Blog

স্বেচ্ছায় বিদগ্ধজনেরাও অনিবার্য কিংবা চটুল কারনে দগ্ধ হয়ে মাঝে মাঝে মৃত্যু পাড়ার মাস্তান আবাসের দরজায় কলবেল চাপে। ওপাশ থেকে তালা মারা দরজা খুলতেই এবং মাস্তানের কলিজা নেওয়ার চুম্বক যন্ত্র বের করতেই সাধারন থেকে বিদগ্ধ শ্রেনী বলে উঠে , আমি ভুল জায়গায় কলবেল চেপেছি।

ভুল শিক্ষা, নষ্ট সংস্কৃতি , সামাজিক রাষ্ট্রীয় ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। সভ্যতার ক্রমবিকাশ প্রশ্নে ক্ষমতা সকল কিছু উর্ধ্বে থাকায় দার্শনিক শ্রেনীর প্রধান তত্ব অনুযায়ী জনশ্রেনীর মৌলিক চাহিদা ও যৌগিক বিলাসিতা এখন তাই অর্থ , ক্ষমতা ও সেক্স নির্ভর হয়ে পড়ছে।

প্রচলিত সামাজিক ক্রমবিকাশে অর্থ , ক্ষমতা এবং সেক্স অপরিহার্য হলেও সভ্যতার বির্বতন আসে অপ্রচলিত পদ্দতিতে। সেখানে প্রধান পুজি থাকে আবেগ।

আবেগ বদলায় সভ্যতা, শুরু করে নতুন আলোর মিছিল। খুব দৃষ্টি দিলে দেখা যাচ্ছে, অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই আবেগী বিষয়গুলো নিয়েও আমরা প্রতারনা করছি, রাজনীতিও করছি। প্রচলিত ধারায় আবেগের জায়গা অবশ্য থাকবে না। কারন পুজিবাদের নীল দংশনে আমাদের বেচে থাকতে নকল কান্নায় ভেসে যেতে হয় ।

তোমাদের বলছি, রাষ্ট্রচিন্তার আবেগ আসে, তবে তা একটু দেরীতে, একদা আসত বাঁচা মরার লড়াইয়ে টিকে থাকতে, আর এখন আসে ৫০ কিংবা ১০০ বছর পর পর, যখন দেখা যায়, আমি গরীব নই, কিন্ত আমরা গরীব সেজে আছি অথবা আমাদের কেউ গরীব করে রেখেছে।

যারা নিত্য আবেগী ছোঁয়ায় আত্নহননের পথ বেছে নেন, তারা নিজের দুচোখ দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করে আদর করুন। দেখা যাবে তখন কলবেল বাজাতে হচ্ছে না।

(সূত্র : কামরুল হাসান নাসিমের লেখা “নেতৃত্ব” বইয়ের  ৭৪  নম্বর   পৃষ্ঠা থেকে সংগৃহীত)