নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বহুল প্রতিক্ষিত ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’ অবশেষে মাঠে গড়িয়েছে । নতুন নামে আর নতুন আঙ্গিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেটের পুরো তত্ত্বাবধানে থাকছে এবার বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) । কিন্তু কোন ফ্রেঞ্চাইজিবিহীন আসরের প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচ নিয়েই দেখা দিয়েছে সন্দেহ ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মিরপুরের শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে সপ্তম বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট থান্ডার্সকে ।
ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেট চার উইকেটে তুলেছিল ১৬২ রান । জবাবে পুরো এক ওভার হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটে ১৬৩ রান করে জয় পেয়ে যায় চট্টগ্রাম ।
এই ম্যাচেরই দ্বিতীয় ইনিংসে ঘটে অবাক করার মত ঘটনা । টার্গেট তাড়ায় নামা চট্টগ্রামের বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন ক্রিসমার স্যান্টোকি। এই ওভারেই তিনি এমন দুইটি ডেলিভারি দেন , যা আগে কখনও দেখা যায় নি !
আসলে অবিশ্বাস্য দুটি ডেলিভারিতে সবাইকে অবাক করেছেন স্যান্টোকি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ পেসার বিশাল দুটি ওয়াইড ও নো বল করেছেন । ক্যারিবীয় এ পেসারের তৃতীয় ও পঞ্চম ডেলিভারিটি অবাক করবে যে–কাউকেই। তৃতীয় ডেলিভারিতে লেগ সাইডে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য ওয়াইড। এরপর পঞ্চম বলে যে ‘নো বল’টি করলেন সেটিও অবিশ্বাস্য। পেশাদার ক্রিকেটে সাধারণত এত বড় ওয়াইড ও নো বল দেখা যায় না।
স্যান্টোকি তৃতীয় বলটি করার সময় স্ট্রাইকে ছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের পা থেকেও অনেক বাইরে বল করেছেন স্যান্টোকি।
এরপর পঞ্চম বলে আরেকটি বিস্ময় উপহার দেন ক্রিসমার। বলটি ছিল নো বল। কিন্তু ক্রিসমারের পা বোলিং লাইন থেকে এতটাই বাইরে এসে গিয়েছিল যে, তা দেখে যে কেউ বিস্মিত হবে। পেশাদার ক্রিকেটে সাধারণত এত বড় ওয়াইড ও নো বল দেখা যায় না।
২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে মোহাম্মদ আমিরের কুখ্যাত ‘নো বল’ থেকেও বড় ছিল স্যান্টোকির নো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একই ওভারে এমন ভীষণ দুটি বাজে ডেলিভারি যে রোজ রোজ চোখে পড়ে না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন , একই ওভারে স্যান্টকির দুইটি অদ্ভুত ডেলিভারি দেয়ার পেছনে ‘রহস্যজনক’ কিছু নেই তো । বিশেষ করে আজকাল পাতানো ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব পুরো গরম । এখানে পুরো ম্যাচ ফিক্সিং হবে এমন কোন কথা নেই , বরং বলে বলে ফিক্সিং হবার ঘটনাও অহরহ । কেউ পর পর কয়েকবলে রান না নেয়ার আবার কেউ পর পর নো কিংবা ওয়াইড নেয়ার জন্যেও জুয়াড়িদের ফাঁদে পড়েন ! এটা তেমন কিছু নয়তো ?
এমন হলে বিপিএল নিয়ে এখন থেকেই বিসিবি’র সতর্ক হবার দরকার আছে । যদিও সাকিব আল হাসানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিসিবি ব্যবস্থা নিয়ে । এবার সাত দলের প্রতিটার সাথে থাকবে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট বা আকসুর একজন কর্মকর্তা। এই অবস্থায় মন্দ বা রহস্যজনক কিছু বিসিবি’র নজর এড়াবে না , এমনটা আশা করা ছাড়া উপায় কি !
সূত্র/ক্রীড়ালোক
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.