Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ; গবেষণায় একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকবর্গের নাম

কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ 

 

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে স্থবির বিশ্ব। রাজনৈতিক উত্তাপ কম, নেই জনশ্রেণির মাঝে উচ্ছ্বাস। বেঁচে থাকবার লড়াইয়ে টিকে থাকার প্রয়াস। তবু পরিস্থিতি বদলাবে বলে মত অনেকের। ২০২০ সালের শেষভাগে পুরো পৃথিবী ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে, এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই বছরেই পরাক্রমশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তা নিয়েও ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জুলাই হতে প্রচারণা শুরু করবে দেশটির দুইটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

এদিকে এশিয়ায় চীন ও ভারতের মধ্যকার ঠাণ্ডা থেকে উষ্ণ লড়াই হবার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ইরান, ইসরায়েল, সৌদি আরব ও আরব বিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন পরিলক্ষিত হবে বলে মনে করবার সুযোগ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যেমন তেমন, পাকিস্তান যে এখন অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, তা অনুমেয়।

 

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় সংসদীয় গণতন্ত্র বহাল রয়েছে। নেতৃত্বে বা সরকার প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংবিধান ও জাতীয়তা নিয়ে দেশের মধ্যকার অস্থিতিশীল পরিবেশ  না থাকলেও চাপা ক্ষোভের নামে মন্দ বলয়ের রাজনৈতিকশক্তি  সমূহ রাজনীতির পেছনের বা বাঁকা রাস্তা দিতে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেতে চায়। যা এই দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নেতিবাচক ধারবাহিক অসংস্কৃতি হিসাবে রেওয়াজ এর মত করে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনকিছুকেই কার্পণ্য না করে উন্নয়নের মহাসড়কে যেয়ে পথিক হয়ে বলতে চায়, আমরাও পারি। কিন্তু, এই ‘পারি’ বলতে যেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দুর্নীতি সঙ্গী হচ্ছে তৃণমূল থেকে মধ্যম, এমন কি প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরও। যা সুশাসনের অন্তরায়। তবুও দেশের  অধিকাংশ  মানুষ একমাত্র আস্থার নেতৃত্ব হিসাবে এখন শেখ হাসিনায় ভরসা রাখতে চায়।

 

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি করতে পারছে না। যেন, সব কিছুই একজন শেখ হাসিনার ওপর চাপিয়ে দেয়ার বাস্তবতা। দেশের এক  সময়ের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির অবস্থা তথৈবচ, তৃতীয় জনপ্রিয় দল জাতীয় পার্টিও খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। বিশেষত দলটির নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গ্রহান্তরিত হবার পরে। অন্যদিকে  বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না নানাবিধ কারণে। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের সমস্যা। দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, জনস্বার্থ সংরক্ষণে রাজনীতি করছে না তাঁরা, বিদেশী শক্তির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়া, আন্দোলন করবার নামে প্রায়শই নাশকতাকে হাতিয়ার করা এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সাথে হাত মেলানোর ফলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

অন্যদিকে বামপন্থী নেতাদের নেতৃত্ব সংকট, এই বাংলাদেশে তাঁদের বলয়টি ধীরে ধীরে সরু হবার পথে। বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদারতায় ছাড় পাওয়া সরাসরি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর শক্তি বাড়ছে। ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রয়োগে এখন এখানে ওয়াজ মাহফিল করার পেশায় থাকা বক্তাও রাজনৈতিক নেতা হতে চায়। আস্তিক শক্তির উত্থান কে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক পরাশক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশে কিছু এজেন্টও আছে, যাদের রাজনৈতিক পরিচিতি আছে, কারোর সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক। তাঁরা রাতের আঁধারে বৈঠক করে। সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক ও নানা পেশায় থাকা তাঁরা বাংলাদেশে ইসলামিক বিপ্লবের নামে ফলত অন্য কিছু করতে চায় বলে মনে করবার সুযোগ আছে।

 

বাংলাদেশে এখন প্রায় চল্লিশের উপরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন আছে। পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন এলেই অধিকাংশ সংগঠন দুই পক্ষীয় লড়াইয়ের অংশীদার হতে চায় ।  নিজেদের দলের বিকাশে না যেয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কিংবা মহাজোটে যায়, যায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোটেও। যদিও গেল নির্বাচনে প্রবীন রাজনীতিবিদ গণফোরাম এর আজন্ম সভাপতি ডক্টর কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে তাঁরাও এককাট্টা হয়েছিল, তবে সুবিধা করতে পারেনি। যুক্তফ্রন্ট নামের একটি জোট দাঁড় হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বি চৌধুরী তেমন করে না হলেও তাঁর পুত্রকে সংসদে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা এগিয়ে যাচ্ছিল, এমন মত অর্থনীতিবিদদের। তবে কোভিড-১৯ এবং আন্তর্জাতিক শক্তির ততপরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্রিয় রয়েছে। রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ ছিল, আছে ও থাকবে। এদিকে শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ দাঁড় করিয়ে বলতে চাইছেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, অন্যদিকে যা হবার হোক। এমন একটি সময়ে পার হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শত বার্ষিকী। ২০২০ ছিল মুজিব শতবার্ষিকী। যা খানিকটা করোনা প্রভাবে বাঁধাগ্রস্ত, তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে ২০২১ সালে। এই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, তেমন প্রতিশ্রুতি রেখেছিল আওয়ামী লীগ। হ্যাঁ, তাঁরা কথা রাখেনি তা বলা যাচ্ছে না। দেশ এগিয়েছে। আরো এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার রুগ্ন পদ্ধতির পরিবর্তন। চেয়ারের ধরণ না বদলালে যিনি চেয়ারে বসবেন, তিনি যত সৎ ব্যক্তিই হন, পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন না। হ্যাঁ, দেশে জাতীয় রাজনীতি করবার মত প্রায় চার হাজার রাজনৈতিক নেতার নাম শোনা যায়। একেকটি সংসদীয় আসনে যারা মনোনয়ন চান, সেই সংখ্যার দিকে চোখ দিলে চার হাজারই হয়ে যায়। কিন্তু, নেতৃত্বের মৌলিক গুন কি সকলের মাঝে আছে ? না, নেই। সেই সংখ্যা দুইশত’র মত হতে পারে। অনুসন্ধান ও গবেষণা— তাই নতুন করেই ভাবাচ্ছে।

 

কেএইচএন রিসার্চ টিম আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে একশত রাজনীতিক বর্গের  শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ২৫ আগস্ট থেকে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রিসার্চ টিম মনে করে, তাঁরা চেয়ারে থাকলে বা নতুন করে বসলে কিংবা রাজনীতির তাঁবুতে তাঁদের বসবাস থাকলে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে তাঁরা ‘সৈনিক’ হতে পারবে। যিনি ধরুন ৭৭ নম্বর তালিকায় থাকবেন, তাঁকেই ধরে নিতে হবে সারাদেশের মধ্যে এই মুহূর্তের শ্রেষ্ঠ ৭৭ নম্বর রাজনীতিক। তাঁকে ঘিরেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন আশা করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তথা বাংলাদেশ এবং জনশ্রেণি। সারাদেশে সব পর্যায়ের হিসাব করলে কয়েক লক্ষ বড়-মাঝারি ও ছোট রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছে। তাঁর মধ্যে একশতজনের মধ্যে স্থান নেয়াটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই ১০০ হতে ১ নম্বর রাজনীতিক বা সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। শুধু নাম নয়, বেশ কিছু দিক তুলে ধরে রিসার্চ টিম তাঁদের বিষয়ে স্বকীয় গবেষণাকে শক্তিশালী আঙ্গিকে উপস্থাপনার মাধ্যমে  বরাবরের মত দেশ ও জাতির সেবায় থাকতে চায়।

 

“স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আমরা”- শীর্ষক নামকরণে গবেষণা প্রতিবেদন।  দেশের একশত শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতার নাম তুলে ধরা হচ্ছে।  বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে তাঁরা ভবিষ্যতকে রঙ্গীন করুক। উল্লেখ্য, কোন কারণে একশত জনের মাধ্যে নাম থাকা রাজনীতিক ভবিষ্যতে বিতর্কের মধ্যে পড়লে কিংবা অনৈতিক কর্মে লিপ্ত হলে অথবা জাতীয় ইমেজ সংকটে পড়লে তালিকায় রিজার্ভ  থাকা রাজনৈতিক সত্তার নাম ওই বিশেষ তালিকায় ঢুকে পড়বে।

 

কে/কা/৭১৭/শেক/০০৯ 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close