Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

ডোমিঙ্গোকে প্রধান কোচ হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ কি ?

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে ব্যর্থতার পর চাকুরি হারিয়েছেন প্রধান কোচ স্টিভ রোডস । রোডসের বিদায়ের পর থেকেই শুরু হয় বিসিবি’র নতুন কোচের সন্ধান । এর মাঝেই শ্রীলংকার মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন । কিন্তু শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দলের ভরাডুবিতে নতুন প্রধান কোচ নিয়োগ জরুরী হয়ে পড়ে ।

সামনেই বাংলাদেশ দল নিজ দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে । সেই সাথে আছে আফগানিস্তান আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে টি-২০ সিরিজ । এই দুই সিরিজের আগেই নতুন কোচ পাওয়ার চেষ্টায় হন্যে হয়ে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । অবশেষে বিসিবি’র কোচ অনুসন্ধান পর্ব শেষ হয়েছে ।

শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন রাসেল ডোমিঙ্গোর নাম । এই তালিকায় আরও ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর মাইক হেসনের নাম । কিন্তু শেষপর্যন্ত স্টিভ রোডসের উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান রাসেল ডমিঙ্গো।

টাইগারদের স্পিন কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তী স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্ররিকে আগেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পেসারদের জন্য কোচ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ল্যাঙ্গেবেল্ট। ডোমিঙ্গোর নিয়োগে এখন পূর্ণতা পেয়েছে বাংলাদেশের কোচিং স্টফ দল ।

উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে যান রাসেল ডোমিঙ্গো। তার কর্মপরিকল্পনা দেখে সেদিনই নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানায় বিসিবি। জানা গেছে । আগামী ২১ আগস্ট বাংলাদেশে পা রাখবেন ডোমিঙ্গো । নেবেন জাতীয় দলের দায়িত্ব ।

এই বিষয়ে পাপন জানান , ‘ কোচ হিসেবে তারা এমন কাউকেই চাচ্ছিলেন যিনি ‘ফুলটাইম’ কাজ করবেন এবং এখন থেকেই অর্থাৎ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের আগে থেকেই কাজ করা শুরু করবেন। সেই বিবেচনায়ই আরও অনেক হেভিওয়েট কোচকে পেছনে ফেলে টিকে গেছেন ডমিঙ্গো।

যদিও প্রধান কোচ বাছাই প্রক্রিয়া সহজ ছিল না বিসিবির জন্য। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ৩ জন কোচ ছিলেন বোর্ডের ভাবনায়।কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোকেই বেছে নেওয়ার আসল কারণ জানালেন পাপন। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অত্যন্ত কঠিন ছিল। ৩ জন ছিল যাদের নিয়ে ভাবতে হয়েছে, কাউকেই বাদ দেওয়ার মত না। ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী দেখেছি কাকে নেওয়া যায়। এর মানে এই নয় অন্যরা যোগ্য ছিল না।

‘অনেকেই হেড কোচ হতে চাচ্ছেন কিন্তু এই মুহূর্তে আসতে পারবেন না। কেউ ৩ মাস, কেউ ৫-৬ মাস পর আসতে পারবেন। আবার কেউ এখন থেকেই কাজ করতে পারবেন। কাকে কবে থেকে পাব এই বিষয়টাই বড় ভূমিকা রেখেছে। কে পুরো সময় (ফুলটাইম) সময় দিতে পারবে এটাও দেখা হয়েছে। সাথে আরও অনেক কিছু ছিল। সব কিছু বিবেচনা শেষে আমরা ডোমিঙ্গোকেই দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । ’

১৯৭৪ সালে জন্ম নেয়া  রাসেল ক্রেইগ ডোমিঙ্গো  ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারে তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয় সারির লিগ পর্যন্তই খেলার অভিজ্ঞতা তার। মাত্র ২০ বছর বয়সেই ইতি টানেন খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের। খেলা ছেড়ে স্পোর্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মার্কেটিংয়ের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন প্রভিন্স যুব দলের কোচের দায়িত্ব পেয়ে যান। ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৯, বি দল ও এ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বেও।

২০০৫ সালে মিকি আর্থার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল ওয়ারিয়র্সের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে সে দায়িত্ব পান ডোমিঙ্গো। দায়িত্ব নিয়েই ডমিঙ্গো দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গ্যারি কারস্টেনকে নিয়ে ৩৫ দিনের ক্যাম্প করেন। রাসেল ডোমিঙ্গোর তত্ত্বাবধানে ওয়ারিয়র্স জেতে দুটি ট্রফি। তার দল থেকে ৬ জন সুযোগ পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে।

২০১১ বিশ্বকাপের পর জয়ী ভারতকে ফেলে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হন গ্যারি কারস্টেন। তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন ডোমিঙ্গোকে। যা তাকে আরও বড় সুযোগের দরজা খুলে দেয়। এক বছরের মাথায় টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে যান ডমিঙ্গো। ২০১৩ সালে গ্যারি কারস্টেন প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লে তিন সংস্করণেই প্রধান কোচের দায়িত্ব পান ডোমিঙ্গো।

তার অধীনে ১৩ টেস্ট সিরিজের ৮টিতে জয়ী হয়ে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের সাত থেকে দুইয়ে উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডোমিঙ্গোর সময়ে ২২ ওয়ানডে সিরিজের ১৪টিতে জয়ী হয়ে ওয়ানডেতে শীর্ষ দল হিসেবে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে ৪২ ম্যাচের মধ্যে ২৩ জয় এসেছে তার সময়ে। তার অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব ছাড়েন ডোমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে কোনো দল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই তার। সে হিসেবে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে নিজ মহাদেশের বাইরের কোনো দল নিয়ে কাজ করার প্রথম অভিজ্ঞতা।

সূত্র-ক্রীড়ালোক 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close