স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘মহড়া’ দিতে গিয়ে আবারও ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ‘আসল বিএনপি’। ‘দলীয় বিপ্লবের মহড়া’ লেখা ব্যানার নিয়ে ‘জনতার উচ্চ আদালত’ বসাতে গতকাল রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যান বিএনপির পুনর্গঠনের দাবিদার ‘আসল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। কিন্তু ছাত্রদল ও যুবদলের হামলার মুখে পালিয়ে যান তারা। হামলাকারীরা আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের কাছে তাদের পিকআপ পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘আসল বিএনপি’র তৎপরতার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও কার্যালয়ে হামলা করতে কিছু টোকাইকে বিএনপি নাম সাজিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এটি সরকারের হীন কৌশল, হীন অপকর্ম।
‘আসল বিএনপি’ নামধারীরা সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী সৃষ্ট বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘একদিকে সরকার সারাদেশের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। কারারুদ্ধ রেখে নির্যাতন করছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বাড়িছাড়া করেছে। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজিত সাংগঠনিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক করছে, ষড়যন্ত্র করছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপিকে ভাঙা সম্ভব নয়। বিএনপি চীনা মাটির বাসন নয় যে ফেলে দিলে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এটা ইস্পাত
কঠিন ঐক্যের জাতীয়তাবাদী শক্তির রাজনৈতিক দল। এই দলকে টোকা দিয়ে সরকার ভাঙতে পারবে না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিজয়নগর মোড় থেকে একটি পিকআপসহ মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে আসেন ‘আসল বিএনপি’ ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাবেক নেতা কামরুল হাসানের সমর্থকরা। পিকআপে থাকা সাউন্ডবক্সে কবিতার আবৃত্তি বাজছিল। মিছিলটি আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের কাছে এলে কার্যালয়ের সামনে থাকা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা হাতে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়ার মুখে ‘আসল বিএনপি’র কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে ঢোকে। রাস্তায় পড়ে থাকা সাউন্ডবক্সবাহী পিকআপ ভ্যানটি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা আগুন নেভান। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কামরুল হাসান নাসিম সমকালকে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর জনতার নিম্ন আদালত থেকে দেওয়া রায় অনুযায়ী বিএনপির পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াতে যুক্ত নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত বসাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ওপর ‘সন্ত্রাসীরা’ হামলা চালায়। তিনি বলেন, কর্মীদের হাতে ছিল কবিতার বই। এ রকম একটি অহিংস কর্মসূচিতে হামলা চালানোর কারণ বোধগম্য নয়। মা খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাসীনরা আগুন সন্ত্রাসী বলে। আমাদের ওপর হামলা ও অগি্নসংযোগ করে আওয়ামী লীগের অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপির কর্মীরা।
গত ২ জানুয়ারিতে ওই কার্যালয়ের সামনে নাসিমের অনুসারীরা এর প্রথম মহড়া দিতে গিয়েছিলেন বলেও তিনি জানান। ওই দিনও হামলার মুখে পালিয়ে যান তার নেতাকর্মীরা। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত’ থেকে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানান জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাবেক নেতা কামরুল হাসান।
(সুত্রঃ সংবাদটি সমকাল পত্রিকায় ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।)
আএ/ ০০২
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.