Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

রাজনৈতিক ভবিষ্যত শ্রেষ্ঠ ১০০[৮৬-তম]- আরিফুর রহমান দোলন

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

You don’t need a title to be a leader. এমন চিরন্তন মতবাদের প্রতিচ্ছবি হয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সমাজকর্মী আরিফুর রহমান দোলনের পথচলা।

তাঁর চরিত্রে অনেক গুন। সাংবাদিক হিসাবে লেখার হাত তো ছিলই। দেশের সেরা সংবাদমাধ্যমগুলোয় তাঁর করা রাজনৈতিক প্রতিবেদনগুলো জমিয়ে তুলতো। এমন কি অন্যান্য প্রতিবেদকদের হিংসায় ভাসাতো এক সময়। বলতে চাইত, আমরা এমন করে পারছি না কেন ! সংবাদকর্মী থেকে অতঃপর একদিন সম্পাদক হওয়া। এরপর লেখকশ্রেণির আওতায় যেয়ে অসাধারণ প্রতিনিধিত্বকারী সত্তা হতেই হতেই রাজনীতিতেও চলে আসতে পারার অনন্য দিক। ঠিক এই মুহূর্তে রাজনীতিকে ছাপিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন, সামাজিক কার্যক্রম করেও বড়সড় পরিসরে আঞ্চলিক উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন করে ফরিদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানবসেবায় যেয়ে বলছেন, এই তো ভাল আছি। রাজনৈতিক রুগ্ন ধারায় যে সংস্কৃতি, সেখানে আমি কৃষক না হয়েও কৃষকলীগের সহ সভাপতি হয়তো হয়েছি, প্রচলিত রাজনীতিতে ‘পদ’ লাগে বলে—- কিন্তু, আমার প্রথম পরিচয় আমি সাংবাদিক, আমি লেখক, আমি প্রবন্ধকার, আমি সমাজকর্মী, অতি অবশ্যই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমি একজন শেখ হাসিনাকে পুরো বিশ্বের মধ্যে সেরা একজন রাজনীতিক হিসাবে মনে করি।

এমন পথ নির্ধারণ করে আরিফুর রহমান দোলন নেতৃস্থানীয় এক চরিত্র—সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক সত্তা হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন।  গবেষণা বলছে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বার জন্য মেধাভিত্তিক রাজনীতি ও শিক্ষিত প্রতিনিধিদের কাছে দেশ থাকতে চাইলে, আরিফুর রহমান দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম।

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, He who has never learned to obey cannot be a good commander. একজন দোলনের সত্তায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বলয়ের প্রচলিত ধারার বাসিন্দাদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। রয়েছে তাঁদের প্রতি আনুগত্য ও নৈতিকতা। তিনি যতটুকু, ঠিক ততটা প্রত্যাশা করেন। দোলন চরিত্রের এটি একটি বড় মৌলিক গুন।

আরিফুর রহমান দোলন ১৯৭৩ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহন করেন।  দৈনিক বাংলাবাজার ও সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। তারপর যোগ দেন দৈনিক প্রথম আলোয়। পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিনিধি, উপ-প্রধান প্রতিবেদক এবং সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন টানা ১০ বছরের বেশি সময়। পরে যোগ দেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’র প্রতিষ্ঠাকালীন উপসম্পাদক হিসেবে। তারপর আসেন দৈনিক আমাদের সময়’র নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এছাড়া বাংলাভিশন টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

চাকরির পর্ব চুকিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে মেলা ধরার চ্যালেঞ্জ থেকেও পিছপা হননি। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাটাইমস২৪ ডটকম এবং সাপ্তাহিক এই সময় এর সম্পাদক।আরিফুর রহমান দোলন সাংবাদিকতার পাশাপাশি নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি নিউ ভিশন রিসোর্সেস লিমিটেড, নিউ ভিশন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার, নোভে কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, গুডম্যান হোল্ডিংস লিমিটেড, অরেঞ্জ কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া এই সময় পাবলিকেশন্সের কর্ণধারও তিনি।

পেশাগত কাজ দায়িত্ব নিয়ে সফলতার সাথে শেষ করার অনন্য দিক একজন দোলনের মধ্যে রয়েছে। যেকোন পর্যায়ের রাষ্ট্রনায়ক আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বার জন্য দোলন কে বেছে নিলে জাতি উপকৃত হবে বলে অনুমিত হয়। নেপোলিয়ন এর উক্তি যেন বর্ষিত হয়,  যখন বলেছিলেন যে, When I give a minister an order, I leave it to him to find the means to carry it out. 

অন্যদিকে দোলন  ছাত্রলীগ এর রাজনীতি করেছেন। ১৯৮৮ সালে আলফাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ উত্তর ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

দোলনের পিতামহ কাঞ্চন মুন্সী ১৯৩৭ সালে কামারগ্রামে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত আলফাডাঙ্গার মানুষকে শিক্ষার আলো দেখিয়ে গেছেন। তারই দেখানো পথে এখন মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন আরিফুর রহমান দোলন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি মায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শত শত বাচ্চাদের বিনামূল্যে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। ফরিদপুরস্থ মধুখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ স্মৃতি পাঠাগার গড়ে তুলেছেন।  এলাকায় এবং ঢাকায় অসংখ্য গরিব শিক্ষার্থীকে তিনি বৃত্তি দিয়েছেন।  যুব সমাজকে কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজারো দৃষ্টিহীন মানুষের চোখের চিকিৎসা করিয়ে পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। 

ডগলাস ম্যাকআর্থার বলেছিলেন,  A true leader has the confidence to stand alone, the courage to make tough decisions, and the compassion to listen to the needs of others. He does not set out to be a leader, but becomes one by the equality of his actions and the integrity of his intent.

দোলনের মধ্যকার নেতৃত্বের মৌলিক গুনাবলি ছাড়াও রয়েছে ডগলাসের নেতৃত্ব ইস্যুতে মতবাদের ধর্ম। তিনি একজন ভাল শ্রোতা ও অতি অবশ্যই তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দিকটিও তাঁর মধ্যে আছে।

“Culture is the widening of the mind and of the spirit.”— এমন মত রেখেছিলেন জহরলাল নেহেরু। সঙ্গত যুক্তিতে ভর করে  আরিফুর রহমান দোলন পুরদস্তুর একজন লেখকি সত্তা। তাঁর রচিত ও সম্পাদনায় যে সকল পুস্তক রয়েছে এরমধ্যে   অদম্য শেখ হাসিনা, একাত্তরের গোপন দলিল, জঙ্গিদের শেকড় সন্ধানে, মায়াবী স্পর্শ, রাজপাট উল্লেখযোগ্য।

দোলনের রচিত পুস্তক যেন সাক্ষ্য দেয়, নিজস্ব কৃষ্টি কে বাঁচাতে, সংকলন করতে এককাট্টা হও। ঠিক যেন মহাত্মা গান্ধীর সেই বিখ্যাত উক্তি নতুন করে সামনে আসে। যখন তিনি বলেছিলেন, “No culture can live if it attempts to be exclusive.” 

দোলন  কর্মজীবনে চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, রাজনীতি, অপরাধ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক রিপোর্টিংয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিং পুরস্কার, সুপেয় ইনভায়রনমেন্টাল এওয়ার্ড ও মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল এওয়ার্ডসহ  অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা।

দোলনের সৎ সাহস, সমাজ কর্মী হিসাবে টিকে থাকার লড়াই তাঁকে রাজনৈতিক বলয়ের যোগ্য প্রতিনিধি হিসাবে দাঁড় করায়। তাঁর নেতৃত্ব, দক্ষতা, সু বক্তা হয়ে ওঠার লক্ষণ— তাঁকে বড় করায়। আগামী দিনের পরিণত রাজনীতিক হিসাবে একজন দোলন সংসদে যেয়ে কথা বলার সুযোগ পাক— সরকারের বিষয়ভিত্তিক দায়িত্বে তিনি সফল হবেন বলে মনে করবার সু্যোগও আছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়েও একজন দোলনের মধ্যকার নেতা হওয়ার সব লক্ষণ রয়েছে।

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, তিনিই বিজ্ঞানী, যিনি লিখতে জানেন। আবার তিনিই লেখক, যিনি আঁকতে জানেন। 

আরিফুর রহমান দোলন বাংলাদেশের ছবি আঁকতে পারার সক্ষমতায় বাস করেন। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আকাশের ক্যানভাসে তিনি তুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেই বিবেকশ্রেণির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা হল— একই সঙ্গে নেতৃত্বও প্রতিভাত হল ওই নীল আকাশের নীচে লাল সবুজের বাংলায় !

 

কে-রি–১৮৬/ইও

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close