Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ; গবেষণায় একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক বর্গের নাম( প্রথম ধাপ)

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

গবেষণাধর্মী নয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কেএইচএন রিসার্চ টিম তাঁদের  দুইটি নতুন গবেষণা প্রকল্পের প্রকাশে গেল। যা প্রতিবেদন আঙ্গিকে মোট বিশবার প্রকাশ করা হবে। একটি গবেষণার সার সংক্ষেপ হল, বাংলাদেশের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ঘিরে একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকবর্গের নামের তালিকা প্রকাশ। অন্যটি হল, বাংলাদেশের সর্বযুগের সেরা একশত কিংবদন্তীতুল্য রাজনীতিক বর্গের নামের তালিকা প্রকাশ করা। নামের তালিকা প্রকাশকরত প্রত্যেক রাজনৈতিক সত্তাসমূহের  জীবন বৃত্তান্ত এবং কর্ম তুলে ধরার প্রয়াসে থাকা হবে।  ঠিক এই মুহূর্তের বাংলাদেশ থেকে আগামী দিনের জন্য কার্যকরী  ভুমিকায় দেশ বিনির্মাণে একশত জন রাজনীতিকের নাম তুলে ধরা হচ্ছে। যাদেরকে নিয়ে আশা করাই যায়। যাদের মূল্যায়ন করতে যেয়ে সততা, মেধা বা দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক গুন এবং জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তাঁদের ভুমিকাকে বড় করে দেখে পয়েন্ট বা স্কোর করবার মধ্য দিয়ে এই আলোচিত একশতে জায়গা পেতে হয়েছে।

 

এই প্রসঙ্গেই চলতি বছরের ২ জুন ২০২০ তারিখ কেএইচএন রিসার্চ টিম এর অভিভাবক সংস্থা বা দাফতরিক পরিদপ্তর কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে যে,

” করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে স্থবির বিশ্ব। রাজনৈতিক উত্তাপ কম, নেই জনশ্রেণির মাঝে উচ্ছ্বাস। বেঁচে থাকবার লড়াইয়ে টিকে থাকার প্রয়াস। তবু পরিস্থিতি বদলাবে বলে মত অনেকের। ২০২০ সালের শেষভাগে পুরো পৃথিবী ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে, এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই বছরেই পরাক্রমশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তা নিয়েও ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জুলাই হতে প্রচারণা শুরু করবে দেশটির দুইটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

এদিকে এশিয়ায় চীন ও ভারতের মধ্যকার ঠাণ্ডা থেকে উষ্ণ লড়াই হবার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ইরান, ইসরায়েল, সৌদি আরব ও আরব বিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন পরিলক্ষিত হবে বলে মনে করবার সুযোগ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যেমন তেমন, পাকিস্তান যে এখন অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, তা অনুমেয়।

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় সংসদীয় গণতন্ত্র বহাল রয়েছে। নেতৃত্বে বা সরকার প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংবিধান ও জাতীয়তা নিয়ে দেশের মধ্যকার অস্থিতিশীল পরিবেশ  না থাকলেও চাপা ক্ষোভের নামে মন্দ বলয়ের রাজনৈতিক শক্তিসমূহ রাজনীতির পেছনের বা বাঁকা রাস্তা দিতে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেতে চায়। যা এই দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নেতিবাচক দিক, কিন্তু তা ধারবাহিক অসংস্কৃতি হিসাবে রেওয়াজ এর মত করে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনকিছুকেই কার্পণ্য না করে উন্নয়নের মহাসড়কে যেয়ে পথিক হয়ে বলতে চায়, আমরাও পারি। কিন্তু, এই ‘পারি’ বলতে যেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দুর্নীতি সঙ্গী হচ্ছে তৃণমূল থেকে মধ্যম, এমন কি প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মাঝেও। যা সুশাসনের অন্তরায়। তবুও দেশের  অধিকাংশ  মানুষ একমাত্র আস্থার নেতৃত্ব হিসাবে এখন শেখ হাসিনায় ভরসা রাখতে চায়। যা গবেষণায় উঠে এসেছিল, আসছে।

 

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি করতে পারছে না। যেন, সব কিছুই একজন শেখ হাসিনার ওপর চাপিয়ে দেয়ার বাস্তবতা। দেশের এক  সময়ের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির অবস্থা তথৈবচ, তৃতীয় জনপ্রিয় দল জাতীয় পার্টিও খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। বিশেষত দলটির নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গ্রহান্তরিত হবার পরে। অন্যদিকে,  বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না নানাবিধ কারণে। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের সমস্যা। দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, জনস্বার্থ সংরক্ষণে রাজনীতি করছে না তাঁরা, বিদেশী শক্তির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, আন্দোলন করবার নামে প্রায়শই নাশকতাকে হাতিয়ার করে এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সাথে হাত মেলানোর ফলে বিএনপি ফলত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

অন্যদিকে বামপন্থী নেতাদের নেতৃত্ব সংকট, এই বাংলাদেশে তাঁদের বলয়টি ধীরে ধীরে সরু হবার পথে। বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদারতায় ছাড় পাওয়া সরাসরি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর শক্তি বাড়ছে। ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রয়োগে এখন এখানে ওয়াজ মাহফিল করার পেশায় থাকা বক্তাও রাজনৈতিক নেতা হতে চায়। আস্তিক শক্তির উত্থান কে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক পরাশক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশে কিছু এজেন্টও আছে, যাদের রাজনৈতিক পরিচিতি আছে, কারোর সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক পরিচয়ও। তাঁরা রাতের আঁধারে বৈঠক করে। সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক ও নানা পেশায় থাকা তাঁরা বাংলাদেশে ইসলামিক বিপ্লবের নামে ফলত অন্য কিছু করতে চায় বলে মনে করবার সুযোগ আছে।

বাংলাদেশে এখন প্রায় চল্লিশটির উপরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন আছে। পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন এলেই অধিকাংশ সংগঠন দুই পক্ষীয় লড়াইয়ের অংশীদার হতে চায় ।  নিজেদের দলের বিকাশে না যেয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কিংবা মহাজোটে যায়, যায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোটেও। যদিও গেল নির্বাচনে প্রবীন রাজনীতিবিদ গণফোরাম এর আজন্ম সভাপতি ডক্টর কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে তাঁরাও এককাট্টা হয়েছিল, তবে সুবিধা করতে পারেনি। যুক্তফ্রন্ট নামের একটি জোট দাঁড় হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বি চৌধুরী তেমন করে না হলেও তাঁর পুত্র মাহী বি চৌধুরী কে সংসদে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা এগিয়ে যাচ্ছিল, এমন মত অর্থনীতিবিদদের। তবে কোভিড-১৯ ঝামেলায় ফেলেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শক্তির তৎপরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্রিয় রয়েছে। রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ ছিল, আছে ও থাকবে। এদিকে শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ দাঁড় করিয়ে বলতে চাইছেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, অন্যদিকে যা হবার হোক। এমন একটি সময়ে পার হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শত বার্ষিকী। ২০২০ ছিল মুজিব শতবার্ষিকী। যা খানিকটা করোনা প্রভাবে বাঁধাগ্রস্ত, তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে ২০২১ সালে। এই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, তেমন প্রতিশ্রুতি রেখেছিল আওয়ামী লীগ। হ্যাঁ, তাঁরা কথা রাখেনি তা বলা যাচ্ছে না। দেশ এগিয়েছে। আরো এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার রুগ্ন পদ্ধতির পরিবর্তন। চেয়ারের ধরণ না বদলালে যিনি চেয়ারে বসবেন, তিনি যত সৎ ব্যক্তিই হন, পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন না। হ্যাঁ, দেশে জাতীয় রাজনীতি করবার মত প্রায় চার হাজার রাজনৈতিক নেতার নাম শোনা যায়। একেকটি সংসদীয় আসনে যারা মনোনয়ন চান, সেই সংখ্যার দিকে চোখ দিলে চার হাজারই হয়ে যায়। কিন্তু, নেতৃত্বের মৌলিক গুন কি সকলের মাঝে আছে ? না, নেই। সেই সংখ্যা দুইশত’র মত হতে পারে। অনুসন্ধান ও গবেষণা— তাই নতুন করেই ভাবাচ্ছে।

 

কেএইচএন রিসার্চ টিম আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে একশত রাজনীতিক বর্গের  শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ২৫ আগস্ট থেকে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রিসার্চ টিম মনে করে, তাঁরা চেয়ারে থাকলে বা নতুন করে বসলে কিংবা রাজনীতির তাঁবুতে তাঁদের বসবাস থাকলে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে তাঁরা ‘সৈনিক’ হতে পারবে। যিনি ধরুন ৭৭ নম্বর তালিকায় থাকবেন, তাঁকেই ধরে নিতে হবে সারাদেশের মধ্যে এই মুহূর্তের শ্রেষ্ঠ ৭৭ নম্বর রাজনীতিক। তাঁকে ঘিরেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন আশা করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তথা বাংলাদেশ এবং জনশ্রেণি। সারাদেশে সব পর্যায়ের হিসাব করলে কয়েক লক্ষ বড়-মাঝারি ও ছোট রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছে। তাঁর মধ্যে একশতজনের মধ্যে স্থান নেয়াটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই ১০০ হতে ১ নম্বর রাজনীতিক বা সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। শুধু নাম নয়, বেশ কিছু দিক তুলে ধরে রিসার্চ টিম তাঁদের বিষয়ে স্বকীয় গবেষণাকে শক্তিশালী আঙ্গিকে উপস্থাপনার মাধ্যমে  বরাবরের মত দেশ ও জাতির সেবায় থাকতে চায়।

 

“স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আমরা”- শীর্ষক নামকরণে গবেষণা প্রতিবেদন।  দেশের একশত শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম তুলে ধরা হচ্ছে।  বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে তাঁরা ভবিষ্যতকে রঙ্গীন করুক। উল্লেখ্য, কোন কারণে একশত জনের মধ্যে নাম থাকা রাজনীতিক ভবিষ্যতে বিতর্কের মধ্যে পড়লে কিংবা অনৈতিক কর্মে লিপ্ত হলে অথবা জাতীয় ইমেজ সংকটে পড়লে তালিকায় রিজার্ভে  থাকা( পয়েন্ট ভিত্তিতে) রাজনৈতিক সত্তার নাম ওই বিশেষ তালিকায় ঢুকে পড়বে।”

 

২ জুন ২০২০ তারিখের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ২৫ আগস্ট ২০২০ হতে শুরু হল এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের প্রথম পর্ব। এই গবেষণা প্রকল্পটিতে কেএইচএন রিসার্চ টিম দুই হাজার চল্লিশজন রাজনীতিককে নিয়ে কাজ করছে। আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতির  জন্য শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্যে যারা শেষ ০৫ জনের মধ্যে আছেন, অর্থাৎ এই গবেষণার তালিকায় যারা ১০০ হতে ৯৬তম স্থান দখল করেছেন তাঁদের সম্পর্কে তুলে  ধরে অনন্য ইতিহাস গড়বার পর্যায়ে গেল কেএইচএন রিসার্চ টিম। কারণ, বাংলা কিংবা ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের জন্য রাজনৈতিক ঘরানার কৃতি সন্তানদের নিয়ে তেমন কোন তথ্য নেই, নেই উদাহরণ রাখবার মত কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ। অতি অবশ্যই দেশের লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যারা সেরা হয়ে ১০০’র মধ্যে স্থান নিলেন, তাঁদেরকে অভিনন্দন !

 

১০০

ড. রেজা কিবরিয়া

 

সুশীল পাড়ার আভিজাত্যের টেবিলে আড্ডা হলে, তাঁর সম্পর্কে বিদগ্ধজনদের অভিমত নিতে চাইলেই উত্তর আসে, তিনি সজ্জন চরিত্রের ব্যক্তিসত্তা। সাম্প্রতিক সময়ে রেজা কিবরিয়া আলোচনায় চলে আসেন। যখন, প্রবীন রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ ডক্টর কামাল হোসেন এর পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক দল গণফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান।

 

রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই, এমন নজীর স্থাপন করে জনাব রেজা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে অবাক করে দিয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনে দাঁড়িয়ে যান। ‘অবাক’ শব্দটি প্রয়োগ করবার অপরিহার্য দিক থাকলেও রেজার মনে ক্ষোভ, নাকি বাংলাদেশের জন্য তাঁর মনের টান রয়েছে, তা জানবার জন্য দেশবাসীকে বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করবার দিক নির্দেশিত হলেও রেজাকে খাটো করে দেখবার সুযোগ কম। কারণ, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আশীর্বাদ, নিজের মেধা, একজন অর্থনীতিবিদ হয়ে তিনি জানান দিতে পেরেছেন, “আগামীদিনের বাংলাদেশে আমি নেতৃত্ব দেয়ার মতই নেতৃস্থানীয় চরিত্র।” তাঁর নামের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী পেশীশক্তি নির্ভর রাজনীতির সংযোগ নেই, নেই প্রচলিত ধারার ঘুনে ধরা রাজনীতির মতো মন্দ দিকগুলোও।

 

রেজা কিবরিয়া, শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে দেখান, ডি- ফিল ! দেশে কোন ধরণের মামলা- মোকদ্দমা নেই তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি  সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও মরহুমা আসমা কিবরিয়ার পুত্র। পিতার রাজনীতি ও অর্থনীতি পরিচালনা করাটাকে তিনি মিস করেন বলেন চাউর আছে। তাঁর সঙ্গে কেএইচএন রিসার্চ টিমের কোনো ধরণের কোনো পর্যায়ের গবেষণা কর্মীর সাথে কখনই কোন সময়ে সাক্ষাৎ হয় নাই।

বর্তমান থেকে ভবিষ্যত, বাংলাদেশের রাজনীতির সম্ভাবনা নিয়ে রাজনীতিকদের নিয়ে চিন্তা করলে একজন রেজা কিবরিয়ার সৎ ইমেজ—-  তাঁকে দেশের শ্রেষ্ঠ একজন রাজনীতিক হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। অথচ, তিনি এখনো পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় থেকে মহান সংসদে যেয়ে কথা বলবার জন্য গন্তব্যেই যেতে পারেন নি। সরকারের অংশ হয়ে দায়িত্বশীল ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন নি। কাজেই পরীক্ষিত দায়িত্বশীল রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে চেনানোর সুযোগ পান নাই। যদি পেতেন, তবে তাঁর সততা কিংবা অসৎ আত্মার সন্ধান পেয়ে যেত রিসার্চ টিম।

 

রেজা কিবরিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সজ্জন চরিত্র হওয়ার অনুকুল দিক, পুরোনো একটি রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে পড়া, মেধা, পেশা, মত রাখার যোগ্যতা, জাতীয় রাজনীতিতে ভুমিকা রাখা, সুযোগ থেকেও বাংলাদেশ না ছেড়ে দেয়া, বিদেশী ভাষায়( ইংরেজি) দখল ও উন্নত উচ্চারণ শৈলী রপ্ত করবার দরুণ এবং পারিবারিক রাজনীতির যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক নানাগুনের অধিকারী হয়ে তিনি ভবিষ্যতের জন্য দেশসেরা একজন রাজনীতিক হিসাবে জায়গা করে নিলেন।

 

রেজা কিবরিয়ার দুর্বল দিকঃ

  • খুব বেশি গণমুখী চরিত্র নন।
  • বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় মিল তাল রেখে বুঝদার রাজনীতিক নন।

 

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে বাস করা রেজা কিবরিয়ার বোন  ড. নাজলী কিবরিয়া বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। অপরাপর পরিজন সম্যক খুব বেশী তথ্য রিসার্চ টিম এর কাছে নেই, তবে জনাব রেজা কিবরিয়ার হয়ে কিংবা তিনি নিজেই কেএইচএন রিসার্চ টিমকে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদন এর শেষভাগে তিনটি মেইল আইডির যেকোনটিতে তেমন তথ্য পাঠালে যাচাই বাছাই শেষে রিসার্চ টিম তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য সংযোজনের সিদ্ধান্তে যেতেই পারে।

 

৯৯ 

ইকবালুর রহিম

 

 

মহান জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবে দায়িত্ব পাবার পর হতেই ইকবালুর রহিম আছেন আলোচনায়। আওয়ামী লীগের এই নেতার বয়স পঞ্চান্ন। ১৯৬৫ সালের ১৬ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুরের দক্ষিণ মুন্সীপাড়ায় ইকবালুর রহিমের পৈতিৃক বাড়ি। তিনি একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। পেশায় টেক্সটাইল ব্যবসায়ী ও অতি অবশ্যই রাজনীতিকে ভালবাসেন।

ইকবালুর রহিমের প্রধান সম্বল, তাঁর ব্যক্তি ইমেজ। ক্ষমতার খুব কাছে থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। যা, তাঁর ব্যক্তি সততাকে প্রতিষ্ঠিত করে। মেধাভিত্তিক রাজনীতির অংশগ্রহণে যেয়ে তিনি নিজ এলাকায় জনপ্রিয় নামও। জাতীয় রাজনীতিতে দলের হয়ে মুখপাত্র হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলেও, তাঁর নেয়া সামাজিক উদ্যোগগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ধরা দিয়েছে।

জনাব রহিম  দিনাজপুরে হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণে অবদান রাখায় ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফেডারেশন (ডব্লিউএলএফ) কর্তৃক পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি এই পুরস্কার পান। তাঁর নিজ এলাকায় ৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা এবং তাদের আর্থিক ও সামাজিক সহযোগিতা করবার মধ্য দিয়ে হিজড়া সম্প্রদায়ের পাশে থেকে অনন্য এক উদ্যোগে ছিলেন তিনি।

ইকবালুর রহিমের শিক্ষাগত যোগ্যতায় দেখা গেছে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম.আব্দুর রহিমের পুত্র ইকবালুর রহিম।  বড় ভাই বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, যিনি যুদ্ধ অপরাধী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানও।  পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসাবে ইকবালুর রহিমের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম.আব্দুর রহিমও দিনাজপুরের কৃতি সন্তান হিসাবে আদৃত। তিনিও পারিবারিক রাজনীতির মধ্য দিয়েই আজকের সাংসদ, হুইপ। এক সময়ে তুখোড় ছাত্রনেতা হিসাবে নজরে এসেছিলেন।

একজন রহিমের গণমুখী বিচরণ, সততা, দক্ষতা, মেধা, দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম, সমাজ সংস্কারক হওয়া— তাঁকে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য আদর্শ চরিত্র হিসাবে দাঁড় করায়।  যৌক্তিক কারণেই দেশের অযুত রাজনীতিকদের পেছনে ফেলে ইকবালুর রহিম দেশ সেরা অন্যতম রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন।

 

ইকবালুর রহিম এর  দুর্বল দিকঃ

  • বিষয় ভিত্তিক সভা, সেমিনারে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় না থাকা।
  • আঞ্চলিক নেতা হিসাবে দাঁড় করাতে পারলেও দেশবাসীর কাছে খুব পরিচিত রাজনৈতিক সত্তা নন।

 

রাজধানী ঢাকার  শেরেবাংলানগরের সরকারী বাসায় তিনি থাকছেন।  জনাব ইকবালুর রহিমের হয়ে কিংবা তিনি নিজেই কেএইচএন রিসার্চ টিমকে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদন এর শেষভাগে তিনটি মেইল আইডির যেকোনটিতে তথ্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। যা, যাচাই বাছাই শেষে রিসার্চ টিম তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য সংযোজনের সিদ্ধান্তে যেতেই পারে।

 

৯৮ 

শামীম হায়দার পাটোয়ারী 

 

হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির  মধ্য হতে দেশীয় সংবাদমাধ্যম যে দুই একজন রাজনীতিক এর বক্তব্যকে আমলে নেয়া হয়, শামীম পাটোয়ারী হলেন সেই ধারার প্রতিনিধিত্ব। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তাঁর মুখ থেকে ধ্বনিত হওয়া কথাগুলোকে রাজনীতির শিষ্টাচার শেখায় বলেও অনুমিত হয়। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য জনাব শামীমের প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করেন। যদিও নিজ দলের ভাঙ্গা ও গড়ার নানা ধরণের সমীকরণে একজন শামীমের রাজনৈতিক আশ্রয়স্থল কোথায় হতে পারে তা নিয়ে বিদগ্ধশ্রেণীর মাঝে আলোচনা আছে।

 

শামীম পাটোয়ারী ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য হয়েছেন। পিতা প্রফেসর ড. মফিজুন ইসলাম পাটোয়ারী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। তাঁরই পুত্র শামীম পেশায় আজ আইনজীবি হয়েছেন, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তিনি তালিকাভুক্ত। দেশের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাঁর প্রধান সহকারী হিসেবে চার বছর কাজ করেছিলেন। শামিম এখন জুরিস্ট অ্যান্ড এসোসিয়েটসের হেড অব চেম্বার। এদিকে  ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এল এল বি ( অনার্স) করলেও বার- অ্যাট-ল করেন শামীম লন্ডন থেকে।

শামীম পাটোয়ারীর মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে। বিচক্ষণতার সাথে সামাজিক সংকট মোকাবেলাকরত তাঁর রাখা সুপারিশগুলোই তাঁকে আলাদা করে চিনিয়েছে। টেলিভিশন টক শোতে যেয়ে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পার্টির হয়ে অন্ধভাবে রাজনৈতিক আলোচনায় থাকেন নি। তাঁর স্বতন্ত্র পথচলার মধ্যে  ‘আইন ও মানবাধিকার’ প্রাধান্য পেয়ে রাজনীতির নানা রঙে তা একাকার হয়েছে। কলাম লেখক হিসাবে তাঁর লেখনিতে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান প্রসূত মত, তাঁকে সম্ভাবনাময় রাজনীতিক হিসাবে দাঁড় করিয়েছে।

শামীম হায়দার পাটোয়ারীর দুর্বল দিকঃ  

  • জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক পথচলায় তিনি কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারছেন না।
  • জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ সারির শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক হতে হলে, সারাদেশ ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাসে থাকতে হয়, যা তাঁর মাঝে পরিলক্ষিত হয় না।

 

১৯৮১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শামীম পাটোয়ারী এই পৃথিবীতে আসেন।তাঁর জন্ম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনিরাম গ্রামে। জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব হিসাবে আছেন।

শামীমের মধ্যকার দূরদৃষ্টি, রাজনৈতিক শিষ্টাচার, বৈশ্বিক জ্ঞান রয়েছে। সু- বক্তা হওয়ার লক্ষণ আছে। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক মওদুদ আহমেদ এর মত বই লিখবার নিয়মিত অভ্যাস দাঁড় করাতে পারলে সজ্জন চরিত্রের বুদ্ধিজীবি রাজনীতিক হিসাবে তিনি বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিতে পারবেন বলে মনে করবার সুযোগ আছে। সঙ্গত কারণেই নানা গবেষণার দিক নিয়ে কাজ করতে যেয়ে এখনকার বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে দেখতে চাইলে জনাব শামীমের জায়গা মিলেছে। দেশের সব পর্যায়ের লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তাঁর অবস্থান গিয়ে ঠেকেছে ৯৮-এ।

রাজধানী ঢাকার  বনানীস্থ বাসায় তাঁর আবাস।  জনাব শামীমের হয়ে কিংবা তিনি নিজেই কেএইচএন রিসার্চ টিমকে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদন এর শেষভাগে তিনটি মেইল আইডির যেকোনটিতে তথ্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। যা, যাচাই বাছাই শেষে রিসার্চ টিম তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য সংযোজনের সিদ্ধান্তে যেতেই পারে।

 

৯৭

নূরজাহান বেগম মুক্তা 

এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পিতা ছিলেন রাজনীতিক। আওয়ামী লীগের ডাকসাইটের নেতা হিসাবে ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুজাফর মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন নির্বাচিত হন। তাঁর শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে মুক্তা রাজনীতির আলোকময় দ্যুতি ছড়াতে চাইলেও নিরাশ হয়ে পড়েন, যখন তিনি গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন না। তবুও তিনি বাংলাদেশের হয়ে, একজন শেখ হাসিনার সৈনিক হয়ে আজীবন লড়তে চান বলে প্রায়শই দীপ্ত উচ্চারণে থাকেন।

মুক্তা কার্যত আইনজীবী, কিন্তু তাঁর ধ্যানে রাজনীতি। ঠিক পিতা মঈনউদ্দীন এর মত ! তিনিও আইনজীবি ও রাজনীতিক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তাঁর ভুমিকা ছিল চোখে পড়বার মত। কন্যা মুক্তাও প্রত্যাশা করেন, তিনিও পারবেন। ৭১’ ছিল মুক্তির জন্য যুদ্ধ, কিন্তু আজকের বাংলাদেশ চায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে একজন শেখ হাসিনার হয়ে লড়তে চান আলোচিত নেত্রী মুক্তা।

নূরজাহান বেগম মুক্তার মধ্যে দেশপ্রেম আছে, সততা আছে। তিনি একটিবার নারী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ সে সময় পাওয়া যায়নি, যায়নি কোনো অনৈতিক কিংবা অনভিপ্রেত কিছুও। মুক্তার মাঝে দক্ষতা আছে, বাচনভঙ্গি  ভাল, বক্তা হওয়ার সু স্পষ্ট দিক রয়েছে। ইতোমধ্যে  মুক্তা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তার ছাত্রজীবন রাজনীতিময়। তিনি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রনেতা ছিলেন, ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন নাহার হলের সাধারণ সম্পাদক।  চাঁদপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়া ছাড়াও কেন্দ্রিয় কমিটির মহিলা লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে জন্ম নেয়া নূরজাহান বেগম মুক্তার রাজনৈতিক পথচলায় নারী অধিকার, বাল্য বিবাহ রোধ ও নিরন্ন মানুষগুলোর জন্য আলাদা ভাবনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে জন্ম নেয়া মুক্তার এখনকার জগতের সবচেয়ে বড় দিক, তিনি সহস্রাধিক উঠোন বৈঠক করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আপ্লুত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লড়ছেন।

নূরজাহান বেগম মুক্তার দুর্বল দিকঃ  

  • জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে নিজের নামকে অতি উচ্চতায় পরিচিত করাতে পারেন নাই।
  • একজন ছাত্রনেতা হিসাবে কিংবা আইন পেশায় থাকার সুবিধা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য আলাদা করে ভিন্ন ধারার পরামর্শক হতে পারেন নি।

সম্ভাবনাময় সত্তা হিসাবে নূরজাহান বেগম মুক্তার অবস্থান মিলেছে। শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের রাজনীতিক হিসাবেই।   দেশের সব পর্যায়ের অগনিত রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তাঁর অবস্থান গিয়ে ঠেকেছে ৯৮-এ। যেটি একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাঁর সৎ সত্তার রাজনীতি, তাঁকে ফলত ইতিহাসের অংশ করে রাখলো বলে মনে করবার সুযোগ আছে।

নূরজাহান বেগম মুক্তা  নিজেই কেএইচএন রিসার্চ টিমকে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদন এর শেষভাগে তিনটি মেইল আইডির যেকোনটিতে তথ্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। যা, যাচাই বাছাই শেষে রিসার্চ টিম তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য সংযোজনের সিদ্ধান্তে যাওয়া যেতেই পারে।

 

৯৬

জোনায়েদ সাকি 

 

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম একজন জোনায়েদ সাকি কে যতটা কথা বলবার সুযোগ দিয়েছেন, তা তিনি পেয়েও বাম ধারার রাজনীতিকে বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি—- এমন মত  রাজনৈতিক বোদ্ধাদের।

জোনায়েদ সাকি, আলোচিত এক রাজনৈতিক চরিত্র। দেশের জনপ্রিয় শীর্ষ জাতীয় দৈনিকসহ অন্যান্য প্রিন্ট মাধ্যমে এবং ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে তাঁর নিয়মিত অংশগ্রহণ, চোখে পড়বার মতই। সাকি কে রাজনৈতিক জ্ঞানমনস্ক সত্তা বলে ধরা হয়। বাম বলয়ের রাজনীতিকদের ব্যাপারে এমনিতেই চাউর আছে, নীতি কথার চাদরে থাকতে হলে তাঁদেরকে সমাজের মানুষ আগে হতে হয়। সে সমাজ যখন রুগ্ন, জীর্ণ এবং ঘুনে ধরা আবহ নিয়ে বিরাজ করে তখন ‘লাল সালাম’ বলে অতি বিপ্লবের আশায় গুটিকয়েক কর্মী মিছিল ধরে, শ্লোগান ধরে। বিশেষত বাংলাদেশের মত দেশগুলোয় তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে মিছিলটাকে বড় করে দেখাতে পারেনি, কখনই পারবেও না বলে মনে করার জায়গা আছে। অথচ, প্রতিবেশী কোলকাতার রাজনীতিতে মধ্যবামেরা সরকারে যাচ্ছে ও আসছে। তাহলে ব্যর্থতা ঘুরেফিরে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমদের কিংবা আজকের জোনায়েদ সাকিদের। তাঁদের মাঝে নেতৃত্বের দুর্বলতা আছে, কিন্তু, যখন তাঁরা কথা বলে, মনে হবে , সবজান্তা এই মানুষগুলোকে কেন আমরা শীর্ষ নেতৃত্বে বা সরকারে নিয়ে আসছি না !

 

শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে বাম ধারার রাজনীতি বহমান হলেও পৃথিবীর কোথাও  নিজেদেরকে উদারপন্থী শাসক হিসাবে  পরিচিত করায়ে যেতে পারেন নি। কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রই পারেন নি। আজন্ম রাজা হওয়ার এমন বাসনায় তাঁদের নীতিকে স্বৈরাচার হিসাবে দাঁড় করায়। অথচ, এই বাংলাদেশে জনাব মুজাহিদুল সেলিম, রনো, মেনন সাহেবেরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ময়দানেও থাকেন।

 

আজকের জোনায়েদ সাকি। বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে যেয়ে রিসার্চ টিম প্রত্যাশা করেছিল, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত নিয়ে অর্থবহ উদ্যোগ নিলে সাকি’র অবস্থান পঞ্চাশ জন রাজনীতিকের মধ্যে থাকবার দরকার ছিল। কিন্তু পয়েন্ট পেলেন কম। অথচ যে সুযোগ তিনি পেয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা তাঁর মত করে এতটা কথা বলবার সুযোগ পায়নি। অথচ, রাজধানী ঢাকার বাইরে একজন জোনায়েদ সাকি কে মানুষ চিনতে পারেনি। তিনি মানুষকে জাগাতে পাআরেন নি। এটিই তাঁর রাজনীতির প্রধান দুর্বলতা। 

জোনায়েদ সাকি লড়াই করছেন। বলছেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে যে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে, তার কতগুলো স্পষ্ট ঘোষিত প্রতিশ্রুতি ছিল। যেমন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার। কিন্তু এই রাষ্ট্র কায়েমের পরে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষিত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত স্রোতে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে। বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য স্বৈরতান্ত্রিক। এখানে সাংবিধানিকভাবে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তাঁর হাতেই সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। ক্ষমতার ন্যূনতম ভারসাম্য নেই, জবাবদিহি নেই। ফলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড়াচ্ছে না; রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই।বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিলগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে, এটা থেকে আমাদের একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণে যেতে হবে।”

জোনায়েদ সাকিদের প্রধান ভুল হল, গণতন্ত্র শব্দটাকে ব্যবহার করা। সেটি বলা যাবে না। সাকি তাই একটি সমিতির মত করে দল গড়েছেন। নাম দিয়েছেন, গণসংহতি আন্দোলন। তিনিই সভাপতি। একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি হয়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও করে থাকেন। নগর পিতা হতে তাঁর ইচ্ছে করে। একজন পার্টি প্রধান কেন মেয়র হওয়ার জন্য লড়বেন? এই প্রশ্নটা তাঁকে কেহ করছে না। গণসংহতি দাবী করছে, শ্রমিক, কৃষক এবং নারী বিষয়ক তিনটি উইং দিয়েই আমরা আক্রমনে আছি। এই আক্রমণে তাঁদের সম্বল পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা কার্ল মার্কসেরা।

 

জোনায়েদ সাকির মধ্যে সম্ভাবনা থেকেও তিনি নৌকাডুবিতে পতিত। ভবিষ্যতে তিনি যদি প্রাণ বাঁচিয়ে জল হতে উঠে তীরে এসে পোশাক বদলিয়ে রাজনীতি পুনরায় শুরু করতে পারেন, হ্যাঁ, নতুন করে—– সাকিও পারতে পারেন।

জোনায়েদ সাকীর বাচনভঙ্গী, গণমুখী বিচরণ, লড়াই করার সাহস, সু বক্তা হওয়া, সুদর্শন, পরিপাটি বেশভূষ— সব মিলিয়ে রাজনৈতিক ইতিহাসে তাঁর জায়গা হয়ে যায়। হ্যাঁ, লক্ষ কিংবা হাজার নেতাদের মধ্য হতে একজন জোনায়েদ সাকির জায়গা হতেই হবে। রাজনৈতিক বোধ ও আদর্শিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারলে অতি আস্তিকদের দেশে তাঁর আরো কিছু দেয়ার সুযোগ থাকবে। এগিয়ে যেতে হবে জোনায়েদ সাকিকে। নতুন করে , নতুন রুপে। তাঁর অবস্থান ৯৬- এ !

 

সুপ্রিয় পাঠক,

কেএইচএন রিসার্চ টিমের সাথেই থাকুন। ২৭ আগস্ট ২০২০ ভোর ছয়টায় শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্য হতে ৯৫ হতে ৮৪ নং পর্যন্ত যাওয়া হবে। অর্থাৎ নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সর্বযুগের কিংবদন্তিতুল্য ১০০ জন রাজনীতিকদের নামের তালিকাও ২৬ আগস্ট রাত ১১ টায় প্রকাশ করা হবে। আজ থাকবে ১০০ হতে ৯৬ পর্যন্ত নামের তালিকা — কারা জায়গা পেলেন !  অপেক্ষায় থাকুন। বলাবাহুল্য, দুইটি গবেষণা সম্বলিত প্রকল্পের দুইটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০-এ।  কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট এর অফিসিয়াল সাইট ছাড়াও একটি জাতীয় দৈনিকে তা প্রকাশ করবার উদ্যোগে যাওয়া হবে। 

আপনাদের মতামত এবং কারো সম্পর্কে তথ্য দিতে চাইলে নিম্নলিখিত ই মেইলে পাঠান।

 

 

গ/কে/প/৭১৭-০০৯

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close