Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সেরা ১০০( ২৮-তম) – কাজী নাবিল আহমেদ

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

রাজনৈতিক সত্তাকে ছাপিয়ে পরিচ্ছন্ন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে তাঁর পরিচিতি দেশজুড়ে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি তিনি। জাতীয় আইন প্রণয়নে একজন সাংসদ হয়েছেন তো বটেই। পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ এর মত করেই তাঁরও প্রায় সব অঙ্গনেই পথচলা। কখনো রাজনীতিকের ভুমিকায়। আবার অন্যদিকে, সামাজিক সাংস্কৃতিক বলয়ের কৃতি বাসিন্দা হিসাবে একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী কাজী নাবিল আহমেদ আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অতি মানবিক সত্তা হিসাবে নিজেকে চেনাতে পেরেছেন বলে মনে করার সুযোগ আছে। 

পারিবারিক রাজনীতির উত্তরসূরী হিসাবেই ধরা হবে তাঁকে। কারণ, পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এর জন্য আজীবন সেরাটা দিতে কার্পণ্য করেন নি। তেমন বিবেচনায় একজন বিপ্লবী ব্যক্তিসত্তাকে বড়সড় দায়িত্ব না নিতে দেখা গেলেও পুত্র কাজী নাবিল আহমেদ ধীরে ধীরে বাংলার রাজনীতির আকাশে ধীরে ধীরে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, নিচ্ছেন। প্রবাসে লেখাপড়া করার সুবাদে তিনি  যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে  রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে তার সাথে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের দেখা হয়। জিমি কার্টারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে আরো বেশি আগ্রহী হন বলে চাউর আছে। কথিত আছে,  যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী রাজনীতিক মাহী বি চৌধুরী তার সহপাঠী ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে চলছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ইনিংস।

 নিকোলাস ম্যাকিয়াভেলি তাঁর রচিত দ্য প্রিন্স শীর্ষক পুস্তকে লিখেছিলেন যে, “The first method for estimating the intelligence of a ruler is to look at the men he has around him.” একজন নাবিল আহমেদ এর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনকে পরখ করে দেখলে, তিনি তাঁর দূরদৃষ্টি দিয়ে আশপাশটাকে দেখেন না, তা বলা যায় না। কোথাও একটা রহস্য যেন আছে ! তিনি মন দিয়ে রাষ্ট্রের সেবা করতে চান বলে অনুমিত হয়। কিন্তু, দুর্বলদের অনেক কিছু দেখেও নীরবতা পালন করা এবং ঘটনা প্রবাহের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত দেয়ার একটা আলাদা নেতৃত্ব তাঁর মাঝে আছে বলে গবেষণা সূত্র দাবী করে।

 

কাজী নাবিল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি  সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক, নটরডেম কলেজ, ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৯২ সালে। সে বছরই দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে পারিবারিক ব্যবসার দেখভাল করতে মনোযোগি হন। শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে তিনি আবার বিদেশ গমন করেন। তিনি ইংল্যান্ডে কম্পারেটিভ পলিটিক্সের ওপর এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন।যশোর জেলার এই নাগরিক এর মাতার নাম আমিনা।  

একজন নাবিলের কর্মজীবন শুরু হয় পারিবারিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মধ্য দিয়ে। তিনি জেমকন গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জেমকন গ্রুপ। ১৯৮২ সালে চালু হয় জেমিনি সি ফুড, ১৯৮৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পোল ফ্যাক্টরি, ২০০২ সালে মিনাবাজার, ২০০৩ সালে জেম জুট, আবাসন ব্যবসা জেমকন সিটি চালু হয়।  এছাড়াও জেমকন গ্রুপের রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ট্রিবিউন নামের দুইটি জনআদৃত অনলাইন পত্রিকা। উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত আজকের কাগজ দৈনিকটির প্রকাশক হিসাবেও ছিলেন লেজেন্ডারি কাজী শাহেদ আহমেদ।

পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ এর মত করেই নাবিল ক্রীড়াঙ্গনে সব সময় সোচ্চার থেকেছেন। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীর পরিচালক তো ছিলেনই। ক্লাবের সার্বিক উন্নতির জন্য একাধিকবার করে পরিচালক ইন চার্জ নির্বাচিত হয়ে ক্লাবটির সাথে যেন তাঁর রক্তের বন্ধনের মত করে আত্মিক বন্ধন আছে ! তিনি তিনবার ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য কাজী নাবিল লড়ছেন, লড়বেন বলে প্রচলিত আছে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ফুটসাল ও বিচ সকার কমিটির একজন সদস্যও তিনি। শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণেও কাজী নাবিলের অবদানকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।

দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের আঞ্চলিক রাজনীতিতে পেশিশক্তিময় রাজনীতির অনুপ্রবেশ থাকলেও কাজী নাবিল আহমেদ যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে আসেন নি। বরং, যশোর জেলার সদর আসনের সাংসদ হয়ে তিনি বার বার করে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনে প্রজন্মের জন্য নতুন ধারার রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কে লালন করে একজন শেখ হাসিনায় সঁপে দিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়াতে পারে ও পারবে। সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। জীবনের ঝুঁকি থেকেও লড়াই করে যেতে হবে। মানুষ ফলত শান্তিপ্রিয় এবং তেমন জনশ্রেণিই সংখ্যাগরিষ্ঠ— কিন্তু, সাহস করে কেহ দাঁড়াচ্ছে না বলেই রাজনীতিতে অসৎ ও দুষ্টু শক্তির ক্ষমতা দৃশ্যমান হয়। যা আমি রুখতে পেরেছি বলে চিন্তা করার সুযোগ আছে।”

আঞ্চলিক রাজনীতি একজন নাবিলের অবস্থান যেন পুনরায় ম্যাকিয়েভেলির মতবাদকে জিতিতে দেয়। যখন তিনি বলেছিলেন,“Where the willingness is great, the difficulties cannot be great.” 

সঙ্গত যুক্তিতে কাজী নাবিলের রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থানের মধ্য দিয়েও তিনি পরিতৃপ্ত। যখন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটস বলেছিলেন, “It is of the nature of desire not to be satisfied, and most men live only for the gratification of it.”

এরিস্টটল আসলে ভুল বলেন নি, যখন তিনি আরো শক্ত করে বাস্তবতাকে তুলে ধরে বললেন, “Man is by nature a political animal.” তাই ২০০০ সালের পরে যশোর জেলার রাজনীতিতে অনেকেই মনে করেছিলেন, ভদ্রলোকের পক্ষে এখানে রাজনীতি করা অসম্ভব। কিন্তু সেই ঘুনে ধরা রাজনীতি কে দমন করতে পারেন নি একজন নাবিল, তা কি বলা যায় ! তিনি পেরেছেন। কারণ, রাজনীতি করবেন, এই প্রতিজ্ঞা তিনি নিয়েছিলেন এবং পেরেছেন। এরিস্টটলের বিখ্যাত মতবাদকে তিনি গুরুত্বের সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। যখন এরিস্টটল বলেছিলেন,  “and poverty is the parent of revolution and crime.” বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় সমাজের দরিদ্র রুপের অবসানে নাবিল আহমেদরা তাই লড়ছেন। মানুষের মাথাপিছু গড় আয়ের বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বাড়িয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা তিনি ও তাঁর রাজনৈতিক দল বুঝতে পেরেছে। এমন ইতিহাসের সাথে থাকতে পেরে কাজী নাবিল আজকের সময়কে উপভোগ করছেন না, তা কী বলা যাবে ?

কাজী নাবিল আহমেদ এর রাজনৈতিক জীবনের পথচলা যেন গ্রিকের অপর দার্শনিক প্লেটোর মতবাদের আদর্শে অনুরণিত। যখন তিনি বললেন, “One of the penalties of refusing to participate in politics is that you end up being governed by your inferiors.”

বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বললেন, মানুষকে এই গ্রহে বুদ্ধিমান গোত্রের বলা হচ্ছে। কিন্তু, সবাই বুদ্ধিমান নয়, হয়তো সভ্যতার সড়কে সকলেই পথিক হয়েছে ধীরে ধীরে। অপরাপর জীবকুলের মধ্যেও মেধাবী জীবনের অংশগ্রহণ রয়েছে। তুমি বুদ্ধিমান, তা দুইভাবে প্রমাণিত হতে পারে। এক, যখন তুমি অঞ্চল বা মানচিত্র পেয়ে সেই এলাকার অবুঝ, দুষ্টু ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থবহ উদ্যোগে যেয়ে স্থায়ী সমাধানে যেতে রাজনীতিক হতে পারবে, তখন। দুই, তুমি যদি প্রকৃতির মানুষ হয়ে সমাজ সংস্কারে ভুমিকা রেখে বলতে পারবে, এভাবেই চলুক। 

কাজী নাবিল আহমেদ ছুটছেন। কোন কিছু অর্জনের জন্য নয়। নেতৃত্বের মৌলিক গুনাবলির মধ্যে সততা, দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, চরিত্র ও দেশপ্রেম থাকতে হবে। আগামীদিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের প্রায় সকল গুনই আছে। তুখোড় বক্তা হওয়া ও আবেগ– এমন দুইটি যৌগিক পর্যায়ের গুনাবলী দৃশ্যমান হয়ে পড়লে আজ থেকে দুই যুগের মধ্যে কাজী নাবিল আহমেদ ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের ব্যক্তিসত্তা হিসাবে জায়গা করে নিবেন বলে ধরে নেয়া যায়। 

 

কে/০৯-উই 

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close