Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সেরা ( ১০-তম) – জেবেল রহমান গাণি

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ

 

A life in politics is for people who know themselves and know where their own line is between loyalty and honesty. এমন উক্তি নিকোলে ওয়ালেস এর। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বোধ , জ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্য এবং সততাকে পুঁজি করে নিকোলে ওয়ালেস এর উল্লেক্ষিত মতবাদের আলো যেন পড়েছে বাংলাদেশের এক রাজনীতিকের ওপর। যেখানে তিনি গতানুগতিক রাজনীতিকদের তাঁবুতে বসবাস করেও ব্যতিক্রমি এক সত্তা। নাম, জেবেল রহমান গাণি

 

পারিবারিক রাজনীতির উত্তরসূরীর ধারাবাহিকতায় জেবেল রহমান গাণি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বলে গণ্য হন।

 

স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক উত্তরসূরী, এদেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহানায়ক জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নাতি তিনি। হ্যাঁ, সাবেক মন্ত্রী ও সফল রাজনীতিক শফিকুল গাণি স্বপনের জ্যেষ্ঠপুত্র হিসাবে তিনি দাদা ও পিতার পদাংক অনুসরণ করে সব সময় বলছেন, ভালই আছি।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি’র রাজনৈতিক জ্ঞান, সততা, প্রতিশ্রুতি, দূরদৃষ্টি ও দেশপ্রেম সমকালীন অপরাপর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে তাঁকে আলাদা করে চেনায়।

 

জেবেল রহমান গাণি ১৯৭২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। অসাধারণ নারী সত্তা নাজহাত গাণি শাবনম এর গর্ভে বড় সন্তান হিসাবে তিনি এই গ্রহে আসেন। জেবেল গাণির ভাই ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান আনাস ও এক বোন ফারিয়া গাণি রয়েছেন । ব্যক্তি জীবনে তিনি ব্যবসায়ী ও বিবাহিত। স্ত্রী ফারহানা শাহিন গাণি। যিনিও একজন ব্যবসায়ী। দুই সন্তানের জনক তিনি। এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে তাঁর। জেবেল এর কন্যা ইউসরা রহমান গাণি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এর বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে পুত্র ইয়াসার রহমান গাণি নেদারল্যান্ডস এর ইউনিভার্সিটি অফ আর্মাস্টাডার্ম-এ বিএসসি করছেন অর্থনীতির ওপর, তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্র।

 

২০০৯ সালের ২৩ আগস্ট পিতা শফিকুল গাণি স্বপন এর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ন্যাপ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত হন জেবেল রহমান। একই বছরের ডিসেম্বরে জরুরি জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

 

জেবেল রহমান গাণি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে তিনি পরিচিতি অর্জন করেছেন।

 

মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাপ (নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের সময়) জেবেল রহমান গাণির নেতৃত্বে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছে। দলটির মূল লক্ষ্য বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া। আর সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে প্রচলিত আছে।

 

জেবেল রহমান গাণি সমসাময়িককালে দুইবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সাথে বৈঠক করে আলোচনায় আসেন। যেখানে ২০১৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে দাবী ও সুপারিশ রাখেন। তিনি দলের পক্ষে যে সকল দাবী তুলে ধরেন, সেগুলো হল, (ক) সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করা, (খ) বাছাই কমিটিতে থাকবেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, প্রাজ্ঞ এবং নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি, (গ) সার্চ কমিটির প্রধান হবে অবসরপ্রাপ্ত একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি অবসরের পর কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন নি, (ঘ) আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, যিনি অবসরের পর রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন নি, ২) নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে হবে, ৩) এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যে কমিশন বছরে অন্তত ৩ বার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, ৪) নির্বাচনী প্রচারণায় দলের চেয়ারম্যান/সভাপতি, মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদকদের উপর কোনো বিধি নিষেধ রাখা যাবে না, ৫) রাজনৈতিক দলগুলো সাথে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের বিবরণী, সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধির স্বাক্ষরযুক্ত দলিল হিসেবে সর্ব সাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে।

 

 

সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,  ক) শক্তিশালী নির্বাচন কশিমন গঠনের পূর্ব শর্ত হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের জাতীয় ঐক্য, খ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের সুফল সকল রাজনৈতিক দলকে পেতে হবে, গ) প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা গেলে নিশ্চয়-ই রাষ্ট্রপতির অর্থবহ চিন্তাকে সম্মান করার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সায় থাকবে।

 

অন্যদিকে তিনি ২০২২ সালের শুরুতে পুনরায় রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠক করে বলেন যে, “নির্বাচন কমিশনকে একটি আধুনিক ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে তদারকি (মনিটরিং) ও নিরাপত্তার (সিকিউরিটি) জন্য নানাবিধ প্রযুক্তি সহজলভ্য। আমরা মনে করি, প্রতিটি কেন্দ্রকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের জন্য পিপলস কাউন্টিং মেশিন, সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা, রের্কিডিং ও লাইভস্ট্রিমিংয়ের মতো প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।”

 

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া অর্থবহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাপ। এ কথা জানিয়ে জেবেল রহমান গাণি তাগিদ দিয়ে বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বারবার এই কমিশন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে রাষ্ট্রপতি দ্রুততম সময়ে সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নে আইনের বিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখি।”

 

 

জেবেল রহমান গাণির চরিত্রের সবচাইতে বড় গুন হল, তিনি বৈশ্বিক ও  বাংলাদেশ এর বাস্তবমুখী সমন্বয় বিবেচনায় রেখে রাজনীতি করতে চান। যার দরুন রাজনৈতিক পড়াশোনাটা করতে তিনি অভ্যস্ত এবং নিজের জীবনকে পুরোপুরি রাজনীতির জন্যই সঁপে দিয়েছেন। তিনি মওলানা ভাসানীর মেহনতি মানুষের জন্য করা চিরন্তন রাজনীতিকে ধারণ করেন। আবেগ ধারণ করে তিনিও তাঁর মত করে লড়তে চান।

 

জেবেল রহমান গানি নিজেও উচ্চ শিক্ষা নিতে একটা সময়ে যুক্তরাজ্যে ছিলেন। আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।  তখন থেকেই তিনি উপমহাদেশের রাজনীতি সম্যক ধারণা নিতে থাকেন। পররাষ্ট্র সম্পর্ক ও দূতিয়ালী পর্যায়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। যা তিনি এক প্রকার উত্তরাধিকার সূত্রেই যেন পেয়েছেন। কারণ, তাঁর দাদা মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও পিতা শফিকুল গাণি স্বপনও বৈশ্বিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের বন্ধন ইস্যুতে জাতীয় রাজনীতিতে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছিলেন।

 

জন এফ কেনেডি বলেছিলেন,  Domestic policy can only defeat us; foreign policy can kill us. কেনেডির অর্থবহ উক্তির ব্যাখায় গেলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য স্বার্থ সংরক্ষিত হয়, এমন বৈশ্বিক দিক বুঝে নেয়ার জন্য যোগ্য রাজনীতিকদের অভাব রয়েছে। জেবেল রহমান গাণি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একজন কার্যকর নেতা হয়ে দাঁড়াতে পারেন, কারণ, তিনি বাংলাদেশের প্রশ্নে খুবই আত্মকেন্দ্রিক তথা দেশপ্রেমিক।

 

মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, Future depends on what you do today.  জেবেল রহমান গাণিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে লড়ছেন। তাঁর মত করে। না, দাদা কিংবা পিতার মত করে সাংসদ কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদমর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী হওয়াও হয়নি। তবে সাংসদ হতে পারার একটা সাধারণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ক্ষমতার অংশীদারের ভাগিদার হয়ে পড়লে আগেই চলে যেতে পারতেন। কথিত আছে, সংসদে যাদের জায়গা হচ্ছে, তাঁরা অনেকের জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা ! কিন্তু, জেবেল চিন্তিত নন। বরং, বাংলাদেশের দ্বিদলিয় শাসক গোষ্ঠির বাইরে থেকেও তিনি  নিজ দলের জন্যই শুধু নিবেদিত একজন সংগঠক নন, বরং রাজনৈতিক কৌশল রপ্ত করে দেশের বেশকিছু নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর মাঝিও তিনি। যেখানে সে সকল সংগঠনগুলো একজন সৎ জেবেল এর ওপর আস্থা খোঁজেন । এখানেই জেবেল গাণির রাজনৈতিক বর্তমান দৃশ্যমান হয়। 

 

 

জেবেল রহমান গাণি যা বিশ্বাস করেন তা সেই বিখ্যাত উক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কিনা জানা যায় না, তবে তাঁর সাহস ও সপ্ন এককাট্টা হয়ে নতুন সড়কের দরজাকে সামনে আনায়। অর্থাৎ যখন বলা হয়েছিল, Never doubt a small group of thoughtful committed citizens can change the world. কাজেই জেবেল  গাণি খুব ভাল করেই অবগত,  বিদগ্ধশ্রেণির একটি অংশকে আজ নয়তো কাল আমরা পেয়ে যাব, আর তখন পৃথিবীকে না পারি, বাংলাদেশের ঘুণে ধরা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনও আনা যাবে।

 

জেবেল রহমান গাণি হয়তো শুধু রাজনীতি করেন একটি মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে। তা জ্ঞাত হয়ে হোক, কিংবা অজ্ঞাত হয়ে। যেখানে ফ্রাংক্লিন বেঞ্জামিন বলেছিলেন, where liberty dwells there is my country. কিন্তু জেবেল গাণি যে দেশে বাস করেন, তিনি মনেই করেন না,দেশটি সত্যিকারের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। জেবেল তাই লড়ছেন, রাজনীতি করছেন। কিন্তু ধর্মান্ধ অধ্যুষিত জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি কি করতে পারবেন ? যেখানে গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটটল বলেছিলেন, অল্পশিক্ষিতরা ধর্মকে বিশ্বাস করেন, শিক্ষিতরা অবিশ্বাস আর রাজনীতিকেরা ধর্মকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন। 

 

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, তিনিই রাজনীতিক, যিনি আধ্যাত্মিকতাকে প্রশ্রয় দিয়েই ঘর-সমাজ ও কথিত রাষ্ট্রীয় প্রথাকে ডিঙিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের সন্ধান করেন, যদিও আধ্যাত্মিকতার সাথে প্রচলিত ধর্মগুলোর কোন সম্পর্ক নেই, সতর্ক করছি। 

কে/পল/০৯৮৭ 

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close