Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

রাজনৈতিক ভবিষ্যত সেরা ১০০( ১৯-তম) – কাজী এরতেজা হাসান

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

 

প্রথাগত ধর্মীয় কৃষ্টির সাথে জোর করে মানিয়ে নিয়ে যখন তুমি একজন রাজনীতিক, রাষ্ট্র তখন বলছে, আজ থেকে তুমি ধর্মমন্ত্রী। রাষ্ট্র মাথা নীচু করে তখন বলছে, সরকারের নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য হচ্ছি।

এদিকে দক্ষিন এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ‘বাংলাদেশ’ ইসলামের পথে আসলে রয়েছে কিনা ? তাঁরা ইসলামের সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে কিনা ? মানুষ ফলত খোদাপ্রেমিক, কিন্তু ফাঁকিবাজি ধার্মিক হওয়ার খেসারতে যে যেভাবে পারছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাষণ দিয়ে বলছে, কী, ঠিক আছে কিনা !

গেল পঞ্চাশ বছরে তাই ‘রাষ্ট্র’ দীনের রাস্তায় জনগণকে নিয়ে যেতে পেরেছে তা নিয়ে গবেষণার খোরাক আছে। বরং, আজকের বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একশ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ীদের আগমনে জনগোষ্ঠী বিভ্রান্ত হচ্ছে, এমন দাবী সত্যিকারের ইসলামী স্কলার তথা বোদ্ধাশ্রেণির। কিন্তু, মানবিক জীবন ও একটি নৈতিকতার সড়কে দেশের মানুষকে পথিক করা যাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে অর্থবহ প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে ইসলামের বেশভূষ নিয়ে এক ইউটিউব, ফেসবুক থেকেই মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা ওই সকল ধর্ম ব্যবসায়ীরা আয় করছে। উপরন্ত, ওয়াজ মাহফিলের মত ধারাবাহিক সূচী তো তাঁদের রয়েছেই। এভাবেই যখন বাংলাদেশ দিগভ্রষ্ট ইসলামের দিকে ধাবিত, তখন গুটিকয়েক ইসলামিস্ট সাংস্কৃতিক পর্যায়ে গুনগত পরিবর্তন নিয়ে আসবার উদ্যোগে যেয়ে বলছে, তোমরা আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে ভয় কর এবং শুধু তাঁর ইবাদতে সামিল হও। তেমনই এক সত্তার নাম ড. কাজী এরতেজা হাসান।

 

গবেষণা দাবী করে, এরতেজা হাসান হলেন বাংলাদেশের প্রথম সেই আধ্যাত্মিক ব্যক্তিসত্তা,  যিনি একটি দেশের প্রধান শাসক শেখ হাসিনাকে কে উদ্দেশ্য করে বললেন, একজন শেখ হাসিনা শুধু জন্মসূত্রে মুসলিম নন, তিনি ইসলামের সেবায় নিজের জীবনকে সঁপে দেয়া সেই দূত, যিনি মহান আল্লাহর রহমতে একটি দেশ পরিচালনা করছেন।

 

এরতেজা এও জানান দিলেন, দেশে ইসলামের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর এককাট্টা হওয়ার  মাধ্যমে যে ২০ দলীয় জোট এবং সেই জোটের কথিত জাতীয়তাবাদের নেত্রী নিজেই তো ইসলামকে ধারণ করেন না। তিনি নিদ্রা থেকে ওঠেনই যে বেলা ২টায় !

 

কাজী এরতেজা হাসান চিৎকার করে তাই বলছেন, একজন ব্যবসায়ী হিসাবে যখন বার বার করে বিদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়েছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, তিনি ইসলামের আলোকে এই দুনিয়ায় আসা বিশেষ কেহ, তিনি ধর্মচিন্তায় আপ্লুত সত্তা, যেখানে তিনি  মনেপ্রাণে আবার অসাম্প্রদায়িকও। এখানেই তাঁর উদারতা ও নেতৃত্বের আসল সৌন্দর্য্য প্রতিভাত হয়।  

 

কাজী এরতেজা হাসান তাই বসে থাকেন নি। লিখতে বসলেন, ভাবলেন, চিন্তা করলেন এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘ধর্মচিন্তা’ শীর্ষক পুস্তক রচনা করে বললেন, “জননেত্রী আপনি কেমন আছেন ? আমরা আছি আপনার সাথে”।   

 

এরতেজা হলেন সেই হৃদয়ের মানবিক সত্তা, যিনি দেখতে পান অনেক কিছুই। তিনি শেখ হাসিনার হৃদয়ে মহান আল্লাহ পাকের অবস্থান যে রয়েছে তা দেখতে পান। এই প্রসঙ্গেই এক আধ্যাত্মিক দার্শনিকের উক্তিকে স্মরণ করা যায়। যিনি বলেছেন,   “The bravest heart is the one that stays close to Allah , even, when it’s in pain.”—-অর্থাৎ, “সবচেয়ে সাহসী হৃদয় সেই, যে আল্লাহর কাছে থাকে, এমনকি যখন এটি ব্যথা হয়।”

 

এমন উক্তির বিশ্লেষণ নিয়ে লক্ষ কোটি বছর পার করার প্রাসঙ্গিক যুক্তি থাকলেও সমাজ কি তা হতে দিচ্ছে ? জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষকে কথিত পেশাভিত্তিক জীবনকে সঙ্গী করে বলতে হচ্ছে, এই যে আমার পরিবার, এই যে আমার সমাজ এই যে আমার সহকর্মীরা। কিন্তু, শুধুমাত্র মহান আল্লাহকে ধারণ করতে চাইলে বৈষয়িক হওয়া যায় ? গাড়ি-বাড়ির মালিক হওয়ার মধ্য দিয়ে এই ফিকে জীবনের আসলে গুরুত্ব কি ? এমন প্রশ্নও মাঝেমাঝে ছুঁড়ে কাজী এরতেজা হাসান নিজের আসল হৃদয়কে বের করে নিয়ে আসতে চাইলেও পারিপার্শ্বিকতা তা হতে দিচ্ছে কি ?

 

সামাজিক- রাজনৈতিক ভারসাম্যের কদরে যেয়ে যিনি ফলত সৃষ্টিকর্তার ওপরেই আস্থা রেখে পথ পরিক্রমাকে সাজাতে পারেন, তিনিই নেতৃস্থানীয় চরিত্র, আর সেই গুনাবলী একজন এরতেজার মধ্যে রয়েছে। সঙ্গত যুক্তিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও আধ্যাত্মিক বলয়কে ধরে রেখে জীবনের গতিপথকে নির্ধারিত করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবেই ইতিহাসের পাতায় কাজী এরতেজা হাসানের জায়গা হয়ে যায়। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাথে রাজনীতি- অর্থনীতির মিশেলে লোকটাকে দরকার হয়ে পড়ে। হ্যাঁ, আগামী দিনের বাংলাদেশ এর জন্য তিনি রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হিসাবে ১৯-তম স্থানে জায়গা করে নিলেন।

 

এক নজরে ড. কাজী এরতেজা হাসান

 

পিতাঃ মরহুম কাজী আব্দুল মান্নান

মাতাঃ আজিজা মান্নান

বড় ভাইঃ কাজী হেদায়েত হোসেন রাজ

জন্মস্থানঃ সাতক্ষীরা

ব্যবসায়িক অবস্থানঃ সি আই পি

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দৈনিক ভোরের পাতা, ডেইলি পিপলস টাইম

পরিচালকঃ এফবিসিসিআই

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিঃ  ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি

চেয়ারম্যানঃ বাজার২৪ , সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ , বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন, ভোরের পাতা গ্রুপ অফ ইন্ডস্ট্রি, কাজী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি।

সদস্যঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপ কমিটির ধর্ম ও বাণিজ্য বিষয়ক।

সহ সভাপতিঃ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ।

একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে দেশের আলোচিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসর বিপিএল এর দুইবার করে দুইটি দলের মালিকানায় ছিলেন।

তিনি তাবলীগ জামাতের অভিভাবক পর্যায়ের সংগঠক।  

কাজী এরতেজা হাসান এর স্ত্রী রয়েছেন। যার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।  তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক।

 

একটি ঈশ্বরীয় মতবাদ নিয়ে আলোচনায় যাওয়া যায়। যখন কেহ বললেন, “When you forget that you need Allah , He puts you in a situation that causes you to call upon Him. And that’s for your own good.” অর্থাৎ, “যখন আপনি ভুলে যান যে আপনার আল্লাহকে  প্রয়োজন, তখন তিনি আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলেন যা আপনাকে তাঁকে ডাকতে বাধ্য করে। আর সেটা তোমার নিজের ভালোর জন্য।”

 

মানুষ এখানেই ভুলে যায় যে, এই গ্রহে মনুষ্য প্রাণের টিকে থাকার জন্য অনিবার্য কারণেই উপাসনায় যেতেই হবে। এবং, সেই উপাসনা আল্লাহকে ঘিরেই আবর্তিত। একজন এরতেজা হাসানের জীবন সংসারের প্রধান ধর্ম হল, আল্লাহকে সময়ে- অসময়ে ডাকা। আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তিনি বিপদে পড়লেই তাঁর দ্বারস্থ হন না, তিনি বরং খামখেয়ালী ও উদাসীন হয়ে নিরুদ্দেশ হতে পছন্দ করেন। অথচ, আগামীকাল বেলা ১২টায় তাঁর একটি ব্যবসায়িক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ! এখানেই এরতেজা  সবকিছুকে তুচ্ছ করে স্রষ্টার আরাধনায় যেয়েই সুর ধরে বলেন, তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ !

 

সুরের কথা যখন হচ্ছেই, এরতেজার জীবনকে অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে পরখ করলেই দেখা যায়, তিনি কোথায় দুর্বল ! তাঁর দুর্বলতা তাঁর গর্ভধারিণী, তাঁর মা।  যিনি এক সুরের যাদুকর। জন্মগত প্রতিভা নিয়ে তাঁর মা আজিজা মান্নান সমাজের জন্য শিল্পীসত্তা হলেও সন্তানের কাছে ঈশ্বর, যে ঈশ্বর তাঁকে জন্ম দিয়েছেন । তাই স্রষ্টাকে বলে কয়ে তিনি তাঁর মায়ের মাঝে আল্লাহকে খুঁজে মাকে মুঠোফোনে কল করে বলেন, মা দোয়া কর, সূরা পড় আর একটা গান শুনিয়ে আমাকে শক্তি দাও!

 

এই শক্তি তাই জীবনের চলার পথের হোচটকেই শুধু ডিঙিয়ে এরেতজার পথচলাকে মসৃণ করে না, তাঁর এই শিশুতোষ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে মানবতা, স্নেহ, শ্রদ্ধা, ঈশ্বর প্রীতি প্রকটিত হয়, আর ওই সেই সুরের ঢেও জলের জোয়ারকে বলে, সব অপশক্তি শরীর ও মন থেকে  বিদাও হও !   

 

আরেকটি আধ্যাত্মিক আবহে দার্শনিক মতবাদের কাছে ফেরা যাক। যেখানে বলা হচ্ছে,  “পার্থিব জীবন সংক্ষিপ্ত, তাই আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে আল্লাহর দিকে ফিরে যাও।” জনাব এরতেজা হাসানের এই সাংস্কৃতিক মনবোধটি রয়েছে বলেই তিনি বাংলাদেশের জন্য লড়তে চান, বিশ্বের মুসলিম গোষ্ঠির জন্য বাঁচতে চান, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, ক’দিনের দুনিয়ায় নৈতিকতা নিয়েই চলতে পারলেই আল্লাহর রাজ্যে ফিরে যাওয়া যাবে। তাই তিনিও বলছেন, “Worldly life is short, so turn to Allah  before you return to Allah .”

 

এদিকে আলবার্ট আইনাস্টাইন যখন বললেন, . “If you want to live a happy life, tie it to a goal, not to people or things.” তখন সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে সফল হওয়া, নাকি ঈশ্বরের বন্দনায় যেয়ে নিজেকে সঁপে দিয়ে পার্থিব জীবনকে অবজ্ঞা করে স্থায়ীভাবে সফল হওয়াটাকে গুরুত্ব দেয়া, সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজে নিতে হবে।

 

এই খুঁজে নেয়ার মধ্যে নিশ্চয়ই সমাজ কিংবা রাষ্ট্র কে উপেক্ষাও করা যাচ্ছে না। কেননা পথ প্রদর্শক হতে হলে মনটাকে রাজনৈতিক করতেও হবে। যা একজন এরতেজা হাসান করতে পেরেছেন। তাই তিনি বড় ভাইয়ের এক সময়ের ছাত্রলীগ করাটাকে অনুপ্রেরণা হিসাবে ধরেন। একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কে তিনি ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বক্তব্য বলে ধারণ করে বলতে পারেন, হে শেখ হাসিনা, কিছু পেতে রাজনীতি করতে আসিনি, তোমার হাতকে শক্তিশালী করতে বৈশ্বিক পর্যায়েও আমি সাধারণ ভুমিকা রেখে যাচ্ছি। সঙ্গত যুক্তিতেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে উপেক্ষা করে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের মানোন্নয়ন প্রশ্নে ভুমিকা রাখতে সচেষ্ট হয়েছি।  নিশ্চয়ই আল আকসা মসজিদের গ্রান্ড মুফতির বাংলাদেশ সফরকে আপনি ভুলে যান নাই ! প্রতিবেশী দেশের মুসলিম কমিউনিটির সাথেও একজন এরতেজার সম্পর্ক মহান স্রষ্টার পথেই কাজে লাগুক, এটিও এক পর্যায়ের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ।

 

এরতেজার মন যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাতর তা প্রমাণিত হয়, যখন তিনি অমর একুশে গানের রচয়িতা লেখক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সামনেই প্রতিশ্রুতি দিলেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান তথা মুক্তিযোদ্ধাদের যারা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অবদান নিয়ে আমি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসতে চাই।

 

গ্রীক দার্শনিক সক্রেটস একদিন বললেন,  The unexamined life is not worth living. এরতেজা তাঁর জীবনে পরীক্ষা দিতে দিতে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু নিশিতে তিনি স্রষ্টার কাছে ধরা দিয়ে আরেকটা সকালে ফিরে আসেন। আরো শক্তিশালী হয়ে। নেতৃত্বের গুনাবলির মধ্যে সততা, দক্ষতা, দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি ও চরিত্র ঠিক রেখে চলছে তাঁর জীবন, যে জীবন ধর্মভিত্তিক পাল তুলে দিয়ে ঝান্ডা ওড়ানোর বন্দোবস্তে থাকে।

 

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, জীবন হল মহাসড়কের মতই, ঈশ্বর কেবল তাগিদ দিয়ে বলবে, সামনেই গতিরোধক, খানিকটা আমায় স্মরণ করে আবার ছুটতে থাকো…”

 

কে/০০৯৮৭/খব

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close