Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সেরা ১০০( ৩২-তম)- বেনজীর আহমদ

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

“Politics is the art of looking for trouble, finding it whether it exists or not, diagnosing it incorrectly, and applying the wrong remedy.” —- এমন মতবাদ রেখেছিলেন আর্নেস্ট বেন। বাংলাদেশি রাজনীতিক বেনজীর আহমদ তাঁর রাজনৈতিক পথচলায় এমন মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের পরিক্রমাকে মসৃণ করতে উদ্যত থেকেছেন কিনা, জানা যায় না। তবে, হান্টার এস. থম্পসন এর আরেকটি মতবাদের মত করে একজন বেনজীর যেন বলতে চান, Politics is the art of controlling your environment. 

আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ। দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় চরিত্র। তিনি ১৯৫২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার ধামরাইস্থ বৈন্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম  কাজিম উদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম মাজেদা আহমদ। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমি সত্তা হিসাবে প্রথমত প্রমাণ করেন। বলাবাহুল্য, তাঁর অপরাপর চার ভাইবোনই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সুস্বীকৃত। 

মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, It is better to be violent, if there is violence in our hearts, than to put on the cloak of nonviolence to cover impotence. গভীর বাস্তবতায় একদা পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব  পাকিস্তানের ওপর অজানা হিংসায় মেতে উঠেছিল। অতি অবশ্যই তাই তাদের নেতিবাচক রাজনীতিকে পরাভুত করতে একজন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কেন বেনজীর আহমদ’রা আপোস করেন নি, তা ধরে নেয়াই যায়। এভাবেই রাজনৈতিক মানসে ভর করে যে পথচলা ১৯৭১ সালে শুরু করেছিলেন  বেনজীর আহমেদ, সেই তিনিই এখন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা জেলার নিজ দলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও কথিত আছে, দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামে এই জ্যেষ্ঠ নেতার জায়গা আরো উঁচুতে থাকবার কথা ছিল।

 সূত্রমতে,  ১৯৬৯ সালে মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন বেনজীর। পরের বছর ওই কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন ধামরাই থানা মুক্তিবাহিনীর। ১৯৭৩ সালে সভাপতি হন ধামরাই থানা ছাত্রলীগের। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের ঢাকা সদর উত্তর মহকুমার (গাজীপুর) সিনিয়র সভাপতি, ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও দু’বার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। অতঃপর তিনি আসেন যুবলীগের নেতৃত্বে। দু’বারের যুবলীগ ঢাকা সদর উত্তর মহকুমার (গাজীপুর) সাধারণ সস্পাদক, দু’বারের ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, দু’বারের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৪ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে এ দায়িত্বে রয়েছেন বেনজীর আহমদ।

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করার জন্য একটি শাস্তি হল যে,  আপনি আপনার নিকৃষ্ট লোকদের দ্বারা শাসিত হচ্ছেন। এমন বাস্তবতায় বা প্রেক্ষিতে বেনজীর আহমদ ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধবিরুদ্ধ শক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে গণমুখি চারিত্রিক বিশিষ্টতাকে সঙ্গী করে তিনি জানান দিতে পেরেছিলেন, জনস্বার্থ সংরক্ষণ করার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে হাজির হয়ে নিকৃষ্টদের বিদায় করতে হবে। তিনি পেরেছিলেনও। ভৌতিক কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তাঁর দলিয় মনোনয়ন বাতিল হলে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়। সেই মেয়াদে সংসদ সদস্য তাই না হতে পারলেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করে পুনরায় ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে দু’দফায় ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যও। ছিলেন,  শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যও। বর্তমানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ছাড়াও ঢাকার মগবাজার ইস্পাহানী গার্লস কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ধামরাই সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের কলেজ-স্কুলের সভাপতি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষানুরাগী  হিসাবে তিনি সমাজে আদৃত নাম।  ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক ছিলেন। তিনি,  জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার দুইবারের সভাপতি। বর্তমান মেয়াদেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

দক্ষ মানব সম্পদ একটি জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে।  জনশক্তি রপ্তানি ও প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গিকারকেও একধরণের রাজনীতি হিসাবে দেখবার সুযোগ আছে। তবে, বিদেশের মাটিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি সমীকরণ বদলাতে সচেষ্ট হয়— যখন, জনশ্রেণিকে দক্ষ করে পাঠানো যায়। সেক্ষেত্রে আজকে যে ৫০০ ডলার আয় করছে,  সেই দক্ষ মানুষটি তখন ১০০০ ডলার আয় করবে। আর এমন ধারাভাষ্য দিয়ে যাচ্ছেন বেনজীর আহমদ। সে কারণেই তিনি বায়রার দায়িত্ব নিয়ে স্বস্তিতে থাকেন বলে প্রচলিত আছে। সঙ্গত যুক্তিতে কার্ল মার্ক্সের রাখা মতবাদটি তখন জীর্ণ হয়ে পড়ে, যখন তিনি বলে থাকেন,  “The oppressed are allowed once every few years to decide which particular representatives of the oppressing class are to represent and repress them.” 

বেনজীর আহমদ, ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি। নেপোলিয়ন বলেছিলেন,  “রাজনীতিতে মূর্খতা কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।” বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, তোমার নামের পাশে ফেলো যুক্ত থাকলেও তুমি অশিক্ষিত হতে পারো। 

ঈশ্বরমিত্র বলছেন,  যখন তুমি আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিকমনস্ক নও অথচ রাজনীতিক কিংবা সারাক্ষণ ভোটতন্ত্রের আবেদনকারী— সেক্ষেত্রে তুমি নেতাও নও আবার নাগরিকও নও। 

একজন বেনজীর আহমদ বাংলাদেশ বোঝেন। এই বুঝতে পারার ক্ষমতা তাঁকে অনন্য জায়গায় নিয়ে যায়। বড়সড় দায়িত্ব পেলে মিষ্টভাষি এই রাজনীতিকের পক্ষে বাংলাদেশকে এখনো কিছু দেয়ার সামর্থ্য আছে বলে গবেষণা দাবী করে। তিনি বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বহুবার বিদেশ যাত্রায় সফরসঙ্গী হয়েছেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, হাঙ্গেরি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ রয়েছে।

জন স্টেইনবেক বলেছিলেন, “All war is a symptom of man’s failure as a thinking animal.” বাংলাদেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে তা বেনজীর আহমদেরা করেছেন। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। বেনজীর চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুন হল, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কথাগুলোও মন দিয়ে শোনার অভ্যাস। হ্যাঁ, আদর্শিক জায়গায় অমিল থাকলেও তিনি শ্রোতা হন। এটি নেতৃত্বের যৌগিক পর্যায়ের গুন। ঘটনা প্রবাহের ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতেও জানেন তিনি। যুদ্ধ তিনি আর করতে চান না। বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সামিল হয়ে বলতে চান, এগিয়ে যেতে হবে। প্রজন্মকে সেই শিক্ষাটা দিতে চান। নিজের রাজনৈতিক জীবনের সাথে হালের প্রজন্মের প্রতিনিধিদের কাছে রাখছেন। নিজ পুত্ররা বা প্রজন্ম যেন আগামীতে লড়তে পারে, সে শিক্ষাও দিচ্ছেন হাতে কলমে।   

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুরণিত থেকে একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঁপে দিয়ে বেনজীর আহমদ লড়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি কোভিডে আক্রান্ত হয়েও ক্লান্ত হন নি। তাঁর প্রখর দূরদৃষ্টি তাঁকে এমন এক চরিত্রে নিয়ে গেছে, যেখানে নতুন করে তাঁর কোনকিছু প্রমাণ করার নেই। ঢুকে পড়েছেন তাই ইতিহাসের পাতায়। ধামরাইয়ের মাটি রাজনীতিক আতাউর রহমান খান কিংবা তাঁর উত্তরসূরি ঘিরে মুড়িয়ে থাকবে, নাকি একজন বেনজীর আহমদই সবাইকে ছাপিয়ে শ্রেষ্ঠ নাম হবে, সে উত্তর আরো দুই যুগ পরে বলা যাবে। তবে বেনজীর আহমদ সঠিক কক্ষপথে আছে, তাঁর ধারাবাহিক কর্মই তাঁকে সেরা করতে পারে বলে অনুমিত হয়। 

 

কে/৭৭৭/০৯ 

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close