মান্না, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে এখন আর অতি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নন। ফানুস হয়ে অন্তরীক্ষে ভাসছেন, মানুষ বলে , ওই তো মান্না উপরে উড়ছে, আয় নীচে নেমে আয়, পাগলামো করিস নে,   আয় ! মাহমুদুর রহমান মান্নার রাজনীতি এখন এই পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।

তবে একজন মান্নার নেতৃত্ব, বৈশ্বিক জ্ঞান এবং জীবনের এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ চোখে ভাসাতে পারলে তিনি ‘নায়ক’ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবার একটা সুযোগে যেতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে আশায় থেকে রিসার্চ টিম উদারতায় বসবাস করে তাঁর সস্তা জনপ্রিয়তাকে এগিয়ে রেখে তাঁকে রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে দিতে বাধ্য হল।

 

সুপ্রিয় পাঠক,

কেএইচএন রিসার্চ টিমের সাথেই থাকুন। ৩০ আগস্ট ২০২০ বিকেল চারটায় শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্য হতে ৮০ হতে ৭৫ নং পর্যন্ত যাওয়া হবে। অর্থাৎ নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। অপেক্ষায় থাকুন। বলাবাহুল্য, দুইটি গবেষণা সম্বলিত প্রকল্পের দুইটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০-এ।  কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট এর অফিসিয়াল সাইট ছাড়াও একটি জাতীয় দৈনিকে তা প্রকাশ করবার উদ্যোগে যাওয়া হবে। 

আপনাদের মতামত এবং কারো সম্পর্কে তথ্য দিতে চাইলে নিম্নলিখিত ই মেইলে পাঠান। যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবেদনকে সমৃদ্ধ করতে আমরা সম্প্রসারণের দিকে যেতেই পারি। বলাবাহুল্য, এই গবেষণাটি চলছে ২০৪০ জন রাজনীতিদের নিয়ে। যাদের মধ্যে সেরা ১০০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। 

 

 

কে.৭১৭/৯০

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close