Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সেরা ১০০( ৫৩-তম) – আদম তমিজী হক

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, Human behavior flows from three main sources: desire, emotion, and knowledge. মানুষের প্রচলিত আচরণের বিশিষ্টতা তুলে ধরতে পেরেছিলেন প্লেটো।  সুগভীর চিন্তামগ্ন সাধনায় তিনি মতবাদ রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। মাহাত্মা গান্ধী আবার অন্যদিকে ছুটলেন। তিনি বললেন, “মানবতার মাহাত্ম্য মানুষ হওয়ার মধ্যে নয়, মানবিক হওয়ার মধ্যে।” ———- বাংলাদেশের এক আলোচিত ব্যক্তিসত্তা আদম তমিজী হক তাই যেন মাহাত্মা গান্ধীর মত করে নিজের সাংস্কৃতিক পথ বেছে নিতে চাইলেন। কিন্তু, বৃহৎ পরিসরে তেমন ভাবনায় নিজেকে সঁপে দিলে যা হবার হয়। রাজনৈতিক কোর্টে যেয়ে বল পড়ে। আর তখনই তুমি সফল, যখন মানবিক হতে চাইলেই জনশ্রেণি বলবে, তুমি জনপ্রতিনিধি হয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াও। আদম তমিজী হক বললেন, তাই হোক। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমই যেন তাঁর চলার পথের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল। অথচ, আদম তমিজি হক সত্যিকার অর্থেই জনমানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রজন্মকে জাগাতে বললেন, “চল, আমার বাবার মত করেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করব আর একজন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।”

আদম তমিজী হক, এক উদ্যমী যুবক।  যার স্বপ্ন এক রঙ্গীন বাংলাদেশকে দেখা, নগর কেন্দ্রিক চিন্তায় আপ্লুত হয়ে পরিপাটি ঢাকা কে আধুনিক করে সাজানো।  আবেগি ইচ্ছায় সেই প্লেটোর মতবাদের ময়না তদন্তের অন্বেষণে যেয়ে বলা, চল, মানবিক হই। কিন্তু, তাঁর সাথে থাকা অদক্ষ পরামর্শকেরা বললেন, মানবিক ঢাকা- মানবিক বাংলাদেশ !  নিজের মন কে মানবিক করতে হবে। বস্তুগত জায়গাকে কী মানবিক বলা যায় ? যেখানে লিও টলস্টয় আরো স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “মানবতার মাহাত্ম্য মানুষ হওয়ার মধ্যে নয়, মানবিক হওয়ার মধ্যে।”

একজন তমিজী হকের মধ্যে সব গুনই বিদ্যমান। নেতৃত্বের গুনাবলি রয়েছে। দেশপ্রেম, সততা ও দক্ষতা তাঁর শরীরের বন্ধনে জড়িয়ে রয়েছে। তিনি ১৯৭৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার ইস্কাটন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তমিজুল হক ও মাতা  ইয়াসমিন হক। এই কৃতি দম্পতির একমাত্র ছেলে তিনি। তাঁর পিতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত আপনজন ও দুর্দিনে আওয়ামী লীগের বন্ধু। 

এদিকে তাঁর পিতা  হক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ব্যারিস্টার তমিজুল হক ২০০২ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহন বন্ধ করে দেন তখন দেশের বিস্কুট, কনফেকশনারি, ওয়েফার, সাবান এবং ব্যাটারি প্রস্তুত এবং বিপনণকারী প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু  আদম তামিজীর ব্যবসায়িক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।  তিনি সংবাদ মাধ্যমেই বলেছেন,  “বলা যায় প্রায় দুই বছরের বিক্রির সমান টাকার ঋণ ছিল আমাদের। এক কথায় বলা চলে ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।”

আদম,  ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন। তখন তিনি শুধুমাত্র শুষ্ক কোষ এবং সাবানের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে তিনি হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার পরে নিজেকে বিস্কুট ব্যবসার সাথে জড়িত করেছেন।

রাজধানী ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য শহর হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনা, চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে তাঁর লড়াই চলছে। অপরদিকে ব্যবসায়ী হিসাবে ২০১৯ সালে কুটির শিল্প শ্রেণীতে  বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় তাকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন করে।

দালাই লামা বলেছিলেন,  Love and compassion are necessities, not luxuries. Without them, humanity cannot survive.” — একজন আদম তমিজী হক জনশ্রেণিকে ভালবাসতে জানেন। লামার মতবাদকে ধারণ করে তিনি জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে বাকী জীবন পার করতে চান। এমন মানবিক গুনে গুণান্বিত হওয়ার  নেপথ্যে সবিশেষ কারণও রয়েছে। এমন দিকটি একদিনে হয়নি। তিনি মাত্র ৯ বছর বয়সে  পাড়ি জমান লন্ডনে। তাঁর স্কুল জীবনের বেশিরভাগ সময় ইংল্যান্ডেবোর্ডিং স্কুলে কেটেছে। ১৬ বছর বয়সে তিনি বোর্ডিং স্কুল ছেড়ে লন্ডনের একটি টিউটোরিয়াল কলেজে যান।

পরবর্তীতে,  অল্প কিছুদিন তানজানিয়ার জানজিবারে থাকার পরে তিনি উত্তর ইংল্যান্ডের হাডারসফিল্ডে যান। সেখানে হাডারসফিল্ডের হিলটন হোটেলে কাজ করার আগে ক্যাটারিংয়ের একটি কোর্স করেন। ১৮ বছর বয়সে পারিবারিক ব্যবসায় হাল ধরতে তিনি দেশে ফিরে আসেন। আদম তমিজী হক যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হয়েই সমাজকর্মী হয়েছেন, হয়েছেন সম্ভাবনাময় রাজনীতিক। গবেষণা দাবী করে, আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে তাঁকে রেখেই সাজাতে হবে ইতিহাসের পাতা। 

তাই দালাই লামার যুক্তিযুক্ত মতবাদের আলোকে মানুষের প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে ও ভালবাসা দিয়ে তিনি  মন জয় করতে চেয়েছেন। তিনি যখন দেখেছেন, পায়ের নীচে মাটি শক্ত, তখনই তিনি ঘোষণা করতে উদ্যত থেকে জানান দিয়েছেন, আমি প্রিয় বাংলাদেশের জন্য  কিছু করতে চাই। তিনি ফলত মানবাধিকার সুরক্ষায় নাগরিক জীবনের মসৃণতা প্রত্যাশায় জীবনকে উৎসর্গ করতে চেয়েছেন। সূত্রমতে,  তিনিও নেলসন ম্যান্ডেলার সেই বিখ্যাত মতবাদের পূজারি। ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, “To deny people their human rights is to challenge their very humanity.” 

অথচ, এই বাংলাদেশে আদম তমিজী হক কে প্রজন্ম সু স্বাগত জানালেও যুক্তিহীন প্রতিবেদন গড়ার মধ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যম  তাঁকে প্রশ্রয় দেয়নি। বিখ্যাত দার্শনিক থমাস পেইন এর মতবাদ যেন তমিজী হকের বিরোধিতাকারীদের জন্য প্রযোজ্য হয়ে পড়ে, যখন তিনি লিখলেন, To argue with a man who has renounced the use and authority of reason, and whose philosophy consists in holding humanity in contempt, is like administering medicine to the dead, or endeavoring to convert an atheist by scripture.

আদম তমিজী হকের চিন্তার সাথে এরিক হফারের সেই বিখ্যাত  মতবাদটি হুবুহু মিলে যায়। যখন, তিনি বললেন, It is easier to love humanity as a whole than to love one’s neighbor.

কাজেই কাছের মানুষগুলো তথা বাংলাদেশের চিরচেনা লোকগুলো আদম তমিজী হকের ইচ্ছে পূরণে উদার থাকেনি। গবেষণা সূত্র বলছে, মিঃ হক যেভাবে শুরু করেছিলেন, তা ধরে রাখার জন্য মানসিক শক্তির প্রয়োজন, তা তিনি করে দেখাতে পারলে বাংলাদেশ তাঁকে একোমোডেট করবেই।

জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি বলেছিলেন, মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়—-– তাই তমিজী হককেও পুড়তে হয়েছে, হবে।  তবে তাঁর সফলতাও আসবে। প্রচার মাধ্যম তাঁকে নিয়ে কি লিখল, বলল, সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে তাঁকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হিসাবে তাঁকে ধরে রাখা যায় বলে মনে করার সুযোগ আছে। মওলানা রুমির আরেকটি মতবাদকে আদম তমিজীর জীবন দর্শনে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে বলে অনুমিত হয়। যখন রুমি লিখলেন,  আমাদের চারপাশেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হলে বাগানে হাঁটতে হবে।

প্রশ্ন হল, কেহ এখন আর বাগানে হাটতে চায় না। শর্ট কাট রাস্তা খোঁজে। স্বার্থ আর অর্থের মোহে সৃজনশীল সড়কের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেহ সত্যটা লিখছে না। ইতিহাসের লিখিত ও মৌখিক ধারাভাষ্যে প্রহসন ! তবু, পথিক হতে হবে। যে পথের বন্ধুর পথ একদিন বলবে, আমি মুক্ত ! 

মুক্ত হতে পারার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে আদম তমিজী হক শ্রেষ্ঠ ভুমিকা নিয়ে বাংলাদেশের জন্য মানবিক হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে সূত্র দাবী করে। মওলানা রুমীর সৎ সুফী আত্মা চিৎকার করে পুনরায় তমিজী হক কে বলুক,  ঘষা খেতে যদি ভয় পাও, তাহলে চকচক করবে কীভাবে?

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন,  জীবনের গতিপথ তোমাকে ফেরারি বণিক বানায় কিন্তু তুমি বেঁচে আছো মন নামক ঘরের বিছানায় নিদ্রায় যেতে পারো বলে।  সঙ্গত যুক্তিতে প্রতিটি মানুষই মানবিক যদি যান্ত্রিক সময় তোমাকে বিশ্রাম দেয়।

আদম তমিজী হক দেশের প্রতিটি মানুষকে মানবিক হতে আহবান করুক। তখন সভ্যতার রংগুলো আলোর বিচ্ছুরণে যেয়ে রাস্তা দেখাবেই। মিঃ হক তেমন একটা অর্থবহ ইনিংস নিয়ে মাথা ঘামাতে পারলে বাংলাদেশ উপকৃত হতেই পারে। 

 

কে/ইও-০৯

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close