Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশ ও ভবিষ্যত নেতৃত্ব সেরা ১০০( ২৯-তম) – এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ

“Creating, aligning and empowering diverse teams is one of the best ways to discover and develop new ideas.”পাওয়ারড বাই উই-এর প্রাক্তন গ্লোবাল হেড ক্রেগ রবিনসন বৈশ্বিক মূল্যবোধ থেকে এগিয়ে যাওয়ার শর্ত হিসাবে এভাবেই মতবাদ দিয়েছেন। তাঁর রাখা এমন যুক্তির উদাহরণে থেকে  বাংলাদেশি সিটিজেন এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম বলছেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী যেকোন রাষ্ট্রের ভাগ্য পরিবর্তনে অনবদ্য ভুমিকা রাখতে পারে।

মাইনুদ্দিন মোনেম, বাংলাদেশের লেজেন্ডারি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা প্রয়াত আব্দুল মোনেম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। পিতার পদাংক অনুসরণ করে তিনি ইতোমধ্যে প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন যে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করলেই হবে না, পাল্টে ফেলতে হবে।  পরিবর্তনের মশাল নিয়ে মাইনুদ্দিন মোনেম এর ছুটে চলার আদল, তাঁকে অদম্য সত্তা হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

অধ্যাপক কেট কেলগ যেমন বলেছিলেন, “Even as managers change [old processes and systems], they need to find a way for more experienced members to leave the old hierarchy and progress up the new one.” তেমন বাস্তবতায় আব্দুল মোনেম লিমিটেড, যা একটা ঐতিহাসিক ব্যবসায়িক গ্রুপ এবং এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আব্দুল মোনেম এর চিরপ্রস্থানে মাইনুদ্দিন মোনেম তাঁর নিজের মেধা, দক্ষতা দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে বলতে পেরেছেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

মোনেম এর এই এগিয়ে যাওয়ার শক্ত মনোবল এর উৎস হলই নেতৃত্ব।  প্রখর দূরদৃষ্টি, পিতার মতই ব্যবসায়িক সততা তাঁর চরিত্রের প্রধান সম্বল। সঙ্গত যুক্তিতে গবেষণা দাবী করছে, আজকের বাংলাদেশে  মাইনুদ্দিন মোনেম বাংলার আকাশের ক্যানভাসে নক্ষত্রের মত করে চিত্রিত, তিনি কোথায় থামবেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। 

এএসএম মাইনুদ্দিন মোনেম  ১৯৯৬ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ সহ স্নাতক ডিগ্রিধারী হন।  এবং তার আগে, ১৯৯১ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি সহ কাম লাউড স্নাতক হন। উপরন্তু, তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ডিজাইন এবং বিশ্লেষণের উপর একটি পেশাদার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে  তিনি হার্ভার্ডে তার এমবিএ প্রোগ্রামের অগ্রদূত হিসাবে বেশ কয়েকটি কোর্স গ্রহণ করেছিলেন।

পিতা আব্দুল মোনেম ২০২০ সালের ৩১ শে অক্টোবর ৮৩ বছর বয়সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।  আব্দুল মোনেম লিমিটেড এর উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করা মাইনুদ্দিন মোনেম মাতা মেহেরুন্নেসার অভিভাবকত্বে এক পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পান। মাতা চেয়ারম্যান এবং ভাই মহিউদ্দীন মোনেম অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।  মাইনুদ্দিন মোনেম এর তিন বোন রয়েছেন। 

মাইনুদ্দিন মোনেম আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নির্মাণ, শিক্ষা, ওষুধ এবং খাদ্য পণ্য সহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়িক দিক দেখছেন । তিনি একটি এতিমখানা, একটি কলেজ, একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি ধর্মীয় শিক্ষা বিদ্যালয় পরিচালনাকারী আব্দুল মোনেম কমপ্লেক্সের সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।  শিল্প স্থাপনের জন্য বিদেশী ও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিকাশকারী উদ্যোক্তা  হিসাবে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেন। 

২০১৭ সালের শুরুতেই দেশের দ্বিতীয় বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স পায় আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল। 

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়। এটি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় অবস্থিত। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি  ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রাক্-যোগ্যতা লাইসেন্স পেয়েছিল। শুরুতে ১৪২ একরের ওপর এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এটিকে ৪০০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে আবদুল মোনেম লিমিটেডের। ২০২২ সালে এসে দেখা যাচ্ছে যে, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ৩৫০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানে কারখানা স্থাপন করার জন্য চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্রের হান্টসম্যান করপোরেশন। হান্টসম্যান বস্ত্রখাতে ব্যবহার্য রাসায়নিক উৎপাদন করবে। তারা পাঁচ একর জমি ইজারা নিয়েছে। শুরুতে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ২০ মিলিয়ন ডলার। মাইনুদ্দিনের মতে, একবার এ কারখানাটির কার্যক্রম শুরু হলে স্থানীয় আরএমজি উৎপাদনকারীরা খুবই উপকৃত হবে। 

এএসএম মাইনুদ্দিন মোনেম প্রায়শই জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সভা,সেমিনার কিংবা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।  জাতীয় ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকটি প্যানেল এবং টাস্কফোর্স এর কমিটিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কাউন্সিল (এপেক), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংক-এর সদস্য। তিনি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের পরিচালক বটে।  তিনি সুজনের জাতীয় কমিটির একজন নির্বাহী সদস্য। যা,  সুশাসনের জন্য নাগরিক সংস্থা হিসাবে আদৃত । তিনি একজন রোটারিয়ান। পিতা আব্দুল মোনেম ছিলেন দেশের বরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক। ছিলেন, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতিও। মাইনুদ্দিন মোনেমও একজন ক্রীড়ামোদি সত্তা। সময়ের অভাবে পুরোপুরি ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব না নিতে পারলেও সব ফুটবল ও ক্রিকেটের পেছনে থাকতে পছন্দ করেন। অনিবার্য কারণে আলোচিত বিপিএল আসরে রংপুর রাইডারস এর মত দলের পৃষ্ঠপোষকতা করতে দেখা গেছে মাইনুদ্দিন মোনেম এর প্রতিষ্ঠান কে। 

জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জর্জ ওয়েস্টারম্যান বলেছিলেন, “পরিবর্তন কল্পনা করার এবং চালনা করার ক্ষমতা প্রযুক্তির সাথে কাজ করার ক্ষমতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার দুটিই না থাকে তবে আপনি এই পৃথিবীতে সফল হতে পারবেন না।” মাইনুদ্দিন মোনেম হলেন সেই সত্তা, যিনি বর্তমান ও ভবিষ্যত দেখতে পারেন এবং পরিবর্তনের জন্য লড়াই করার প্রশ্নে আধুনিক চৈতন্যবোধে যেয়ে প্রযুক্তি এবং কল্পনার মিশেলে এমন এক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হতে চান, যার প্রেক্ষাপট পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নয়, কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখবে এমন প্রজ্ঞায় মনটি অতি অবশ্যই রাজনৈতিক। 

প্রাসঙ্গিক ব্যাখায় কার্ল মার্ক্সের মতবাদকে তিনি উপেক্ষা করেন। যখন মার্ক্স বললেন, “The production of too many useful things results in too many useless people.” কার্ল মার্ক্স যেন বললেন, অনেক রান্নাই ঝোল নষ্ট করে। এই ক্ষেত্রে, অনেকগুলি ধারণা একটি কোম্পানিকে দক্ষ হতে আটকাতে পারে। কিন্তু মাইনুদ্দিন মোনেম মনে করেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পর উপযুক্ত শিক্ষা দানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে প্রথমত— দ্বিতীয়ত,  একের অধিক প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করার মাধ্যমে এমন কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই যে, সব প্রতিষ্ঠানই শুরু থেকেই আর্থিক মুনাফায় নিমজ্জিত থাকবে। দুই একটা লোকসান নিয়েই চলবে কিন্তু শ্রমিকের সম্মানি ভর্তুকি দিয়েই চালাতে হবে, লেগে থাকতে থাকতে অপরাপর লাভজনক প্রতিষ্ঠানের আনুকুল্য নিয়ে একদিন সব প্রতিষ্ঠানকেই বাণিজ্যিকভাবে সফল করা সম্ভব।” 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বলয় ঘিরে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের জন্য সেরা ১০০ জন সত্তার মধ্যে একজন মাইনুদ্দিন মোনেম স্থান করে নিয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা নিলেন। তাঁর জীবন পরিক্রমা সাক্ষ্য দেয়, তিনি বাংলাদেশে সুশাসন প্রত্যাশা করেন। তিনি সামাজিক ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা চেয়ে নিজেকে সঁপে দিতে চান। যা তাঁর অর্থনৈতিক জ্ঞানমনস্ক সত্তাকে সামনে নিয়ে আসে। তিনি সাংস্কৃতিক মন কে বলে দেন, ক্রীড়াঙ্গনে চোখ রাখতে পারলে দেশের তরুণ সমাজ বিপথে যেতে পারবে না। আর তাঁরাই বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশ নামটিকে তুলে ধরতে পারে, কারণ, ফুটবল ও ক্রিকেট তেমনই এক প্ল্যাটফর্ম। 

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলেছেন, “জীবনের স্বস্তি হল সমাজের কাছে বন্দী, যা উদ্ধারকরত তোমাকে  মেধাদীপ্ত উদ্যোগে যেয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আয়োজনে কাতর হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তুমি তখনই সমাজকর্মী যখন তুমি নিজেও একজন স্মাবলম্বি। প্রশ্ন হল, তোমার জীবনকে সমাজের কাছে রাখবে, নাকি প্রকৃতির কাছে ?  একদা, সামাজিক চুক্তিগুলো প্রকৃতির রাজ্যের পথচলাকে অবরুদ্ধ করে। অভিযোগ ছিল, দূর্বলদেরকে সবল গং শোষণ করছে। প্রশ্ন করছি, সমাজ ও রাষ্ট্র প্রথা তবে কি দিয়েছে? সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েমেও তো সফল হওয়া যায়নি। এমন প্রেক্ষিতে ব্যবসাবান্ধব সত্তায় যেয়ে যারা সমাজের জন্য, প্রকৃতির জন্য একটু করে সময় বের করে, তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দাও।”

ঈশ্বরমিত্রের মতবাদ ঘিরে একজন মাইনুদ্দিন মোনেম কি তবে সেই সত্তা নয় ! তিনি তেমনই এক চরিত্র, গবেষণা ও অনুসন্ধান তা বলছে তো ! 

কে/কো-৯৮০

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close