Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

রাজনৈতিক ভবিষ্যত সেরা ১০০( ৬৫-তম)- জি এম রাব্বানি( নয়ন বাঙালি)

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

 

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, Life must be lived as play.  বাংলাদেশি রাজনীতিক জি এম রাব্বানী( নয়ন বাঙালি)। হ্যাঁ, তিনি খেলতে পছন্দ করেন। খেলতে খেলতে সাত সমুদ্দুর পার হয়ে যেয়ে বলছেন, “আমি আছি। একদিন ফিরেও আসতে চাই প্রিয় বাংলাদেশে।“

 

নয়ন বাঙালি, এই নামেই তিনি ফলত বাংলাদেশে পরিচিত মুখ। সামাজিক নেতৃত্ব দিতে দিতে একদিন রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেয়ার মানসে যখন গেলেন, তখন দেখলেন অযোগ্যরা তাঁকে আটকাতে চায়, শাসকশ্রেণি রুখতে চায়। পাথর চাপায় এক মেধাবী রাজনীতিকের যেন সেই দশা, যখন ইতিহাসের পাতায় থাকা সেই দার্শনিক মতটি মনে করিয়ে দেয়। কী ছিল তা ? ছিল, “Under every stone lurks a politician.”

 

যদিও রাজনীতিক হতে পারার সামর্থ্য থাকাটাও জরুরী। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, Politics is a sweet game played by little god with right of naughty people— But question is, who is politician ?

 

একজন নয়ন বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক মনোবোধে রাজনীতি। যিনি আবার কার্যত সামাজিক সত্তা। সমাজ কর্মী হয়েই গোষ্ঠিগত উন্নয়ন সূচকের ফলাফলের ভিত্তিতে দুর্দান্ত পরিণতি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে চান, এটাকেই রাজনীতি বলে। রাজনীতিক হতে পারার সক্ষমতা সকলেই অর্জন করে না। প্রচলিত রাজনীতির ধারায় যাদেরকে পদ পদবী নিয়ে রাজনীতি করতে দেখছি আমরা, আসলে কী তাঁরা রাজনীতিক হতে পারছেন?

 

নয়ন পেরেছিলেন, পারছেন। মৌলিক চিন্তায় পরিবেষ্টিত থেকে তিনি ঈশ্বরমিত্রের আরেকটি মতবাদকে জিতিয়েছেন। যখন ঈশ্বরমিত্র বলছেন, “তুমি দেশ ও এই গ্রহের জন্য অপ্রকৃতস্থ হও, ওটাই তোমার ক্ষমতা হয়ে দাঁড়াবে।“

পাগলামো টা একজন নয়ন বাঙ্গালির মধ্যে আছে। সঙ্গত যুক্তিতে আরেকটি মতবাদের দংশনেও নয়ন ইতিবাচক আবহে দংশিত। যখন একজন দার্শনিক বললেন,  There is only one corner of the universe you can be certain of improving, and that’s your own self.

 

নয়ন বাঙালি  বেশ কয়েক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখানেও  তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক পথচলায় বসবাস করে নিজেকে গড়ে তুলছেন। প্রতিটি দিবসেই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে তাঁর পছন্দের মতবাদকে আঁকড়ে রেখে বলছেন, সক্রেটস ঠিকই বলেছিলেন, NO THYSELF !

নয়ন বাঙালি ১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজধানী ঢাকায় তাঁর স্থায়ী আবাস হলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম হল তাঁর পৈত্রিক নিবাস। রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী এবং চৌদ্দগ্রামের আঞ্চলিক রাজনীতিতে তিনি তরুণ বয়সে নাম কুড়ান। পিতা মোঃ একরামুল হক ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সরকারী কর্মকর্তা। যিনি চট্ট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডাবল মাস্টার্স করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৫৩ বছর বয়সে তাঁর অকাল মৃত্যু হয়। মাতা মেহেরুন নেসা। পেশায় রাজনীতি। পিতা ও মাতা উভয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ও আছেন। পিতা পল্লবী থানার বিএনপির প্রথম প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। মাতা একাধিকবার করে নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন উত্তর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। নয়ন বাঙালি যুবদল, থানা বিএনপি, পৌর বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী ফোরাম, জাতীয়তাবাদী নাগরিক মঞ্চ, বুদ্ধিবৃত্তিক ফোরাম জি-৯ এর মত সংগঠনগুলোয় জড়িত ছিলেন।

 

নিজ মায়ের সাথে নয়ন  

 

রাজনীতির ময়দানে নয়ন বাঙালি আলোচনায় আসবার আগে তিনি কার্যত যুব ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। সামাজিক এই পথচলায় থেকেই তিনি তরুণ নেতৃত্বের বিকাশে নিজের মন ও মননকে সঁপে দেন। যেমন, একটি বিখ্যাত উক্তি এই ক্ষেত্রে তাঁর জন্য প্রযোজ্য হয়। উক্তিটি ছিল, The function of leadership is to produce more leaders, not more followers.

 

নয়ন বাঙ্গালিও ঠিক এই কাজটিই বাংলাদেশে করতে চেয়েছিলেন। প্রতিটি সপ্তাহেই তিনি যুব নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করতেন। এই কাজটি আরম্ভ করতে যেয়েই একদিন বুঝতে পারেন, তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে রাজনীতির সাথে আপোস প্রয়োজন। এই আপোসের ফয়সালাই তাঁকে রাজনীতিক করে তোলে। যদিও ঠিক এই মুহূর্তেও তিনি অকপটে সাহসের সঙ্গে বলতে উদ্যত , I want to brand myself as a Founder father of social work politics.

তিনি বলতে চাইছেন, “সমাজকর্ম ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে রাজনীতিবিদদের প্রথম ও প্রধান শর্তই হচ্ছে তাঁকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তিনি তাগিদ দিয়ে বলছেন, কোনো দলের পদ পদবী নিয়ে আচমকা আবির্ভূত হয়ে যিনি বা যারা আসছেন, সেই সত্তাসমুহ কার্যত রাজনীতিকবর্গ নয়।“

 

নয়ন পুরোনো আরো একটি মতবাদকে প্রাধান্য দেয়ার অতি মানবিক সত্তা। যেমন, Politics is the art of looking for trouble, finding it everywhere, diagnosing it incorrectly and applying the wrong remedies.

 

নয়ন বাঙালি পরবাসে থেকেও কোথাও না কোথাও  ছুটছেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সেরা রাজনীতিকদের তালিকা প্রণয়নে যেতে গিয়ে গবেষণা দাবী করছে, তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের মৌলিক গুনাবলীর নানা দিক প্রতিফলিত। দেশপ্রেম, মেধা, দূরদৃষ্টি—এই তিনটি গুনের ওপর তাঁর নিজের নেতৃত্ব দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে যৌগিক পর্যায়ের গুনাবলীর মধ্যে সু বক্তা হওয়া, ঘটনা প্রবাহের ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়া এবং বৈশ্বিক রাজনীতির দূতিয়ালী স্থাপনে তিনি পরীক্ষিত সৈনিক বলেই ইতিহাসের পাতায় ২৫-তম স্থান করে নিয়েছেন।

 

নয়ন বাঙালি বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পেশাজীবি সংগঠন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী,  যিনি ইউ এস এ তে অবস্থান করে বাংলাদেশের আইন পেশায় নিয়োজিত। তিনি অতি অবশ্যই একজন এনরোলমেন্ট প্রাপ্ত ফরেন লিগ্যাল কনসালটেনটও — ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বার এর আইনজীবী হিসাবে তিনি কাজ করছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার ও মতের মানুষের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল অব লিডারশিপ,  যার হেড অফিস বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি ।

 

এদিকে নয়ন ঠিক ট্রাডিশনাল পলিটিক্সের ক্যরেক্টার নন। যাকে হরহামেশায় গণতান্ত্রিক আবহে ভোটতন্ত্রের বাজারে পাওয়া যাবে। বিখ্যাত একটি উক্তি এখানেও তাঁর ওপর বর্তে। যেমন সুবিখ্যাত এক দার্শনিক বলেছিলেন, We would all like to vote for the best man but he is never a candidate.

 

নয়ন বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল তাঁর দূরদৃষ্টি। যেমনটি ওয়ারেন বেনিস বলেছিলেন, Leadership is the capacity to translate vision into reality. ঠিক একইভাবে নয়ন সময়কে কাজে লাগিয়ে হৈ চৈ ফেলিয়ে দিতে চান। একটি সপ্তাহ তাঁর অলস যাবে, এমন নিয়তে থাকেন না। এক্ষেত্রে তাঁর জীবন পরিক্রমা বলে ওঠে, A week is a long time in politics.

 

নয়ন বাঙালি মুলত একজন রাজনীতিক। যিনি বিপ্লব করতে চান, তবে তা অস্ত্রের মহড়ায় নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক শক্ত তাঁবু গঠনের প্রক্রিয়ায় যেয়ে তিনিই বলছেন, No real social change has ever been brought about without a revolution.

 

ব্যক্তিজীবনে নয়ন বাঙ্গালির সুশিক্ষিতা সহধর্মিণী রয়েছেন। নাম, জিনা রাব্বানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই সাবেক ছাত্রী সম্মান ও মাস্টার্স— দুই শ্রেণিতেই প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।  পুরো পরিবার তাঁর সাথে আমেরিকায় বসবাস করছেন। প্রিয় দুই সন্তান রয়েছে। এক পুত্র ও এক কন্যা। পুত্র আহনাফ রাব্বানি। আইনের ছাত্র। অন্যদিকে একমাত্র আত্মজা আফসিন রাব্বানি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

সাম্প্রতিক সময়ে নয়ন বাঙালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি ও অধুনা জীবন ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করে তাঁর সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্রষ্টাকে তোমরা ধন্যবাদ জানাও এই মর্মে যে, তোমরা অনেক কিছু দেখতে পারার সুযোগে যেতে পেরেছো।

 

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, “মৃত ঈশ্বরও জীবন্ত। যখন তুমি উপহার নিতে পারার যোগ্যতা অর্জন কর না। শেষমেশ অভাগা হয়ে তোমারই দেহ ও আত্মার বিনাশ হচ্ছে। ঈশ্বরের প্রতীকী মৃত্যু আছে। কিন্তু একেশ্বর নামক ওই অস্তিত্বের ইচ্ছে অনিচ্ছায় সবকিছুর জন্ম ও মৃত্যু নির্ধারিত।”

 

কে।ল০৯-৭৮৮গজন

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close