Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

নয়া পল্টনে প্রতীকী আদালত বসিয়ে কাউন্সিল করতে হবে

বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম বলেছেন, নয়া পল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী উচ্চ আদালত বসিয়ে কাউন্সিল করতে হবে। পাঁচটি অসুখ সারাতে হবে। দল কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। আবার,দলের মধ্যেই যখন কোন গণতন্ত্র নেই, রাষ্ট্রের কাছে কেন তাহলে গণতন্ত্র চাওয়া হচ্ছে ? এই বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে এরা দানব হয়ে উঠবে। কাজেই পুনর্গঠন করেই বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র স্বার্থকে বড় করে দেখে বিএনপির গ্রহণযোগ্য একশত নেতাকে জাতীয় নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সংসদে যেতে হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ২০১৫ সাল থেকে দলটির পুনর্গঠনের এই নেতা।

নাসিম বলেন, সেই অর্থবহ কাউন্সিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে গেলে দেশের অগণিত বিএনপির অনুসারীরা ভুল বুঝতে পারে, এমন শংকায় তিনি আগামী বছরের জুলাই মাসটিকে বেছে নিতে চান বলে ঘোষণা করেছেন। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে থাকা গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে বিএনপির গ্রহণযোগ্য নেতাদেরকে এখন জাতীয়তাবাদী পর্যায়ের অপরাপর প্ল্যাটফর্ম থেকে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বলে মনে করার সুযোগ আছে। আপাতভাবে রাজনৈতিকভাবে এমন উদ্যোগ কোরামিনের মত করে হবে। তাঁরাই আবার ২০২৪ সালের কাউন্সিলে মূল দল বিএনপির হয়ে ফিরতে পারবেন। দলটির পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা হিসাবে তা ঘোষণা রাখছি।
নাসিম বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ সংশোধনী নির্বাচন কমিশন কেন গ্রহণ করল, তা বোধগম্য নয়। দলের দুই অবৈধ শীর্ষ নেতা বেগম জিয়া ও তারেক রহমান যখন একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়, তখন দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ নং ধারা বাদ দেয়া হয়। অথচ, তারেক রহমানের চাকরি করা রাজনীতিকেরা বলে থাকেন যে, এটি ২০১৬ সালের কাউন্সিলে বাদ দেয়া হয়েছিল। যা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়, কারণ, তাঁরা যে সংশধোনী নিয়ে এসেছিল, দন্ডিত হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, ওই সংশোধনের আগে গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় বলা ছিল, কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা-নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যে কোন পর্যায়ের যে কোন নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যাক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারী বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক দিয়ে দেশব্যাপি আলোচনায় আসেন তিনি। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির ‘পাঁচটি অসুখ’ হয়েছে বলে তিনি দলটির পুনর্গঠন করার ঘোষণা দেন। নাসিমের অভিযোগ ছিল , দলটি জাতীয়তাবাদী নয়, ‘জামায়াতেবাদী’ দল হয়ে পড়েছে। দলটি নাশকতাকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে সঙ্গী করেছে। বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি দলটি করছে না। এবং দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া ও তারেক রহমান দল পরিচালনায় ব্যর্থ এবং প্রাসঙ্গিক বাস্তবতায় তারা দলের অবৈধ নেতৃত্ব।
নাসিম বলেন, পথ এখন দুইটা- আত্মশুদ্ধি, নতুবা বিলুপ্তি। তবে বিলুপ্তির পথে অন্তরায় হবে, যখন আমরা দলের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব। অর্থাৎ আগামী বছরে যদি কাউন্সিল করে শপথ নেয়া যায়, বিএনপি থাকবে, নতুবা সন্ত্রাসী দল হিসাবে গণ্য হয়ে মরবে। অন্যদিকে, এখন আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে সাময়িক পথ খুঁজে নিতে হবে। আর তা হল, শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের তথা ১০০ জনের মত নেতাকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হতে হবে।

সুত্রঃ সময়ের আলো

লিঙ্কঃ https://www.shomoyeralo.com/details.php?id=242922

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close