রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে গিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের মারধরের শিকার হয়েছে ‘আসল বিএনপি’। গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ও দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী, বিএনপি সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফকিরাপুল মোড় থেকে জাতীয় পতাকা হাতে কয়েক শ লোক জিয়াউর রহমানের নামে স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে আসে। মিছিলটি নয়াপল্টনের কড়াই গোশত রেস্টুরেন্টের কাছে এলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একে অপরকে লাঠি দিয়ে, ইট মেরে আঘাত করে। এতে একজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের মদদে এ হামলা হয়েছে। কথিত ‘আসল বিএনপি’ নামে জনৈক কামরুল হাসানের (নাসিম) সমর্থকদের এ হামলায় সাংবাদিকসহ ছাত্রদল ও যুবদলের ১৫ জন আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘ব্যাপারটা কী কারণে ঘটেছে জানি না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
তবে, ‘আসল বিএনপির’ নেতা কামরুল হাসান সংঘর্ষের কথা স্বীকার করেন। তিনি নিজেকে বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা দাবি করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমাদের কিছু উজ্জীবিত তরুণ কথা বলার জন্য পার্টি অফিসে যাচ্ছিল। কিন্তু “নাশকতার” অসুখে ধরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির লোকজন তাদের দিকে ককটেল ছোড়ে। এতে আমাদের ছয়জন আহত হন।’ এ সময় তিনি ছিলেন না বলে জানান। তরুণেরা কী উদ্দেশে বিএনপির অফিসে যাচ্ছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল হাসান বলেন, ‘সে রকম কিছু না। তারা কিছু কথাবার্তা বলতে চেয়েছিল।’ কার সঙ্গে বলতে চেয়েছিল, বিএনপির কারও সঙ্গে আগে থেকে কথা ছিল—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিসে আমরা যাব, কারও সঙ্গে কথা বলে যেতে হবে কেন?’
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে কামরুল হাসান বলেছিলেন, ‘জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালতে’ তাঁরা বিএনপির গঠনতন্ত্র স্থগিতের রায় পেয়েছেন। পরবর্তী ৩৪ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উচ্চ আদালত বসবে। সেখানে বিএনপি সম্পর্কে জনতা পরবর্তী রায় দেবেন। এর ৩৭ দিন পর গতকাল নয়াপল্টনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
কামরুল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের কারণে ঘোষণামতো আদালত বসতে পারেনি।’
তাহলে আজ (শনিবার) কি সেই ‘উচ্চ আদালত’ বসার কথা ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে কামরুল হাসান বলেন, ‘সে রকম কিছু ছিল না। তবে পার্টি অফিসে যাওয়ার উচ্ছ্বাস ছিল। ছেলেরা প্রায় এক ঘণ্টা লড়াই করেছে।’
সরকারি মদদে হামলা: সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, এ ঘটনা সরকারি নীলনকশার অংশ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন এবং কারচুপির পৌর নির্বাচন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতেই সরকার পুলিশের সহায়তায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি ‘আসল’ বিএনপিকে উচ্ছিষ্টভোগী ও টোকাই আখ্যায়িত করেন।
রিজভী বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে এ ধরনের হামলার খবর পেয়ে পুলিশকে অবহিত করি। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো পুলিশের পাহারায় হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় কামরুল কার্যালয়ে অদূরে দাঁড়িয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর দায় চাপানো তো সহজ। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে পুলিশ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.