Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক( ৪০) – শাজাহান খান

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

আফ্রিকান মহাদেশিয় দার্শনিক কিন্দেম্বু বলেছেন,  “Socialism is the only political form that has democratic values.” অর্থাৎ, “সমাজতন্ত্র হল একমাত্র রাজনৈতিক রূপ যার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রয়েছে।”

 

এই প্রসঙ্গেই পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক রাজনীতিক হলেও একটি গোত্রভুক্ত রাজনীতিকেরা রয়েছেন,  যারা ফলত গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রকে শাসনরীতি হিসাবে পেতে চায়। বাংলাদেশে তেমন দুই একজনকে খুঁজতে গেলে প্রথম নামটিই যেন হল শাজাহান খান। যার মনের অন্দরে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।  আবার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে থেকে কর্মক্ষেত্রে গণতন্ত্রমনা এবং শ্রমিকদের স্ব-ব্যবস্থাপনায় স্বনির্ভর সামাজিক নিরাপত্তা প্রত্যাশী চরিত্র।  তিনি যেন বলতে চান, বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পিত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র চলুক।

 

রাজনীতিক শাজাহান খানের মান ও চিন্তার বিশদ জায়গা নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর মত রাখার উদ্যোগ উত্তীর্ণ হয় না, যখন তাঁকে শুধু প্রচলিত রাজনীতির ধারক হিসাবে দেখা হয়।

 

শাজাহান খান  ১ জানুয়ারি ১৯৫২, এই পৃথিবীতে আসেন।  তিনি বাংলাদেশের একজন উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের রাজনীতিবিদ হতে পেরেছেন। ইতিহাসে জায়গা করে নিতে পারলেন। সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ একশত রাজনীতিকদের মধ্যে তাঁর স্থান ৪০-তম। তিনি ছয় বারের  জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।বাংলাদেশের অনয়তম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং কয়েকটি দফতরের সাবেক মন্ত্রী।

তাঁর পিতার নাম অ্যাডভোকেট মৌলভি আচমত আলী খান এবং মাতা তজন নেসা বেগম। তার পিতা আচমত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর। ছিলেন, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং সাবেক সাংসদ।

 

১৯৫৭ সালে মাদারীপুরের নুতন শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাজাহান খান শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ (বর্তমান মাদারীপুর সরকারি কলেজ) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

শাজাহান খান ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। এক মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে। তাঁর সহধর্মিণী, সৈয়েদা রোকেয়া বেগম, একজন কলেজ প্রভাষক। যিনি একজন সংগ্রামী নারী নেতৃত্বও। তাঁর পিতা একুশে পদক জয়ী রাজনীতিক ও সংস্কৃতি কর্মী।

 

শাজাহান খান, ১৯৬৪ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্র রাজনীতিতে এসে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।

 

তিনি ১৯৬৬-৬৭ এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে মাদারীপুর উপবিভাগের ছাত্রলীগের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন।

 

এছাড়া তিনি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি ছিলেন।

 

বর্তমানে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।

 

খান সর্বপ্রথম ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।

 

তিনি ৩১শে জুলাই, ২০০৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। নভেম্বর ২০১৩-তে, অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌপরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন।

 

শাজাহান খানের নেতৃত্বের যৌগিক পর্যায়ের গুনাবলির মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তিতে রুখে দিতে স্ব উদ্যোগে কর্মসূচীর ডাক দেয়া এবং তা বাস্তবতায় রুপ দেয়া। তিনি রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবেলা করার দিকটাতেও উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের রাজনৈতিক সত্তা। বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টাকে প্রতি আক্রমণের মধ্য দিয়ে রুখে তিনি তাঁর জাতকে চিনিয়ে থাকেন। মেহনতি মানুষের তথা শ্রমজীবী জনশ্রেণির আর্তনাদ ছুঁয়ে যায় তাঁকে। ঠিক সে কারণে আপামর জনগোষ্ঠি কর্তৃক অনেক সময় ‘শ্রমিকের জান’ খ্যাত এই রাজনীতিক কে দুয়ো ধ্বনি পর্যন্ত শুনতে হয়। কারণ, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পথচলায় শ্রমিকের অধিকার  সমুন্নত রাখার সবিশেষ উদ্যোগ  ছিল ও আছে। তাঁদের জীবনকে সুখময় ও মসৃণ করবার জন্য তিনি অদম্য মানবিক সত্তা হয়েই লড়ে থাকেন।

 

শাজাহান খানের নেতৃত্বের প্রধান গুনাবলীর মধ্যে গবেষণা দাবী করছে, তিনি সততার অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ উপার্জনের অভিযোগ নেই। তিনি প্রকারন্তরে বৈষয়িক নন। বুদ্ধিদীপ্ত রাজনীতি তাঁর প্রধান অস্ত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান রয়েছে। নেতৃত্বের আরেকটি অপরিহার্য গুনের মধ্যে রয়েছে তাঁর দূরদৃষ্টি। তিনি ভবিষ্যত দেখতে পান, দেশ কিভাবে এবং কোথায় যাবে তা নিয়ে চিন্তাশীল পর্যায়ের ব্যক্তিসত্তা তিনি।

 

 “সমতার মানে এই নয় যে সবাই সমান তা নিশ্চিত করা, এর অর্থ নিশ্চিত করা যে, কিছু লোক অন্যের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ঈশ্বরের মতো ক্ষমতা পায় না।” বলেছিলেন,  নাথান জে. রবিনসন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন শাজাহান খানের গতি প্রকৃতি সম্মতি দেয় অনেকটা এই মতবাদের মত করেই। বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র তাই বলছেন, “নিম্নবিত্ত মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত রাজনীতিক বুর্জুয়া শ্রেণির জন্য অপছন্দের ব্যক্তিসত্তা হবেন, কারণ গরীব ঠকিয়েই ধনী শ্রেণি সামাজিক আধিপত্য বিস্তারে সফল, সেখানে ওই রাজনীতিক তাঁদের সু মসৃণ পথচলার অন্তরায় বটে।”

 

গণতান্ত্রিক আবহে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি খুঁজতে চাইবার একটি বাংলাদেশি চরিত্র হিসাবে শাজাহান খান কে বাদ দিয়ে তাই সঙ্গত যুক্তিতে ইতিহাসের পাতা সমৃদ্ধ হয় না।

 

রি/০৯০-৭জন

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close