Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক ১০০, জায়গা পেলেন যারা

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

গবেষণাধর্মী নয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কেএইচএন রিসার্চ টিম তাঁদের  দুইটি নতুন গবেষণা প্রকল্পের প্রকাশে গেল। যা প্রতিবেদন আঙ্গিকে মোট বিশবার প্রকাশ করা হবে। একটি গবেষণার সার সংক্ষেপ হল, বাংলাদেশের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ঘিরে একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকবর্গের নামের তালিকা প্রকাশ। অন্যটি হল, বাংলাদেশের সর্বযুগের সেরা একশত কিংবদন্তীতুল্য রাজনীতিক বর্গের নামের তালিকা প্রকাশ করা। নামের তালিকা প্রকাশকরত প্রত্যেক রাজনৈতিক সত্তাসমূহের  জীবন বৃত্তান্ত এবং কর্ম তুলে ধরার প্রয়াসে থাকা হবে।  ঠিক এই মুহূর্তের বাংলাদেশ থেকে আগামী দিনের জন্য কার্যকরী  ভুমিকায় দেশ বিনির্মাণে একশত জন রাজনীতিকের নাম তুলে ধরা হচ্ছে। যাদেরকে নিয়ে আশা করাই যায়। যাদের মূল্যায়ন করতে যেয়ে সততা, মেধা বা দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক গুন এবং জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তাঁদের ভুমিকাকে বড় করে দেখে পয়েন্ট বা স্কোর করবার মধ্য দিয়ে এই আলোচিত একশ’তে জায়গা পেতে হয়েছে।

 

এই প্রসঙ্গেই চলতি বছরের ২ জুন ২০২০ তারিখ কেএইচএন রিসার্চ টিম এর অভিভাবক সংস্থা বা দাফতরিক পরিদপ্তর কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে যে,

“করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে স্থবির বিশ্ব। রাজনৈতিক উত্তাপ কম, নেই জনশ্রেণির মাঝে উচ্ছ্বাস। বেঁচে থাকবার লড়াইয়ে টিকে থাকার প্রয়াস। তবু পরিস্থিতি বদলাবে বলে মত অনেকের। ২০২০ সালের শেষভাগে পুরো পৃথিবী ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে, এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই বছরেই পরাক্রমশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তা নিয়েও ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জুলাই হতে প্রচারণা শুরু করবে দেশটির দুইটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

এদিকে এশিয়ায় চীন ও ভারতের মধ্যকার ঠাণ্ডা থেকে উষ্ণ লড়াই হবার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ইরান, ইসরায়েল, সৌদি আরব ও আরব বিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন পরিলক্ষিত হবে বলে মনে করবার সুযোগ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যেমন তেমন, পাকিস্তান যে এখন অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, তা অনুমেয়।

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় সংসদীয় গণতন্ত্র বহাল রয়েছে। নেতৃত্বে বা সরকার প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংবিধান ও জাতীয়তা নিয়ে দেশের মধ্যকার অস্থিতিশীল পরিবেশ  না থাকলেও চাপা ক্ষোভের নামে মন্দ বলয়ের রাজনৈতিক শক্তিসমূহ রাজনীতির পেছনের বা বাঁকা রাস্তা দিতে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেতে চায়। যা এই দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নেতিবাচক দিক, কিন্তু তা ধারবাহিক অসংস্কৃতি হিসাবে রেওয়াজ এর মত করে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনকিছুকেই কার্পণ্য না করে উন্নয়নের মহাসড়কে যেয়ে পথিক হয়ে বলতে চায়, আমরাও পারি। কিন্তু, এই ‘পারি’ বলতে যেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দুর্নীতি সঙ্গী হচ্ছে তৃণমূল থেকে মধ্যম, এমন কি প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মাঝেও। যা সুশাসনের অন্তরায়। তবুও দেশের  অধিকাংশ  মানুষ একমাত্র আস্থার নেতৃত্ব হিসাবে এখন শেখ হাসিনায় ভরসা রাখতে চায়। যা গবেষণায় উঠে এসেছিল, আসছে।

 

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি করতে পারছে না। যেন, সব কিছুই একজন শেখ হাসিনার ওপর চাপিয়ে দেয়ার বাস্তবতা। দেশের এক  সময়ের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির অবস্থা তথৈবচ, তৃতীয় জনপ্রিয় দল জাতীয় পার্টিও খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। বিশেষত দলটির নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গ্রহান্তরিত হবার পরে। অন্যদিকে,  বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না নানাবিধ কারণে। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের সমস্যা। দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, জনস্বার্থ সংরক্ষণে রাজনীতি করছে না তাঁরা, বিদেশী শক্তির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, আন্দোলন করবার নামে প্রায়শই নাশকতাকে হাতিয়ার করে এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সাথে হাত মেলানোর ফলে বিএনপি ফলত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

অন্যদিকে বামপন্থী নেতাদের নেতৃত্ব সংকট, এই বাংলাদেশে তাঁদের বলয়টি ধীরে ধীরে সরু হবার পথে। বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদারতায় ছাড় পাওয়া সরাসরি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর শক্তি বাড়ছে। ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রয়োগে এখন এখানে ওয়াজ মাহফিল করার পেশায় থাকা বক্তাও রাজনৈতিক নেতা হতে চায়। আস্তিক শক্তির উত্থান কে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক পরাশক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশে কিছু এজেন্টও আছে, যাদের রাজনৈতিক পরিচিতি আছে, কারোর সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক পরিচয়ও। তাঁরা রাতের আঁধারে বৈঠক করে। সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক ও নানা পেশায় থাকা তাঁরা বাংলাদেশে ইসলামিক বিপ্লবের নামে ফলত অন্য কিছু করতে চায় বলে মনে করবার সুযোগ আছে।

 

বাংলাদেশে এখন প্রায় চল্লিশটির উপরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন আছে। পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন এলেই অধিকাংশ সংগঠন দুই পক্ষীয় লড়াইয়ের অংশীদার হতে চায় ।  নিজেদের দলের বিকাশে না যেয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কিংবা মহাজোটে যায়, যায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোটেও। যদিও গেল নির্বাচনে প্রবীন রাজনীতিবিদ গণফোরাম এর আজন্ম সভাপতি ডক্টর কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে তাঁরাও এককাট্টা হয়েছিল, তবে সুবিধা করতে পারেনি। যুক্তফ্রন্ট নামের একটি জোট দাঁড় হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বি চৌধুরী তেমন করে না হলেও তাঁর পুত্র মাহী বি চৌধুরী কে সংসদে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন।

 

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা এগিয়ে যাচ্ছিল, এমন মত অর্থনীতিবিদদের। তবে কোভিড-১৯ ঝামেলায় ফেলেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শক্তির তৎপরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্রিয় রয়েছে। রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ ছিল, আছে ও থাকবে। এদিকে শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ দাঁড় করিয়ে বলতে চাইছেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, অন্যদিকে যা হবার হোক। এমন একটি সময়ে পার হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শত বার্ষিকী। ২০২০ ছিল মুজিব শতবার্ষিকী। যা খানিকটা করোনা প্রভাবে বাঁধাগ্রস্ত, তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে ২০২১ সালে। এই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, তেমন প্রতিশ্রুতি রেখেছিল আওয়ামী লীগ। হ্যাঁ, তাঁরা কথা রাখেনি তা বলা যাচ্ছে না। দেশ এগিয়েছে। আরো এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার রুগ্ন পদ্ধতির পরিবর্তন। চেয়ারের ধরণ না বদলালে যিনি চেয়ারে বসবেন, তিনি যত সৎ ব্যক্তিই হন, পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন না। হ্যাঁ, দেশে জাতীয় রাজনীতি করবার মত প্রায় চার হাজার রাজনৈতিক নেতার নাম শোনা যায়। একেকটি সংসদীয় আসনে যারা মনোনয়ন চান, সেই সংখ্যার দিকে চোখ দিলে চার হাজারই হয়ে যায়। কিন্তু, নেতৃত্বের মৌলিক গুন কি সকলের মাঝে আছে ? না, নেই। সেই সংখ্যা দুইশত’র মত হতে পারে। অনুসন্ধান ও গবেষণা— তাই নতুন করেই ভাবাচ্ছে।

 

কেএইচএন রিসার্চ টিম আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে একশত রাজনীতিক বর্গের  শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ২৫ আগস্ট থেকে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রিসার্চ টিম মনে করে, তাঁরা চেয়ারে থাকলে বা নতুন করে বসলে কিংবা রাজনীতির তাঁবুতে তাঁদের বসবাস থাকলে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে তাঁরা ‘সৈনিক’ হতে পারবে। যিনি ধরুন ৭৭ নম্বর তালিকায় থাকবেন, তাঁকেই ধরে নিতে হবে সারাদেশের মধ্যে এই মুহূর্তের শ্রেষ্ঠ ৭৭ নম্বর রাজনীতিক। তাঁকে ঘিরেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন আশা করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তথা বাংলাদেশ এবং জনশ্রেণি। সারাদেশে সব পর্যায়ের হিসাব করলে কয়েক লক্ষ বড়-মাঝারি ও ছোট রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছে। তাঁর মধ্যে একশতজনের মধ্যে স্থান নেয়াটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই ১০০ হতে ১ নম্বর রাজনীতিক বা সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। শুধু নাম নয়, বেশ কিছু দিক তুলে ধরে রিসার্চ টিম তাঁদের বিষয়ে স্বকীয় গবেষণাকে শক্তিশালী আঙ্গিকে উপস্থাপনার মাধ্যমে  বরাবরের মত দেশ ও জাতির সেবায় থাকতে চায়।

 

“স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আমরা”- শীর্ষক নামকরণে গবেষণা প্রতিবেদন।  দেশের একশত শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম তুলে ধরা হচ্ছে।  বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে তাঁরা ভবিষ্যতকে রঙ্গীন করুক। উল্লেখ্য, কোন কারণে একশত জনের মধ্যে নাম থাকা রাজনীতিক ভবিষ্যতে বিতর্কের মধ্যে পড়লে কিংবা অনৈতিক কর্মে লিপ্ত হলে অথবা জাতীয় ইমেজ সংকটে পড়লে তালিকায় রিজার্ভে  থাকা( পয়েন্ট ভিত্তিতে) রাজনৈতিক সত্তার নাম ওই বিশেষ তালিকায় ঢুকে পড়বে।”

 

২ জুন ২০২০ তারিখের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ২৭ আগস্ট ২০২০-এ এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম প্রতিবেদনে ৫ জন জায়গা করে নিয়েছেন। এই গবেষণা প্রকল্পটিতে কেএইচএন রিসার্চ টিম দুই হাজার চল্লিশজন রাজনীতিক কে নিয়ে কাজ করছে। আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতির  জন্য শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্যে যারা শেষ ১০ জনের মধ্যে আছেন, অর্থাৎ এই গবেষণার তালিকায় যারা ৯৫ হতে ৯১তম স্থান দখল করেছেন তাঁদের সম্পর্কে তুলে  ধরে অনন্য ইতিহাস গড়বার পর্যায়ে গেল কেএইচএন রিসার্চ টিম। কারণ, বাংলা কিংবা ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের জন্য রাজনৈতিক ঘরানার কৃতি সন্তানদের নিয়ে তেমন কোন তথ্য নেই, নেই উদাহরণ রাখবার মত কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ। অতি অবশ্যই দেশের লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যারা সেরা হয়ে ১০০’র মধ্যে স্থান নিলেন, তাঁদেরকে অভিনন্দন !

পূর্ববর্তী প্রতিবেদনটি পড়তে নীচের ক্লিক করুন( ১০০-৯৬) 

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ; গবেষণায় একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক বর্গের নাম( প্রথম ধাপ)

 

 

৯৫

তাবিথ আউয়াল 

 

তাবিথ, রাজধানী ঢাকার রাজনীতিতে এখন অতি পরিচিত নাম। দেশের মানুষ তাঁকে খুব করে না চিনলেও আন্তর্জাতিক বিশ্বেও তাঁর নাম খানিকটা পরিচিতি পেয়েছে। ঢাকাস্থ বিদেশী হাই কমিশনগুলো দেশের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহিত হালে বৈঠক করতে চাইলেই তাবিথ আউয়াল এর সঙ্গে সংযোগের চেষ্টায় থাকতে দেখা যায়। নেপথ্যের মুল কারণ, তাঁর বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু। পিতা মিন্টুই বিএনপির বিদেশী নীতি প্রণয়নে এখন চাহিদা সম্পন্ন নাম। প্রতিবেশী ভাতত সহ পিতার নানা রকমের দূতিয়ালী করতে যেয়ে তাবিথ হয়ে পড়েছেন এখন বিএনপির রাজনীতির অন্যতম প্রাণ। একটা সময় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি হয়ে তাঁর পিতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু রাজধানীর ঢাকার অবিভক্ত মেয়র হয়ে নাগরিক সেবা প্রদান করতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন। শহরকে কিভাবে সাজাবেন, তা নিয়ে উন্নত বিশ্বের আধুনিক শহরে যেয়ে কল্পনায় ভাসতেন, আমার ও আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাকে কিভাবে সাজানো যায় ! জনাব মিন্টুর আশা পূরণ হয় নাই। ঢাকাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে জানান যখন দিলো, উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে গেছি, মিন্টু সাহেবও বললেন, ধন্যবাদ !

 

এই ধন্যবাদ দিতে যেয়েই পুত্র তাবিথকে বললেন, ঢাকার একাংশের স্থানীয় পর্যায়ের অভিভাবক তোমায় হতে হবে। চেষ্টা করে যাও। বিএনপিও সম্মান রাখলেন জনাব মিন্টুর। রাখতেই হয় যে ! আন্দোলনের নামে বিপ্লব করবার অর্থের যোগানদাতাও যে তিনি ! চাঁদা তুলে তুলে বেগম জিয়ার কত আন্দোলনের রুপকার একজন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সেই অনুসন্ধানে গেলে গবেষণা নয়, সংবাদ পরিবেশন করা হবে। রাজনীতির অন্দর মহলের খবর দেয়া হয়ে যাবে ! তাই ৫ মে ২০১৩ সালের হেফাজত ইসলামীর বিপ্লব করবার জন্য মুল দায়িত্বটাই পড়ে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ওপর। সফলতা কিংবা ব্যর্থতা যাই- ই ঘরে উঠুক, তাঁর শ্রী ঘরে বন্দী থাকা, পুনরায় ফিরে এসে পুত্র তাবিথকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার মধ্য দিয়েই একজন মিন্টুর সফল রাজনৈতিক পরিক্রমা বহমান আছে বলে অনুমিত হয়।

 

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাই সম্পর্ক ধরে রাখছে পিতা ও পুত্রের সাথে। বিএনপির গুলশানের অফিস খরচ, জনাব তারেক রহমানের আবাস খরচের অনেকটাই দেখভাল করছেন ‘আউয়াল’ পরিবার। ধীরে ধীরে  ‘আউয়াল’ পরিবার হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিবার। জনাব মিন্টুই শুরুটা করেছেন। তাঁকে দিয়েই তাঁর পরিবারের রাজনীতি শুরু। কোথায় থামবেন জানা যাবে হয়তো ! অথচ এই সিনিয়র ‘আউয়াল’ একদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথেই ছিলেন। তখনও একটা বিশেষ প্রভাব ছিল তাঁর। তাবিথ তাই এখন ধীরে ধীরে পরিণত হওয়া এক তরুণ রাজনীতিক, যার মধ্যে অভিজ্ঞতার আলো প্রবেশ করছে। মন্দ সংস্কৃতিকে ‘না’  বলতে পারলে, একটা সময় তাবিথ আউয়াল বড় রাজনীতিক হতে পারবেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

 

তাবিথ আউয়ালের মাতা নাসরিন আউয়ালও রাজধানী ঢাকার আলোচিত চরিত্র। আধুনিক নারী সত্তা হিসাবে তাঁর মায়ের পরিচিতি আছে। তাবিথের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ফুটবলার ছিলেন, এখন সংগঠক এবং সকলকে অবাক করে দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতিও। ভীষণভাবে স্পোর্টিং চরিত্রের তাবিথকে তাই নতুন প্রজন্ম পছন্দও করে।

 

তাবিথ সৎ কিনা, তা পরীক্ষিত বাস্তবতা নয়, যেহেতু রাষ্ট্রীয় সেবায় যেয়ে দেশ পরিচালনার অংশ হয়ে সেবক হয়ে এখনো কাজ করবার সুযোগ পান নাই। তবে তাঁর চেহারা বলে, তিনি কেন চুরি করতে যাবেন ? ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর কথা বলবার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা করে রেখেছে। আর দশজনের কাছ হতে। তাবিথ, আগামী দিনের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অসাধারণ একটি টিমের অংশ হয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করতে পারার মত একজন সৈনিক হয়ে লড়াই করবার মতই সত্তা। রাজনৈতিক শিবিরের ধারাভাষ্যে গেলে দুই দলীয় লড়াইয়ের এক পক্ষে তাঁর মতো রাজনীতিক টিকে থাকতে পারলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করবার সুযোগ আছে। কারণ, ধারণা করা হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে সংকট ঘনীভুত হবে এবং তখন তাবিথ আউয়াল একজন প্রতিভাধর রাজনীতিক হিসাবে আবির্ভূত হতে পারবেন। যা বিএনপির রাজনীতির জন্য খুবই প্রয়োজন।

 

একজন তাবিথ আউয়ালের মধ্যে দূরদৃষ্টি, রাজনৈতিক শিষ্টাচার, বৈশ্বিক জ্ঞান রয়েছে। এসব কিছুই তাঁকে আগামীদিনের জন্য নেতৃস্থানীয় চরিত্র হিসাবে পরিচিত করায়। জাতীয় সংসদে যাওয়া কিংবা ঢাকার  নগর সেবক হতে পারলে এই তাবিথকে থামানো মুশকিল হবে। তিনি পারবেন, পারতেও হবে। তবে রাজনীতির মুলধারার মধ্যে থেকে যেন রাজনীতি করেন। অসৎ পথ বা বাঁকা রাস্তায় হেটে কথিত বিপ্লবের সঙ্গী হয়ে আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে নয়, গণমুখী বিচরণ আর তার সাথে মেধার সংমিশ্রণে তাবিথ এগিয়ে যাক। কারণ, গবেষণা বলছে,  বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের যে সেতু, সেই সেতু পার হবার মতো তিনিও সেই পথের শ্রেষ্ঠ পথিক— যে পথিক রাজনীতির সুর ধরে গান গায়। হ্যাঁ, তাবিথ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন রচিত হয়েছে। এটি অর্জন, প্রাপ্তিও বলা যায়। যা আসলো খুবই দ্রুত !

 

৯৪ 

মাশরাফি বিন মর্তুজা

 

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের কৃতি বা আলোকিত মানুষ মাশরাফি বিন মর্তুজা আছেন ৯৪ নম্বরে। রাজনীতিতে নবাগত হলেও ইতোমধ্যে নিজের ব্যক্তিত্ব ও কিছু ভিন্ন ধর্মী উদ্যোগ তাঁকে প্রায় দুই হাজার রাজনৈতিক নেতাকে পিছু ফেলে জায়গা করে দিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। ধীরে ধীরে তিনি আরো সেরা হয়ে উঠবেন কিংবা জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে পারবেন, তেমন আশা করে দেশের জনগোষ্ঠি।  ক্রিকেটের ইনিংস এবং রাজনৈতিক ইনিংসের মধ্যে পার্থক্যও আছে। তবে একজন ম্যাশ যেভাবে চলছেন, ঠিক সেভাবেই এগোতে পারলে একদিন মাশরাফি অনেক বড় রাজনীতিক হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।

 

খেলার মাঠে ম্যাশ, রাজনীতির ময়দানে তিনি সেবক হয়ে উঠুক। তেমন মানবিক গুনাবলী তাঁর মাঝে আছেও। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে জায়গা করে নিয়েছেন। নিজ শহর নড়াইলের ভীষন জনপ্রিয় নামও তিনি। মাশরাফি বিন মরতুজা জন্ম গ্রহণ করেছিলেন  ৫ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে। ছেলেবেলায় ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই স্বস্তিতে থাকতেন। এস এম সুলতানের শহরে সেই চিত্রা নদীর পাড়ে বসে থাকতেন। ওই নদীতে সাতার কাটতেন— এভাবেই ‘পাড়ার কৌশিক’ একদিন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে যান। ইনজুরি নিয়েও একজন অদম্য সত্তা  হয়ে দেশের জন্য খেলতে চেয়েছেন। পেরেছেন। তাঁর মত পেস বোলার বাংলাদেশে কখনও এসেছে কিনা তা নিয়ে খতিয়ে দেখবার সুযোগও আছে।

মাশরাফির সুবিধা হল, তিনি যে জেলায় জন্ম নিয়েছেন, সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরণের রাজনৈতিক সত্তাকে দেখা যাচ্ছে না। কাজেই নিজের এলাকার মাঝে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দ্বী সৃষ্টি হবে না।  একজন সংসদ সদস্যের প্রধান কাজ হল, আইন প্রণয়ন করা বা আইন তৈরিতে সোচ্চার কন্ঠ হয়ে বলতে পারা যে, আমাকে মানুষ ভোট দিয়েছে, তাঁদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ভুমিকা রাখবার জন্য। কাজেই শুধু এলাকার মানুষ তো বটেই,  তাঁকে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করবার উদ্যোগে যেতে হবে। এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক নেতা হওয়ার মধ্যে কৃতিত্ব প্রতিভাত হয় না। তাঁকে যেহেতু বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের মানুষ চিনে বা জানে, তাঁর অতি সুন্দর একটি জাতীয় ইমেজ রয়েছে— কাজেই ভবিষ্যতে দেশের ক্রীড়া পাগল মানুষগুলো তাঁর কাছ হতে ক্রিকেট ও ফুটবলের উন্নয়নে কিছু দেখতে চায়। নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি হাজির হতে পারলে সেক্ষেত্রে মাশরাফি বিন মরতুজাকে রাজনীতিক বানানোর চেষ্টাটা অর্থবহ হবে বলে মনে করার সুযোগ আছে। নচেৎ, একটি সংসদীয় আসনে জিতে সাংসদ হলেন, শেরে বাংলা নগরে লুই আর কানের নির্মিত স্থাপনায় গেলেন, এটি দেশিয় রাজনীতির ঐতিহাসিকতায় তেমন বড় কিছু হবে বলে মনে করবার সুযোগ নেই।

 

মাশরাফি বিন মরতুজা উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। লেখাপড়া সে অর্থে শেষ করেন নাই। বৈবাহিক জীবনে তাঁর দাম্পত্য সঙ্গী সুমনা সুমি। তাঁদের সন্তান রয়েছে। কোভিডকালে তিনি ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকলেই আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে।

 

একজন মাশরাফিকে সততার, দক্ষতার, দেশপ্রেমের আদর্শ হিসাবে দেশবাসী দেখে থাকেন। তাঁকে বাদ দিয়ে তাই এখন রাজনীতির সেরা ১০০ সংগঠকের তালিকা প্রস্তুত করা যায় না। সব ধরণের গবেষণা ও অনুসন্ধানী তৃতীয় চোখের রায়, ম্যাশ রাজনীতিক হিসাবেও নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। এবং, তিনি পারবেন…

 

 

৯৩ 

সৈয়দ এহসানুল হুদা 

প্রতিভা ও কাজ করবার একাগ্রতাকে দমন করা কষ্টের। সঙ্গত কারণেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক নাগরিক মাঞ্ঝি সুদীর্ঘ বাইশ বছর ধরে পাথর যখন কাটতেন, তখন তাঁকে সবাই পাগল বলে মনে করত। একদিন দেখা গেল গ্রামীন জীবন বদলে গেছে, মাঞ্ঝি তাঁদের জন্য অনেক পথ ঘুরে যেয়ে শহরে যাওয়াটাকে সহজ করে দিয়েছেন। তিনি রাস্তার জন্য একাই বাইশ বছর পাহাড়ে থেকে সাপের কামড় খেয়ে, স্ত্রীর অকাল মৃত্যু দেখে, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাটিয়ে দিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। আজকের বাংলাদেশে একজন মওলানা ভাসানীর জন্ম হলে তাঁকে চেনা কষ্টকর হয়ে যেত। যান্ত্রিক সমাজ তাঁকে জাতীয় আলোচনায় আসতে দিত না। কাজেই বর্তমান সময়ে রাজনীতি করে অনুসারী তৈরি করা খুবই কঠিন কাজ। মানবিক সত্তা হলেও সমাজ পরিচিত করায় না। পন্ডিত ব্যক্তি হলেও এখন নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে জানান ফিতে হবে যে, আমি কিন্তু পন্ডিত ! এর অর্থ এই নয় যে, পুরোনো কৃতি রাজনীতিকদেরকে ছোট করা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের মন এখন আর প্রকৃতির সাথে নেই, তাঁরা যন্ত্র দেখতে দেখতে যন্ত্রই হয়ে পড়েছে। তাই মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে থাকলেও তুমি অচেনা হয়েই রইবে, যদি কোন বড় ধরণের আবেগে ভাসিয়ে সত্যকে  তুমি বোঝাতে সক্ষম না হও। এভাবেই চলছে, চলবে। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে, মানবিক মূল্যবোধ ভাসানীদের সময় ছিল বলেই তাঁরা গ্রেট হতে পেরেছিলেন। তবুও সমাজে রাজনৈতিক জীবনকে আলিঙ্গন করে কিছু সত্তার জন্ম হচ্ছে, তাঁরা লড়তে চায়, বলতে চায়— সফলতা আসুক বা না আসুক, আদর্শিক অবস্থান ঠিক করে এক ধরণের সংগ্রামী নেতৃস্থানীয় চরিত্রসমুহেরা টিকেও আছে। তেমনই এক সত্তার নাম সৈয়দ এহসানুল হুদা।
পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সৈয়দ এহসানুল হুদার পদার্পণ। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল হুদাও আদর্শিক অবস্থানকে ঠিক রেখে রাজনীতিতে ছিলেন। পিতা সৈয়দ সিরাজুল হুদা ১৯৭৮ সালে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিপক্ষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোচনায় চলে আসেন । যিনি ১৯৭৬ সালে জাতীয় দল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কারাবরণ করেন এবং বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে আবারও মতভিন্নতার কারণে বিএনপি থেকে বের হয়ে এসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পুনঃ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন। একটা সময় পৃথিবী ছাড়েন। দলের হাল ধরেন, তাঁর একমাত্র পুত্র সৈয়দ এহসানুল হুদা। সেই দলটি এখন বিশ দলীয় ঐক্য জোটের শরীক দল হিসাবে কাজ করছে।  
সৈয়দ এহসানুল হুদার রাজনৈতিকভাবে ঐতিহাসিক এই তালিকায় জায়গা পাওয়ার পেছনে তাঁর দরাজ কন্ঠ, মেধা ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও সংগঠক হিসাবে সমন্বয় করবার অসাধারণ একটা দখল তাঁর মাঝে আছে। ঠিক সে কারণেই প্রতিষ্ঠিত অনেক নামকে সরিয়ে ঢাকার রাজনীতিতে হুদা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে একটা সময়ে দাঁড়াতে পারেন বলে গবেষণা দাবী করছে। নিয়মিত রাজনৈতিক সূচী রাখা, জাতীয় আলোচনায় নিজের মত রাখবার অভ্যাস এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে পঞ্চাশ বছর বয়সী এই যুবক  দেশের অন্যতম রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হিসাবে নিজের নামকে আনতে পেরেছেন বলে অনুমিত হয়।
সৈয়দ এহসানুল হুদার দুর্বল দিকঃ 
ক )  নেতৃত্বের যৌগিক গুনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে,  ঘটনা প্রবাহের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়া। যা তাঁর চরিত্রে অনুপস্থিত আছে।
খ ) নিজের মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারা। নেতৃত্বের গুনের মধ্যে তা থাকা আবশ্যক।
এহসানুল হুদার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে। বাংলাদেশকে দেয়ার মত করে উন্নত চিন্তা রয়েছে। দক্ষ সংগঠক হয়ে টিকে থাকতে পারলে, হুদার দ্বারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপকার হওয়ার সুযোগ থাকছে।
৯২ 
আসাদুজ্জামান নূর 
ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে !  হ্যাঁ চলতে পারে যেকোন ধারার সঙ্গীত।  কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই মনকে স্বান্তনা দিতে চাইলে প্রেমের কবিতা চলুক, থাকুক খানিকটা প্রেমিকের কন্ঠে দ্রোহের আওয়াজ। সেই আবৃত্তি যদি দেশের সংস্কৃতিমনা রাজনীতিক আসাদুজ্জামান নূর করেন, আপনার ও সকলের মন ভাল হয়ে যাবে।
সারাবিশ্বের শাসন ব্যবস্থায় শাসকশ্রেণির দরবারে সাংস্কৃতিক মনের অধিকারীদের রাখা দরকার। একটা সময় তা অপরিহার্য ছিল। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক শক্তির প্রেসক্রিপশন, সামরিক শক্তির সমর্থন ইত্যাদি ইত্যাদিতে নিজেদের রাজ দরবারে কবি, লেখক শ্রেণি উপেক্ষিত হচ্ছে। দরকার নেই আমাদের কোনো কবি কে, লেখক কে !  যার মাশুল দিতে হচ্ছে খুবই দক্ষ একজন শাসকশ্রেণির প্রধানকেও। কারণ, যে দেশে অতি উচ্চমার্গের কবিরা বলতে পারবে না বা পারে না যে, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার যোগ্যতা তোমার নেই, অথচ তুমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে পড়লে ! তখন নাগরিকশ্রেণিও বুঝতে পারে যে, কা’দেরকে আমাদের সমর্থন করার দরকার। কে আমাদের আসল নেতা ? কাজেই কবি ও লেখক বর্গের উন্নত কথামালায় যেমন রাজনৈতিক ইতিহাসের লিখিত ধারাভাষ্য রচিত হয়, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক গুনগত পরিবর্তনে তাঁদের রচিত কাব্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কলাম মানুষকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত করে তোলে। সে কারণেই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরের সর্বশেষ সরকারের মন্ত্রী সভায় জায়গা না পাওয়াটা কে এক ধরণের সাংস্কৃতিক বিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। যেমন, একজন প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিল দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বলতে পারতেন যে, প্রিয় নেত্রী, নিরমলেন্দু গুন খুব আক্ষেপ করে বলছিলেন, আমার পদক টা কোথায় ! প্রশ্ন হল, শীর্ষ নেতা বা নেত্রীকে এখন কে জানাবেন, অমুক শিল্পী অসুস্থ বা অভাব অভিযোগের কথা ! উপরন্ত রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিক গুনগত পরিবর্তনের দিক তো রয়েছেই। এই জন্যই কাল্পনিক চরিত্র হোক কিংবা বাস্তবধর্মী চরিত্র হয়ে হোক, রাজ্যসভায় গোপাল ভাড় কিংবা নাসিরুদ্দীন হোজ্জার মত সত্তাদের যেমন থাকার দরকার, দরকার চাণক্য’র মত ব্যক্তিসত্তাও। তেমন ধারাবাহিকতায় একজন আসাদুজ্জামান নূরের বাংলাদেশকে আরো কিছু রাজনৈতিকভাবে দেয়ার আছে ।
এদিকে আসাদুজ্জামান নূর ১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। নীলফামারী জেলার সংসদীয় আসন-২ থেকে তিনি একাধিকবারের নির্বাচিত সাংসদ। পুরো জেলার আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তিনিই দেখাশোনা করেন। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপরেই চলছে আঞ্চলিক রাজনীতি।
নূর, নাট্যাঙ্গনে সফল চরিত্র। থিয়েটার করা ব্যক্তি সত্তা। আবৃত্তি খুবই ভাল করেন। ব্যাক ভয়েস দিয়েও তিনি আলোচিত। ১৯৭২ সালে বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক চিত্রালীতে কাজ করার মধ্যদিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন । ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার অধীনে একটি ছাপাখানায় ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসেরপ্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড এ (বর্তমানে এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি) সাধারণ ব্যবস্থাপক পদে কাজ করেন বলে জানাচ্ছে বাংলার রুগ্ন উইকিপিডিয়া।

১৯৬৩ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৬৫ সালে তিনি নীলফামারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রেখে সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে নানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেরর দাবীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবার পর ১২ই জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো সংবাদ পরিবেশিত হয় নাই। সংবাদপত্রের সূচকে দেখা যাচ্ছে যে, জনাব নূরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কখনই উত্থাপিত হয় নাই। ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক হিসাবে তিনি আদৃত নাম। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের কাছ থেকে তিনি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া চরিত্র হিসাবে সমাদৃতও।

 

 

রাজনৈতিক ইতিহাসের আদ্যপান্ত বিচার করতে চাইলে একজন আসাদুজ্জামান নূরের মধ্যকার নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে, রয়েছে সততা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও মেধা। সব মিলিয়ে তাঁর বয়স বাড়লেও এখনো তরুণের মত করে লাল সবুজের বাংলাদেশকে ভালবাসতে চান। তাঁকে বাদ রেখে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংগঠকদের তালিকা প্রস্তুত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। নানাধর্মী গবেষণায় এও দেখা গেছে, তিনি মৌলবাদী শক্তির নজরে পড়েছিলেন। তাঁদের টার্গেট থেকে সরে আসতে নিজেকে আর বৃহৎ পরিসরে দেখতে চান নাই, এমন কিছু হলেও হতে পারে। তবে একজন নূরের উচিত হবে, সব প্রতিকুলতাকে ডিঙিয়ে আবারো সামনে চলে আসা।  ্দেশের চলচ্চিত্রের মান বাড়াতে নানা পলিসি নিয়ে কাজ করা, যা তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। এই একটি জায়গাতেই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, পারেন নি। অথচ, সাংস্কৃতিক পাড়ার মানুষগুলো তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশী কিছুর আশায় ছিল ! যেটাই হোক, কেএইচএন রিসার্চ টিম এর গবেষণায় দেশের সেরা ১০০ রাজনীতিকের মধ্যে তিনি রয়েছেন। জায়গা নিলেন ৯২- এ !

 

 

৯১ 

শামসুজ্জামান দুদু

নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গা। পারিবারিকভাবে তাঁর পুরো পরিবারকে পাগলাটে স্বভাবের বলা হলেও জনাব দুদুর মধ্যকারও পাগলামো আছে,  তবে সেই উন্মাদনা বিএনপিকে নিয়ে, একজন খালেদা জিয়ার জন্য, তারেক রহমানের জন্য। মনে হয় তিনি যেন, চাকুরীরত এক রাজনৈতিক সত্তা।
সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান নেতা। ‘তুখোড়’ বলে সম্বোধনে যেয়ে স্তুতিতে ভেসে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে আগ্রহী হওয়া যাবে না। তবে তিনি সেই ছাত্র নেতা, যখন শিক্ষিত সভ্য সমাজ দুদু-রিপন পরিষদ বলে তাঁদেরকে চিনতো। নানা বাস্তবতায় তাঁদের প্রজন্মটাকেই ধরা হয় ঢাবি ছাত্র রাজনীতির শেষ দুই যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্রদল নেতৃত্ব।
সময় বদলিয়েছে। সেই শামসুজ্জামান দুদু এখন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। কোনো কালেও কৃষক পেশায় না থাকলেও তিনি এখনো কৃষক দলের মালিকও। টেলিভিশন টক শোতে যেতেন। করোনাকালে তা বন্ধ থাকলেও খুবই উত্তেজিত মেজাজে যেয়ে সঞ্চালকদেরকেও রুখে দিবেন বলে গালমন্দ করাটাই ছিল তাঁর রাজনীতি ! কা’কে খুশী করতে চান, তা গবেষণা করা লাগে না। তবু একজন দুদুর মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে।
অসাধারণ বাচনভঙ্গি, শুদ্ধ করে কথা বলতে পারার দক্ষতা, ইনডোরে খুবই চিত্তাকর্ষক পর্যায়ের বক্তা হয়ে ওঠার ক্ষমতা তাঁর মাঝে আছে। সাংসদ থাকাকালীন সময়ে লুটপাট, দুর্নীতি করেছেন, শোনা যায় নি। খল স্থাপনা হাওয়া ভবনের মেইন সুইচ ছিলেন, তাও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।
 জনাব দুদু ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার এই সন্তান এলাকায় যাতায়াত করেন কম। রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় তাঁর নিজের আবাস রয়েছে। তাঁর ভাই ও সৎ ভাই মিলিয়ে সংখ্যা ৮। তিনি ছাড়া একটি মাত্র ভাই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অন্যদের কেহকে ( মিন্টু) পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকতে হয়, আবার একটি ভাই ( সন্টু)  উন্মাদ হবার দরুণ আত্মহত্যা করেন। 
শামসুজ্জামান দুদুর পেশা রাজনীতি। অন্য কোন পেশার সাথে তিনি জড়াতে পারেন নি।  রাজনীতির সুস্থ ধারার প্রতিনিধি হিসাবে জাতীয়তাবাদী বলয়ে যাদের নাম আসে, সেই ধারার প্রতিনিধি হলেন তিনি। গেল নির্বাচনে তাঁর সংসদীয় আসন থেকে নব্য এক তরুণ রাজনীতিক মনোনয়ন কেড়ে নেন তাঁর কাছ হতে। কথিত আছে, লন্ডনে অনেক টাকা পয়সা দিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন সেই তরুণ রাজনীতিক। গেল বছরের দিকে ধর্মীয় উত্তাপ ছড়িয়ে মিজানুর রহমান আজাহারী নামক যে ইউটিউবার ও সামাজিক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে এসে রাজনৈতিক দূরভীসন্ধিমুলক কাজে এসেছিলেন, জনাব শামসুজ্জামান দুদুর নিজ দলের সেই তরুণ প্রতিপক্ষ তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন। চুয়াডাঙ্গায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। সব ধরণের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় প্রস্তুতি ওই তরুণ নিয়েছিল। কারণ, আজাহারীর সাথে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সখ্যতা ছিল। আর তারেক রহমানের সাথেই জনাব দুদুর নিজ প্রতিপক্ষ ওই তরুনের যোগাযোগ ছিল, আছে ও থাকবে। সারাদেশে আজাহারী নামের ওয়াজকারী যেখানে যেখানে প্রশাসন দিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন, তা হয়েছিল। যেখানে সমস্যা ছিল, সে সব আয়োজন লন্ডন থেকে তারেক রহমান তাঁর নিজস্ব লোকদের দ্বারা সমাবেশগুলো সফল করে দেন।
জনাব দুদু তাঁর রাজনৈতিক পথচলাকে মসৃণ করতে পারেন নি। জাতীয় রাজনীতিতে সময় দিতে যেয়ে বা চাকুরী করতে যেয়েও তিনি নিজ দলের সমর্থন অনেক ক্ষেত্রে পান নাই। সে কারণেই তাঁর আসন থেকে প্রয়াত শহীদুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস কিংবা আজকের শরীফেরা মনোনয়ন ছিনতাই করে নিয়ে যান। সঙ্গত কারণেই জনাব শামসুজ্জামান দুদুকে কয়েকবার করে জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে দেখা যেত। তবুও তিনি কট্টরপন্থী বিএনপি নেতা হিসাবে শেষ পর্যন্ত নিজ দলেই থেকে গিয়েছেন।
সাবেক এই ছাত্রনেতা ‘জাতীয়’ নেতা হতে চেয়েও কেন যেন পারেন নি। অন্ধ হয়ে কথা ববার অভ্যাস ছাড়তে পারলে, তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বার সুযোগ আছে। পরিচ্ছন্ন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে এখনো একজন শামসুজ্জামান দুদুর দেশকে কিছু দেবার আছে বলে গবেষণার নানা রঙ বলছে। দুদু কি পারবেন নিজেই একটি ইন্সটিউট হতে ? তুলির অনবদ্য আঁচড়ে তাঁর সব রাগ মন্দের ওপরে পড়লে তিনিই চিত্র আঁকতে পারবেন ! যা বাংলাদেশের স্বার্থকে সংরক্ষিত করবে। তাঁকে আটকিয়ে রাখার সামর্থ্য গবেষণা দলের হল না তো ! ঠিকই পয়েন্ট বা স্কোর করে বললেন, আমিও ১০০’র মধ্যে আছি ভাই !

সুপ্রিয় পাঠক,

কেএইচএন রিসার্চ টিমের সাথেই থাকুন। ২৭ আগস্ট ২০২০ রাত ১০টায় শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্য হতে ৯০ থেকে ৮১ নং পর্যন্ত যাওয়া হবে। অর্থাৎ নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সর্বযুগের কিংবদন্তিতুল্য ১০০ জন রাজনীতিকদের নামের তালিকাও ২৭ আগস্ট বেলা ১টায় প্রকাশ করা হবে।  থাকবে ১০০ হতে ৯৬ পর্যন্ত নামের তালিকা — কারা জায়গা পেলেন !  অপেক্ষায় থাকুন। বলাবাহুল্য, দুইটি গবেষণা সম্বলিত প্রকল্পের দুইটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০-এ।  কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট এর অফিসিয়াল সাইট ছাড়াও একটি জাতীয় দৈনিকে তা প্রকাশ করবার উদ্যোগে যাওয়া হবে। 

 

আপনাদের মতামত এবং জায়গা পাওয়া  কারো সম্পর্কে তথ্য দিতে চাইলে নিম্নলিখিত ই মেইলে পাঠান।

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close