কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ
গবেষণাধর্মী নয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কেএইচএন রিসার্চ টিম তাঁদের দুইটি নতুন গবেষণা প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় রয়েছে। একটি গবেষণার সার সংক্ষেপ হল, বাংলাদেশের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ঘিরে একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকবর্গের নামের তালিকা প্রকাশ। অন্যটি হল, বাংলাদেশের সর্বযুগের সেরা একশত কিংবদন্তীতুল্য রাজনীতিক বর্গের নামের তালিকা প্রকাশ করা। নামের তালিকা প্রকাশকরত প্রত্যেক রাজনৈতিক সত্তাসমূহের জীবন বৃত্তান্ত এবং কর্ম তুলে ধরার প্রয়াসে থাকা হচ্ছে। ঠিক এই মুহূর্তের বাংলাদেশ থেকে আগামী দিনের জন্য কার্যকরী ভুমিকায় দেশ বিনির্মাণে প্রত্যাশিত একশত জন রাজনীতিকের( ২০৪০ জনের মধ্যে) নাম তুলে ধরা হচ্ছে। যাদেরকে নিয়ে আশা করাই যায়। যাদের মূল্যায়ন করতে যেয়ে সততা, মেধা বা দক্ষতা, দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক গুন এবং জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তাঁদের ভুমিকাকে বড় করে দেখে পয়েন্ট বা স্কোর করবার মধ্য দিয়ে এই আলোচিত একশ’তে জায়গা পেতে হয়েছে। অন্যটিতে ইতিহাসের সেরা রাজনীতিকেরা নানা গবেষণায় জায়গা নিচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গেই চলতি বছরের ২ জুন ২০২০ তারিখ কেএইচএন রিসার্চ টিম এর অভিভাবক সংস্থা বা দাফতরিক পরিদপ্তর কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে যে, তাঁরা এমন উদ্যোগে যাবে। ইতোমধ্যে দুইটি গবেষণার পৃথক পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হয়েছে। যা ধাপে ধাপে প্রকাশ করা চলছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে যে, এখন থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য যে ১০০ জন রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন তার মধ্য হতে ১০০ থেকে ৭৬ সিরিয়াল পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা যথাক্রমে হলেন,
১০০
রেজা কিবরিয়া
৯৯
ইকবালুর রহিম
৯৮
শামীম হায়দার পাটোয়ারী
৯৭
নুরজাহান বেগম মুক্তা
৯৬
জোনায়েদ সাকি
৯৫
তাবিথ আউয়াল
৯৪
মাশরাফি বিন মরতুজা
৯৩
সৈয়দ এহসানুল হুদা
৯২
আসাদুজ্জামান নূর
৯১
শামসুজ্জামান দুদু
৯০
নিজাম উদ্দীন জলিল
৮৯
নাইমুর রহমান দুর্জয়
৮৮
শামা ওবায়েদ
৮৭
শারুন চৌধুরী
৮৬
আরিফুর রহমান দোলন
৮৫
আজিজুস সামাদ ডন
৮৪
এ বি এম আনিসুজ্জামান
৮৩
এম এম শাহীন
৮২
জহির উদ্দীন স্বপন
৮১
মাহমুদুর রহমান মান্না
৮০
আব্দুল মালেক রতন
৭৯
ফজলুর রহমান
৭৮
আবুল কালাম আব্দুল মোমেন
৭৭
সিলভীয়া পারভীন লেনী
এই গবেষণার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনগুলো পড়তে নীচের লিংকগুলোতে ক্লিক করুন।
গবেষণায় দেশসেরা ১০০ রাজনৈতিক নেতার নাম
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ; গবেষণায় একশত শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক বর্গের নাম( প্রথম ধাপ)
সর্বযুগের সেরা একশত রাজনীতিক ( প্রথম ধাপ)
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, সেরা ১০০-তে যারা
শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক ১০০, জায়গা পেলেন যারা
দেশের শ্রেষ্ঠ ১০০ রাজনীতিক ও যারা
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত ঘিরে ৭৫ থেকে ৭১ নং পর্যন্ত দেশের সেরা অন্যতম পাঁচজন রাজনীতিকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হল।
৭৫
আব্দুল সাউদ মতিন
তাঁর পরিচয় গুরুত্বের সঙ্গে পরিচিত করানোর সুযোগ রয়েছে। তবে, তিনি যেন ধীরে ধীরে প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে থাকা এক সৈনিক। যার মধ্যে তাড়াহুড়া নেই, আছে অপেক্ষা করার মানবিক গুন। এই গুনই তাঁকে রাজধানী ঢাকার মত জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। একজন কাউন্সিলর হয়ে দ্বিদলীয় প্রভাবশালী আধিপত্যকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি বলতে পেরেছেন, জনমানুষের জন্য কাজ করতে চাইলে ‘বড় দল’ বলে কিছু নেই। ইচ্ছে থাকলেই সকলের মন জয় করে জনকল্যাণে নিজেকে সঁপে দেয়া যায়।
আব্দুল মতিন সাউদ— রুচিশীল পোশাক, শিষ্টাচার, ধীরে ধীরে কথা বলবার অভ্যাস, চলনে রাজকীয় একটা শারীরিক ভাষা এবং নেতৃত্বের নানা দিক নিয়ে বিচরণ করেই কেএইচএন রিসার্চ টিমের গবেষণায় চলে এসেছেন। স্থান করে নিয়েছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের একজন সম্ভাবনাময় চরিত্র হিসাবে। যেটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখবার সুযোগ রয়েছে।
মতিন সাউদ, দেশের সংবাদ মাধ্যমের আলোচিত নাম নন। কিন্তু, দেশের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জোটগত রাজনীতির পুরোনো মিত্র বা শরীক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির মহাসচিব। দলের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। যে দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশব্যাপি জনপ্রিয় নেতা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত নাম ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। জাতীয় পার্টি( নাজিউর) হিসাবেই একদিন এই দলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আলোচিত রাজনীতিক নাজিউর রহমান মঞ্জু শুরু করেছিলেন, আজ নাজিউর এর জ্যেষ্ঠ পুত্র পার্থ দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে এবং সাউদ মতিন আগলিয়ে রেখেছেন তাঁর প্রিয় দলকে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সাথে জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতো। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক জোট সমূহের অন্যতম ২০ দলীয় জোটের সবচেয়ে পুরনো দলগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেবার ঘটনার প্রেক্ষিতে এই দলটি ২০ দলীয় জোট ত্যাগের ঘোষনা দেয়। কিন্তু, দলটির এই মুহূর্তের রাজনৈতিক সফলতা হিসাবে আব্দুল সাউদ মতিনের রাজধানী ঢাকায় স্থানীয় রাজনীতির ( ৬৬ নং ওয়ার্ড) অভিভাবক হয়ে যাওয়াটাকে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি খানিকটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগে যেয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যা তাঁকে আলাদা করে চেনাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাউদ মতিন চমক দেখাতে পারেন। কোনো ধরণের জোটে না থেকে তিনি মহান জাতীয় সংসদে জায়গা পেয়ে গেলে তা হবে এক ধরণের ইতিহাস রচনা করবার মত। সেই যোগ্যতা, দক্ষতা একজন সাউদ মতিনের মধ্যে আছে বলে অনুমিত হয়।
মতিন সাউদের মধ্যে নেতৃত্ব আছে, দেশপ্রেম ও দূরদৃষ্টি আছে। সততা ও দক্ষতার সাথে তিনি সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর হয়ে দায়িত্ব পালনে সফল হতে পারলে এবং একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসাবে জাতীয় রাজনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারলে সাউদ মতিন যে ইতিহাসের পাতায় টিকে যাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে না।
৭৪
নির্মল রঞ্জন গুহ
ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে পথচলা তাঁর । ছাত্রজীবনে তিনি নয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মোল্লা কাওছার ও পঙ্কজ দেবনাথের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করে আসা এই নেতার ওপর অবশেষে আস্থা রাখল আওয়ামী লীগ। সাদামাটা জীবন, একজন শেখ হাসিনার প্রতি অসীম আনুগত্য এবং নিজ দলের প্রতি কমিটমেন্ট—- তাঁকে জাতীয় পরিচিতি এনে দিয়েছে। হ্যাঁ, তিনিই এখন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রাণের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি।
নির্মল রঞ্জন গুহ, রাজনীতির সাথে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি আর সেখানে নির্মলের উপস্থিতি থাকবে না, তা যেন বড়ই বেরসিক হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্মলের বাসার বৈঠকখানায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বাঁধাই করা ছবির সাথে দেয়ালে যেন বাঘের মত করে দাঁড়িয়ে আছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক একটু পাশেই বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং উন্নত এক শাসক শেখ হাসিনা। নির্মল গুহ তাই সোজা কথায় থাকতে স্বস্তিতে থাকেন। রাজনীতির বাঁকা পথ কি তা তিনি জানতে চান না। তিনি দীপ্ত উচ্চারণে বলছেন, সেবাই রাজনীতি, আর তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করতে চাই। যা একজন শেখ হাসিনা আমাদেরকে শিখিয়েছেন।
নির্মল গুহের পিতা ছিলেন নিখিল রঞ্জন গুহ। মাতা অনিভা রানী। ১৯৬৭ সালে জন্ম নেয়া নির্মল মাস্টার্স করেছেন ইতিহাসের ওপর। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতির নেশায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। ঢাকার দোহার তাঁর আদি নিবাস।
নির্মল রঞ্জন গুহের চরিত্রের সবচাইতে বড় গুন, তিনি গণমুখী চরিত্রের। নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত থেকে তিন বেলা আহারে ডাল-ভাত খেতেই পারলেই যেন খুশী। সাধারণ হয়ে অসাধারণ পর্যায়ের নৈতিকতার দরজায় কড়া নাড়তে তিনি সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। ধর্মভীরু মানুষটির স্রষ্টা বন্দনা এবং তাঁর প্রতি আস্থা তাঁকে সমাজেরই নয়, প্রকৃতির মানুষ করে রেখেছে। যেখানে নির্মল, নির্মল পবনের আশায় দোলায়িত হয়ে আনন্দ খুঁজতে চান ত্যাগের রাজনীতিতে থেকে।
নির্মল রঞ্জন গুহের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল বলে দেখবার সুযোগ আছে। নানা সংগ্রাম, চরাই উৎরিয়ে দায়িত্বশীল পদে আসীন হয়েছেন। তেমন দায়িত্বে থেকে সফল হওয়াটার মধ্যেই দেশের শ্রেষ্ঠ একজন রাজনীতিক হওয়ার বাস্তবতা। হয়তো, তিনি পারবেন ! নেতৃত্বের মৌলিক ও যৌগিক পর্যায়ে যে সকল গুণাবলীগুলো একজন নেতার চরিত্রে থাকার দরকার, গুহ’র মধ্যে তা আছে। বাকীটা দুই যুগ পরে ইতিহাসের ধারাভাষ্যকারেরা লিখুক, গবেষণা দলই বলুক।
৭৩
এইচ, এন আশিকুর রহমান
বাংলা ভাষায় কথা বলবার সময়ে শুদ্ধ উচ্চারণ করবার ক্ষমতা ও সজ্জন চরিত্রের সত্তা তিনি। দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রিয় কমিটির কোষাধাক্ষ্যও তিনি। অতি অবশ্যই কয়েকবারের সংসদ সদস্য। বর্তমান মেয়াদেরও ( ২০১৮-) সাংসদ। রংপুরের এই জনপ্রিয় নেতার বয়স হয়েছে। কিন্তু, চিন্তা চেতনা ও মননে এখনো একজন তরুণের মত। পুত্র রাশেক রহমান রাজনীতিতে মনোযোগী হয়েছেন। তাঁর পুরুষালী কন্ঠও রয়েছে। তবে, দিনের শেষে রাশেক, আশিকুর রহমান পুত্র। বাবাকে ছাড়িয়ে যেয়ে এখনো আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন, তেমন করে নয়। আশিকুর রহমান ব্যতিক্রমি মানের রাজনীতিক। আধুনিকচেতা তো বটেই, একটি সুন্দর দেশ গড়বার অভিযাত্রায় নিজের সেরাটা দিতে চান রাজধানী ঢাকার বনানীর এই বাসিন্দা।
এইচ এন আশিকুর রহমান, ১১ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে তার পৈতৃক বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিতা মরহুম আব্দুর রহমান। মাতা হামিদা খাতুন। তাঁর জীবন সঙ্গিনী হিসাবে যিনি রয়েছেন, তিনি হলেন দেশের বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী রেহানা আশিকুর রহমান। যিনি আধুনিক গান গেয়ে একটা সময় বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা। রাশেক,শারেক ও রাইদা রহমান।
পেশায় ব্যবসায়ী এইচ এন আশিকুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রংপুর-৫ আসনে জয়ী হয়ে আসনটি ছেড়ে দিলে সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সালের উপ-নির্বাচন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আশিকুর রহমানকে খুব বেশী বড় ধরণের দায়িত্ব দেয়া হয় নাই। মোদ্দকথা, প্রায় এক যুগের( ২০০৮—-) আওয়ামী লীগের টানা সরকারে তাকে সবিশেষ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় নাই। তাঁর যোগ্যতা রয়েছে, নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে। মেধা, দক্ষতা এবং দূরদৃষ্টির প্রশ্নে তিনিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের রাজনৈতিক সত্তা বলেই ধরে নেয়ার সুযোগ আছে। যা গবেষণায় উঠে এসেছে।
৭২
কে এম খালিদ বাবু
তিনি চমক দেখাতে পেরেছেন। একাধিকবারের সাংসদ হয়ে এখন( ২০১৮—) সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। মিষ্টভাষী ও সজ্জন চরিত্রের খালিদ বাবু গণমানুষের নেতা হিসাবেও মুক্তাগাছার প্রিয় নাম। ময়মনসিংহের এই নেতার ওপর গবেষণা কর দেখা গেছে, তিনি বাংলাদেশকে অনেক কিছু দেয়ার মানসে থাকা এক অদম্য সত্তা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং ৩ সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী ড. সোহেলা আক্তার একজন সফল বিজ্ঞানী হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুরে কর্মরত রয়েছেন।
জনাব কে এম খালিদ, ১৯৫৫ সালের ৪ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম এম আবদুল ওয়াদুদ ও মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। সংস্কৃতিমনা পরিবারের সন্তান খালিদ ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠেন। সংস্কৃতি চর্চার প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিল তাঁর মাতার। সে অনুরাগে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর বড় ভাই জনাব মাহমুদ সাজ্জাদ একজন স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মেজ ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব ম. হামিদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের সাবেক মহাপরিচালক, নাট্যচক্রের প্রতিষ্ঠাতা।
খালিদ বাবু ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ হতে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পাশ করেন। তিনি এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও তৃণমূল রাজনীতিতে একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
তাঁর কর্ম, নেতৃত্ব, দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ শাখার আহবায়ক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ মেয়াদে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ মেয়াদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য, ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তাগাছা উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১৫০, ময়মনসিংহ-৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত হন।
খালিদ বাবুর সততা, মেধা, দেশপ্রেম—- তাঁকে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে দিয়েছে। যেখানে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিক নিয়ে গবেষণায় গেলে তাঁকে দেশের সেরা একশো রাজনীতিকদের মধ্যে জায়গা করে দিতে হয়। ঠেকানো সম্ভব হয়ে ওঠে নাই।
৭১
ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ১৯৫৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহন করেন। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে জন্ম নেয়া এই বীরের বাবার নাম মহিউদ্দিন তালুকদার এবং মায়ের নাম আশরাফুন নেছা। তার স্ত্রীর নাম রওশন হোসেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি হলেও তিনি একজন লেখক শ্রেণি গোত্রের এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারাভাষ্যকার হিসাবে নন্দিত নাম। তাঁর মুল পেশা ব্যবসা।
উইকিপিডিয়া ভাষ্যমতে বলা হচ্ছে যে, ১৯৭১ সালের জুন মাসে ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত জেলা সদরের উত্তরের হালুয়াঘাট এলাকায় ছিলো সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি)। এই বিওপিতে ছিল একদল পাকিস্তানি সেনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছিলো এ বিওপির অবস্থান। তারা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত। জুন মাসের একদিন মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল সেখানে আক্রমণ করে। একটি দলে ছিলেন ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। তার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার (বীর প্রতীক) ছিলেন দলনেতা। জুন মাসের এক রাতের অন্ধকারে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে যেতে থাকলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের দিকে। তাদের পথ দেখাচ্ছিলেন একজন পথপ্রদর্শক। তার ভুল নির্দেশনায় তারা ঢুকে পড়লেন বিপজ্জনক এক স্থানে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ চালায়। প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা পজিশন নিলেন। একই সময়ে শুরু হলো ভারত থেকে গোলাবর্ষণ। সেগুলো তাদের অবস্থানেই পড়তে থাকল। নিমেষে মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজন হতাহত হলেন। ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার প্রচেষ্টায় বেঁচে গেল অনেক মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতের অন্ধকারে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালরা সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে যাওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এ দলটি আক্রমণ শুরু করার আগে সেখানে ভারত থেকে আর্টিলারি গোলাবর্ষণের। গোলাবর্ষণ শেষ হওয়া মাত্র তারা আক্রমণ শুরু করবেন। কিন্তু পথপ্রদর্শকের ভুলে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের একদম কাছে চলে যান। নিজেদের গোলায় এবং পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তখনই শহীদ হন। ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের পাশেই ছিলেন তাদের দলের একজন এলএমজিম্যান। তিনি তার চোখের সামনেই শহীদ হন। জীবন-মৃত্যুর ওই সন্ধিক্ষণে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় বেঁচে যায় অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ।
বেলাল নানা কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে থেকে যাবেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি বীর খেতাবে ভূষিত হওয়া সত্তাও। যার কারণে তিনি নিজ এলাকায় জনপ্রিয় নামও। তবে আঞ্চলিক রাজনীতিতে দলের মধ্যকার কোন্দল রয়েছে, যা ছাপিয়ে তিনি নেতৃত্বের দারুন সমীকরণে দক্ষতা প্রদর্শন করে এখনো শ্রেষ্ঠ নাম। বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করতে চাইবার এমন নামটিও তাই গবেষণায় উঠে এসেছে এবং তিনি জায়গা করে নিতে পেরেছেনও।
সুপ্রিয় পাঠক,
কেএইচএন রিসার্চ টিমের সাথেই থাকুন। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১১টায় শ্রেষ্ঠ ১০০ জনের মধ্য হতে ৭০ হতে ৬৬ নং পর্যন্ত যাওয়া হবে। অর্থাৎ নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। অপেক্ষায় থাকুন।বলাবাহুল্য, দুইটি গবেষণা সম্বলিত প্রকল্পের দুইটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে অচিরেই। কেএইচএন সেক্রেটারিয়েট এর অফিসিয়াল সাইট, ফেসবুক পেইজ ছাড়াও একাধিক জাতীয় দৈনিকে তা প্রকাশ করবার উদ্যোগে যাওয়া হবে। এছাড়াও পুস্তক আকারে আসবে বই বাজারেও।
আপনাদের মতামত এবং কারো সম্পর্কে তথ্য দিতে চাইলে নিম্নলিখিত ই মেইলে পাঠান। যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবেদনকে সমৃদ্ধ করতে আমরা সম্প্রসারণের দিকে যেতেই পারি। বলাবাহুল্য, এই গবেষণাটি চলছে ২০৪০ জন রাজনীতিদের নিয়ে। যাদের মধ্যে সেরা ১০০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.