কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ
তৃণমূল রাজনীতিকে সঙ্গী করে ঢাকা জেলার রাজনীতিতে আলোচনায় চলে আসেন। এম এ মালেক এর কথাই বলা হচ্ছে। ২০১৪ সাল। তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঢাকা-২০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এম এ মালেক ১৯৫৩ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল গফুর ছিলেন পেশায় নামকরা ব্যবসায়ী। মাতা সুফিয়া বেগম ছিলেন গৃহিণী। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামে তাঁর শৈশব কাটে। তিনিও পিতার মত করে পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি একটি বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালক। এর আগে তিনি একজন প্রথমশ্রেণির ঠিকাদার হিসাবে পেশাজীবনে সফল হয়েছিলেন। তাঁর সহধর্মিণী মিনা মালেকও কৃতি রাজনীতিক।
এম এ মালেকের রাজনৈতিক সত্তায় যে সকল গুনগুলো রয়েছে তা হল, সততা, দেশপ্রেম ও মানুষের সাথে মিশতে পারার অসীম যোগ্যতা। তিনি তাঁর নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধনে দিবানিশি সময় ব্যয় করতে রাজী থাকেন।
এম এ মালেক একজন ধার্মিক চরিত্রের আধুনিক সত্তা। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জাতির জনকের ডাকে তিনি ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারুণ্যের শুরুতেই নিজেকে প্রমাণ করতে সচেষ্ট হন। সঙ্গত কারণে এখনো পর্যন্ত তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে মেনে নিতে পারেন নাই। তাঁকে তাঁদের কোন সামাজিক অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায় নাই।
এম এ মালেক সাধারণত দুস্থদের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান ইস্যুতে সোচ্চার থাকা একজন রাজনীতিক। তাঁর সাংস্কৃতিক মনবোধে মানুষকে স্রষ্টার পক্ষে থেকে ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে সব কিছু পরিচালিত হোক, এমন কিছুই উঁকি দেয়। তিনি বলতে চান, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাঙ্গালির প্রতিটি ঘর থেকেই আন্দোলিত হোক। তিনি অসম্ভব দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বারংবার করে বলেছেন, ধামরাই আপনার, ধামরাই বঙ্গবন্ধুর, ধামরাই আওয়ামী লীগের, ধামরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে লালন করে। মালেকের এমন বক্তব্য মনগড়া বক্তব্য হিসাবে প্রতিভাত হয় না, যখন ২০১৪ সালের ৫ জুন তিনি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলে ধামরাইয়ের ১৪টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। যা আজ অব্দি তিনি সেই তৃনমূলের রাজনীতিকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এম এ মালেক মুলত নিজেও সেই তৃনমূল থেকে উঠে আসা চরিত্র, যিনি টানা ২০ বছর ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একসময় ধামরাই থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। পরবর্তীতে সভাপতি হওয়ার পর তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন এবং এখনো দলিয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করতে চান। এম এ মালেক নিজ এলাকায় এতটাই জনপ্রিয় যে, দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও তিনি ঠিকই ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হতেন। এমন কি প্রবল প্রতিপক্ষ বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হয়েই ছেড়েছেন। টানা চারবার তিনি জিতে মাটি ও মানুষের আস্থার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত রাজনীতিক। এদিকে তিনি মনে প্রাণে ইসলামিস্ট হলেও চেতনায় অসাম্প্রদায়িক। এলাকার প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষগুলোর সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেন তিনি।
এম এ মালেক ফলত গণমুখী এক চরিত্র। তিনি পুনরায় বড়সড় দায়িত্ব পেলে মন ও মননের মিশেলে নিজেকে প্রমাণ করতে উদ্যত হবেন। কারণ, তাঁর দৃষ্টি জনমুখী। এম এ মালেক কে বলাই যায় এবং তা প্রমাণিত সত্য যে, When you are in government, you are on the ground, and you are looking into the eyes and hearts of the people you are there to serve.
এম এ মালেক তাই যেন বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় আবারো সংসদে যেতে চান। তিনি বলতে চান, আমি তো নির্বাচনে পরাজয় বরণ করিনি, কারোর কাছে হারিনি, হারবো না। তাহলে কেন বৃহৎ পরিসরে নিজেকে নিয়ে ভাববো না ? তিনি বলতে চান, Building sustainable cities – and a sustainable future – will need open dialogue among all branches of national, regional and local government.
এম এ মালেক যেন সেই বিখ্যাত উক্তির ধারক। যেখানে বলা হয়েছিল, … go down to the country, take a house, get interested in local politics, in local scandal, in village gossip. Take an inquisitive and violent interest in your neighbours.
এমন একটি বাস্তবতায় এম এ মালেকের রাজনীতি সমৃদ্ধ হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য দরকার হয়ে পড়ে। গবেষণাও দাবী করে, তিনি আরো কিছু দিতে পারবেন প্রিয় বাংলাদেশের জন্য, ধামরাইবাসীর জন্য।
কে/অ৯০/রি/জ
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.