Blog

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ

কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট কার্যত গবেষণা ফাউন্ডেশন হিসাবেই বাংলাদেশে সু স্বীকৃত। কারণ, কেএইচএন রিসার্চ টিম আজ প্রায় ১৬ বছর ধরে গবেষণার মাধ্যমে আলোচনায় ছিল ও আছে। কেএইচএন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস লিমিটেডের আওতায় বিল্ড বেটার বাংলাদেশ এর পৃষ্ঠপোষকতায়  পেশাদারী গবেষণায় থেকেছে ও আছে সংস্থাটি । সমসাময়িক রাজনৈতিক নানা বিষয়কে উপলক্ষ করে  বিভিন্ন গবেষনার কাজ পরিচালিত হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও গবেষণা কাজের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করে সংস্থাটির দাফতরিক রুপ “কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট”। 

কেএইচএন সেক্রেটারিয়েটের একটি সমাজসেবামূলক সংগঠন হচ্ছে আইডিয়াল থিঙ্কস এসোসিয়েশন । এই সংংস্থার মাধ্যমে ২০০৫ সালে একটি গবেষণা কর্ম পরিচালিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। “মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও তাদের জীবনী” শিরোনামের এ গবেষণা কার্যক্রমটি তখন ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুরো গবেষণাটি একটি  প্রামাণ্য পুস্তক  আকারে প্রকাশিত হয়, যা সকল রাজনৈতিক দল ও সার্বিকভাবে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয় সে সময় ।

নির্বাচনের আগে  প্রায় দুই বছর  ধরে প্রতিটি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয় । আর এই কাজটিতে অংশ নেয় প্রায় ৪০ জন গবেষণাকর্মী। 

তারা প্রতিটি সংসদীয় আসনে গিয়ে প্রতিটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে সাক্ষাত করে নির্ধারিত ফরমে ডাটা কালেকশন করেন। পরে এসব ডাটা বিন্যাস করে আগামী দিনে কারা হতে পারেন সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী যোগ্য প্রতিনিধি, তার একটি সম্যক ধারণা পাওয়া যায় এই গবেষণা কার্যক্রম থেকে। পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর আমাদের এই সুক্ষ্ম গবেষণা কাজের বাস্তব প্রতিফলন ঘটে অনেকাংশেই ।

এ গবেষণা কাজটি করা হয়েছিল মাঠ পর্যায়ের তথ্যের আলোকে,  সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে । তৎকালীন সময়ে দেশের ৬টি বিভাগের সবগুলি সংসদীয় আসনের চুলচেরা বিশ্লেষন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশের মাধ্যমে যে গবেষণা কাজটি পরিচালিত হয়েছিল, তা ভবিষ্যতের জন্য বিশাল একটি তথ্য কোষ বা তথ্য ভান্ডার হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও কাজে আসবে বলে অনুমিত হয়।

গবেষণা বইটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং পরে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে ।

এই সম্পুর্ণ গবেষণার কাজটি সুচারু ও নিখুঁতরূপে সম্পন্ন করেছিলেন সাংবাদিক কামরুল হাসান নাসিম ।

শা-কে/গ-০২/২০১৯