কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ
একটি সুস্থ গণতন্ত্র এর জন্য দরকার একটি শালীন সমাজ ; আমাদেরকে সম্মানজনক, উদার, সহনশীল এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়াও দরকার । বলেছিলেন, চার্লস পিকারিং। তাঁর দার্শনিক মতবাদের সাথে পুরোদস্তুর এক বাঙালি নারী রাজনীতিকের পুরোটাই যায়। নাম সানজিদা খানম।
এদিকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকা–৪ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে আসা নারী চরিত্র সানজীদা খানম এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য। না, তিনি এখন জনগণের ভোটে প্রতিনিধিত্ব করা সাংসদ নন, নন নারী সংরক্ষিত আসনের এমপিও। জোট নামের জটের খেলায় তাঁর ওই আসন থেকে জাতীয় পার্টির এক নেতা গেল দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের নির্বাচনী সমীকরণে সাংসদ হয়ে আসছেন। মেধাবী সানজিদার ত্যাগ স্বীকার করেই রাজনীতির জন্য ছাড় দিতে হচ্ছে। এই ছাড়ের প্রসঙ্গ এলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মতবাদ নিয়ে উদাহরণ রাখাই যায়। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ৪টি জিনিসের প্রয়োজন, তা হচ্ছে: নেতৃত্ব, আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন ।
সানজিদা খানম, পদ্মা নদী ঘেষে চঞ্চলা চপলা হয়ে বেড়ে উঠে একটি বিষয় ধারণ করতে ভুল করেন নি। জাতির জনকের রাখা মতবাদকে আঁকড়ে রেখে দিব্যি চলছেন। হ্যাঁ, নিজের মত করেই।
বাংলাদেশের রাজনীতির মূল সমস্যা হল, রাজনৈতিক লেখাপড়া থাকতে হয় না, শিক্ষাগত যোগ্যতাও গুরুত্বপূর্ণ নয়— কালো টাকা, পেশি শক্তি আর আজকাল ক্ষমতার অংশীদারিত্বের রাজনীতির বিশ্রি অসংস্কৃতি মেধার রাজনীতিকে বলছে, দূরে থাকো !
সানজীদা খানম ১/১১‘র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের দলের সভানেত্রীর জন্য আইনি লড়াই, সাংগঠনিক সংগ্রাম করেই লাইম লাইটে চলে আসেন। কারণ, তিনি পেশায় একজন আইনজীবি। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ এলএলবি। লেখাপড়া শেষ করেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। তিনি এখনো সেই পেশাতেই বহাল আছেন।
গ্রাচো মার্কস বললেন, রাজনীতি হলো সমস্যা অনুসন্ধান করা, সব জায়গায় এটার খোঁজ করা, এটি ভুলভাবে নির্ণয় করা এবং ভুল প্রতিকার প্রয়োগ করার শিল্প ।
সানজিদা খানম এখানে গ্র্যাচোর দৃষ্টি ভঙ্গির সাথেই মিল রেখে যেন তাঁর পথচলাকে নির্ধারণ করেছেন। টেলিভিশন টক শো গুলোয় তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি থাকে। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সম্যক নানা যুক্তি তুলে ধরে কার্যত আওয়ামী লীগের হয়ে অর্থবহ রাজনীতি করতে অভ্যস্ত।
সানজীদা খানম এর দুই সন্তান। এক পুত্র ও এক কন্যা। সানজীদার স্বামী পরলোক গমন করেছেন। তিনি জন্মগ্রহন করেন ১ জানুয়ারী ১৯৬৩ সালে। তিনি দশম জাতীয় সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনেরও সংসদ সদস্য ছিলেন।
সানজীদার প্রধান সম্বল, তিনি ভীষণ রকমের গণমুখী চরিত্র। নিজ এলাকার নেতাকর্মীদের ছোট থেকে বড় ধরণের সাহায্য ও উপকার করতে পারলেই তিনি খুশী থাকেন। গেল বছর( ২০২০) রাজনৈতিক কর্মসূচী কম থাকলেও তিনি বের হয়ে পড়তেন। যার দরুন, তিনি নিজেও কোভিডে আক্রান্ত হন। সদা হাসিখুশী সানজীদার মন ফলত সাংস্কৃতিক সত্তায় বিভোর থাকে। তিনি সাহিত্য, সংস্কৃতিকে ভালবাসেন।
সততা, মেধা ও দেশপ্রেম— এই তিনটি বিষয়ের ওপর নিজের স্কোরকে বাড়িয়ে নিয়েছেন বলেই তিনিও ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন। যাকে দিয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা বাংলাদেশ এখনো উপকৃত হওয়ার বাস্তবতায় রয়েছে।
বাস্তবে রাজনীতি অনেক তথ্য লুকিয়ে রাখে । বলেছিলেন, হেনরি অ্যাডামস। বাংলাদেশি দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র বলছেন, রাজনীতি হল প্রকৃতিবিরুদ্ধ সামাজিক বন্দোবস্ত, যেখানে শুধু প্রধাণত একটি বিশেষ জীবের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। সানজিদা খানম খুব বেশী ভাবতে চান না। তিনি জন আডামসের সুরে শুধু বলতে চান, “রাজনীতিতে মধ্যপন্থা বলতে কিছুই নেই । জয় বাংলা !”
কে-লই৯-০
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.