মানুষ ছাড়াও অন্য জীবেরা এই গ্রহে তাঁর জীবন নিয়ে চিন্তিত। পার্থক্য হল, জীবন সম্পর্কে মানুষের মত জানা যাচ্ছে, তাঁদেরটা নয়।মনুষ্য মনিষীগণ তাঁর গোত্রের জীবন পরিক্রমার ধরণ সম্পর্কে তুলে ধরতে যেয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে দেখিয়েছে।
‘অবধারিত মৃত্যু’ সঙ্গী হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টাই জীবন। বেঁচে থাকার জন্য চ্যালেঞ্জ দাঁড় করানো—- অবশেষে, ব্যর্থ হওয়ার সময় পর্যন্ত প্রত্যেকের জীবন অটুট থাকে।
জীবন তার একটি ধারা খুঁজতে থাকে। জীবনধারার খুনে দিক হল, আত্মসুখের সন্ধান। জীবন প্রাকৃতিকভাবে যৌনবাদী।
জীবন আবেগের ডানায় ভর করে সংসার খোঁজে। মৃত্যুকূপের আশপাশেই জীবন, কেহ এই ঠিকানার খবর না পেয়ে ঝাঁপ দেয়।তখন নতুন কিছু আর বলে যেতে পারেনা । আবার কেহ জেনে গেলেও জ্যেষ্ঠতা, শারীরিক অসামর্থ্য কিংবা ত্রুটি জানান দেয়, একটু পরেই তোমাকে ধাক্কা দেয়া হবে, প্রস্তুত হয়ে যাও।
আলাদা করে মানুষের জীবন নিয়ে কিছু ভাবা যাক। মানব জীবনটা কেমন? মানুষ তাঁর নিজ সত্তায় থাকা কোমলমতী ঈশ্বরকে ভুলতে ভুলতে বহু বছর পর দেখতে পায়, মৃত্যু আসন্ন। জীবন হল নদী হতে সমুদ্রে যেতে উচ্চাভিলাসী ইচ্ছে কিন্তু নির্মম বাস্তবতা বিভ্রম কে স্বাগত জানিয়ে নৈতরঙ্গ অতীতকে স্মরণ করিয়ে থামতে বলে।
কামরুল হাসান নাসিমও এবার একটু থামুক। এতক্ষণ ‘জীবন’ নিয়ে বেশ কিছু মতবাদ রেখেছি। যাদের হাত শক্তিশালী করার ইচ্ছে আছে, তাঁরা একটু শিক্ষিত হোক। কেহ আগ্রহী হলে বলা শুরু করুক যে, ঈশ্বরমিত্র( আমার অপর নাম) বলেছেন, জীবন প্রাকৃতিকভাবে যৌনবাদী। এই রকম। যদি না বলতে পারে, তাহলে ধারণ করবার চেষ্টা করুক। তবে নিজের নামে চালিয়ে যেতে উদ্যত হবে না।
বাংলা সাহিত্যে থাকতে যেয়ে রবী বাবু হতে নজরুল হয়ে জীবনানন্দ দাশ, সবাই চুরি করত। আমার কখনো আগ্রহ হয় নাই, বিদেশী কোনো খ্যাতনামা সাহিত্যিকের একটি পুস্তক পড়তে। কাজেই প্রভাবিত হওয়া এবং চুরি করা, এগুলোয় শামসুর রাহমানেরা করে গিয়েছেন, অন্যরাও একই পথে। আমি সব সময় নিজেকে সাধারণ মনে করি। তবে অর্ধ যুগ পর সাহিত্যিক, দার্শনিক কিংবা কবি হিসাবে এই বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সত্তা হতে পারার একটা সম্ভাবনা আছে, তা স্রষ্টা আমাকে জানিয়েছেন। চলুন, মূল আলোচনায় ফিরি।
যে ‘জীবন’ এর গন্তব্য চির প্রস্থানকে স্বাগত জানায়—- সেখানে সম্পদ, অর্থবিত্ত অর্জনের ইনিংসটাকে খুব বেশী গুরুত্বের সঙ্গে দেখা যায় কি ? এদিকে জড়বাদী দার্শনিকদের অধিকাংশজন বলছেন, “জীবন হল মহান ক্ষণ, উপভোগ করে যাও শুধু। যা ইচ্ছে করতে থাকো তাঁরা এও বলছেন, খুব বেশী বেঁচেই বা কি লাভ ! ”
দাম্ভিকতার চূড়ান্ত রুপ নিয়ে আবির্ভূত হওয়া ওই তাঁদেরকে জবাব দিতেই ঈশ্বরমিত্রের জন্ম হল। খুব বেশি দিন নয় অবশ্যি। আমি সাধারণ মানুষ। অসাধারণ পর্যায়ের অসম লড়াই করতে করতে একদিন দেখি, নিজস্ব সামর্থ্য গড়ে উঠেছে। সেই সামর্থ্যের দৌড় নিয়ে কারো কটাক্ষ থাকতে পারে, কারো সমালোচনা। তবু আমি আত্মবিশ্বাসী।
আমার জীবনে সতেরটি অঙ্গন রয়েছে। একটা সময় হয়তো নির্ধারিত হবে, আমি কোন অঙ্গনে সবচেয়ে বেশী সফল হয়েছিলাম। মৃত্যু অনিবার্য। কাজেই প্রত্যেকের ভালবাসা চাই, আদর চাই। আজ যেমন ১৭ জুলাই। আজ থেকে ঠিক পাঁচ মাস আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আহারের মেন্যুতে কখনই কোন জীবের মাংশ খেতে পারবো না। কোনভাবেই পিঁপড়া থেকে শুরু করে মশাকেও মারতে ইচ্ছুক হব না। সেভাবে চলছে। খারাপ নেই । ভালই আছি।
ভাল ছিলাম শৈশব হতেই। কারণ, ফুটবল খেলতাম, দেখতাম আর বলতাম, বাংলাদেশ মানেই হল ফুটবলের বাংলাদেশ । ছেলেবেলায় চোখ বন্ধ করলে ৭১’ সালে অর্জিত স্বাধীনতার চিত্র ধরা দিত না। ছোট্ট কোমল মনে ঠাই হত, সালাহউদ্দিনদের বাংলাদেশকে। আমি ক্লাশ ফাইভ পর্যন্ত বাংলাদেশকে চোখে ভাসাতাম ‘ফুটবল’ মনে করে। একদিন দেখছি, আমি বেশ প্রতিবাদী। রাজনীতির গন্ধটা নিতে নিতে স্বাধীনতার ইতিহাস খুঁজতে খুঁজতে শুধু পেছনেই যেতে থাকলাম। যেতে যেতে জানা হল সবকিছু। যাক সেদিকে যাব না আজ। খেলা পাগল এই আমিও ‘ক্রীড়ালোক’ এর পাঠক ছিলাম। নিয়তি বা প্রকৃতি এমনই যে, আমি ক্রীড়ালোক এর প্রধান সম্পাদক হতে পারি এক সময়।
আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিসের আগ্রহ ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহ। উদাহরণ রাখতে একটা পদ নিয়ে থাকাই ভাল। কারণ, আমি খেললে এক নম্বরের সাথে খেলি। না, সরকার প্রধান হওয়ার কিছু নেই। সংসদ সদস্য হওয়ার কিছু নেই। বাফুফের মত ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার কিছু নেই। দলবাজি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হতে হবে—- নেই নেই নেই, কোন আগ্রহ নেই এসবে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে আমার বিকল্প এই দেশে কেও নেই। নেই বলেই আমি বেগম জিয়া ও তারেক রহমানদেরকে বলতে পেরেছি, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে।
পুনর্গঠন ! এই প্রশ্নে এখন দেশীয় ফুটবলের পুনর্গঠন বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ এসেছে, চলেও যাবে। কিছুদিন পরেই সব কিছু স্থিতিশীল পর্যায়ে যাবে। আবার একটা নয়ছয় কিছু করে ফেডারেশন নিয়ে তাঁরাই খেলতে থাকবে। না, হতে দেব না।
ঈশ্বরমিত্র বাংলাদেশ ছেঁড়ে দেবে খুব দ্রুত। কামরুল হাসান নাসিম তখন একা হয়ে পড়বে। তাঁর মনে বাংলাদেশ ছিল, আছে ও থাকবে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ঈশ্বরমিত্রের সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করতে তাঁর অনেক কাজ। কিন্তু কামরুল হাসান নাসিম দেশিয় রাজনীতি আর খেলার অঙ্গনের মাঝে তথা ক্রীড়া সাংবাদিকতায় থাকতে চায়। উকিঝুকি মারতে চায়। সেই উঁকিঝুঁকি দিতে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে চায়। আপনারাও বলুন, কি করা উচিত ফুটবলের জন্য ?
একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে, ফুটবল পাগল হিসাবে, আমি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে চাই। যে ইতিহাসে বাংলাদেশের ফুটবল ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে ঘরে বসে থাকবো না। আমার- আমাদের ডাক, একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ডাক। ফুটবল কে বাঁচাও নয়, ফুটবলে ‘বিশ্বশক্তি’ হওয়ার লড়াই। আগামী ১৪ বছরের জন্য আপাত মিশন। হ্যাঁ, ২০৩৪ সালে বিশ্বকাপে যাওয়া সম্ভব। সেই মিশনে কামরুল হাসান নাসিম পদ চায় না, সম্মান চায় না। কিন্তু ফুটবলকে ঢেলে সাজাতে চায়।
জীবন হল প্রকৃতির দুই রুপের খেলার বলী। ঈশ্বরকে তাই ডাকো। বলো, এই শরীর তোমার জন্য। আর তুমি( ঈশ্বর) প্রাকৃতিক ক্রীড়া চক্রের হিসাব বদলিয়ে ইউরোপ- ল্যাটিনের সূর্যটাকে বাঙালি মুখী কর—- যেখান থেকে ক্রিস্টিয়ানো বা লিওর মত করে কেহ না কেহ আর ক’দিন পরেই( ২০৩০) বলবে, দ্যাখো তো, বাংলাদেশ দলটাকে কেমন যেন অচেনা মনে হচ্ছে !
– কামরুল হাসান নাসিম
প্রধান সম্পাদক, ক্রীড়ালোক।
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.