কেএইচএন রিসার্চ টিমঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে “দল ও দেশের জন্য আদর্শ প্রার্থী, গবেষণা, সম্ভাবনা ও প্রিয় বাংলাদেশ” – শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ পায় ২২ জুলাই ২০১৮। প্রতিবেদনে বলা হয়,
“বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য প্রায় আট মাস ধরে আমাদের ধারাবাহিক উপস্থিতির আজ দশম দিন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনের উপর জরীপ করে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আদর্শ প্রার্থী কারা হতে পারেন তা নিয়ে ব্যতিক্রমি প্রয়াসে থেকেছে বিল্ড বেটার বাংলাদেশ ও কেএইচএন রিসার্চ টিম। ইতোপূর্বে দৈনিক মানবকন্ঠে গেল বছরের ৫ ডিসেম্বর, ২২ ডিসেম্বর, এই বছরের ১৫ জানুয়ারী, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২২ মার্চ, ২২ এপ্রিল, ২২ মে এবং ১০ জুন তারিখে মোট ৭ বার গবেষণা প্রতিবেদন ও ২টি ঘোষণা সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোয় বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত তা উল্লেখকরত আসন ভিত্তিক জরীপের ফলাফল তুলে ধরায় সচেষ্ট থাকা হয়। প্রাথমিকভাবে ২০০ আসনের উপর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে চেয়েছি, রাজনৈতিক ভাবে এই দেশের মানুষ খুব বেশী সচেতন নয় তবে মিছে ও ফিকে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে থাকতে তাঁরা স্বস্তিতে থাকে। সঙ্গত কারণেই এই দেশে প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর না থাকা লক্ষ্যনীয়। কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা নিয়ে রায় দেয়ার মানসেও ঘাটতি রয়েছে। এখানে এমন বড় রাজনৈতিক দল রয়েছে যাদের জনসমর্থন বা জনপ্রিয়তা রয়েছে– অথচ সেই দলটি জনস্বার্থ সংরক্ষনের রাজনীতিটাই করছে না। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার বিভোরে থেকে রাজনৈতিক বিদেশী অপশক্তি, মৌলবাদী শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির এককাট্টা বলয় হয়ে তাঁরা দেশের মধ্যে থাকা একটা বড় রাজনৈতিক জোটও। যদিও সেই জোট এই মুহূর্তে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বিলুপ্তিও হতে পারে যেকোন সময়। তবে এরা তাঁরাই– যারা প্রতিপক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই গ্রহ থেকে হটিয়ে ক্ষমতার মসনদ চায়। অথচ যা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সন্ত্রাস চিন্তা বলার সুযোগ থাকে। তাঁদের আদর্শগত দিক নিয়েও বিড়ম্বনা রয়েছে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে তাঁরা ধারণ করতে ব্যর্থ হয়ে সময়ের সাথে সাথে দলটি বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির সূচনা করতেও পারছে না। তবে এই বলয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৭০/৭২ জনের মত প্রতিনিধিত্বমূলক চরিত্র আছেন যাদের দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে জায়গা হওয়া উচিত। তাঁদের জনপ্রয়িতাও রয়েছে। অন্যান্য আসনগুলোয় তাঁদের অনেকেই জনপ্রিয় কিন্তু দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জনসমর্থনে তাঁদের এই দুষ্টু কৃষ্টিকে মসৃণ না হতে দেয়ার উদ্যোগে থাকা গেলেই বাংলাদেশের পক্ষে রাজনীতিটা করা হল বটে। সে কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বাম বলয়কে তেমন দৃষ্টান্ত রাখার কার্যকরী উদ্যোগে যেতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে রাজনৈতিক দুষ্টু চক্র থেকে বের হয়ে পজিটিভ বিএনপি হিসাবে আবির্ভূত হতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দুষ্টু মতের মানুষগুলোর সমর্থন নিয়ে নয়– বিএনপিকে মূল ধারার রাজনীতির সাথে পরিচিত হওয়াটা জরুরী। জাতীয়তাবাদকে সঙ্গি করে আগামী দিনের রাজনৈতিক সড়কটায় রওনা হয়ে মন্দ সংস্কৃতির আগাছামুক্ত সেই পথচলাকে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিকভাবে শিক্ষিত মানুষগুলো নতুন করে গ্রহণ করতে পারে। তাঁদের প্রতি আস্থা একসময় বাড়তে পারে তাতে। এখন যেভাবে চলছে, তাতে করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি খুব ভাল ফলাফল করবে তা নিয়ে শহুরে পাড়ায় চায়ের স্টল থেকে অন্যত্র আলোচনা থাকলেও মাঠের খবর তা বলে না। বরং নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে ভোটতন্ত্রের রেওয়াজে চলা শাসন ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের দাবী, একটা সময় অনেক কিছুই বদলাবে। আজকের মত করে সব কিছু থাকবেও না। যেভাবে বাংলাদেশ চলছে, চলুক। মাঠে জরীপ করতে যেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্যক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য শোনা গেছে। তাঁর ইমেজ বেড়েছে। তবে তাঁর দল নিয়ে কিছু কিছু ইস্যুতে কট্টর সমালোচনা রয়েছে। একজন শেখ হাসিনাকে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরাও সমীহ করে থাকেন। তাঁকে ‘বিশেষ নেতৃত্ব’ বলে উপমা দিতে দেখা যায়।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলা যায়, দেশের পক্ষে রাজনীতি করার উদ্যোগে যেতে হবে। বিদেশী শক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে মানুষমুখী রাজনীতি আমাদেরকে শক্তিশালী রাষ্ট্র করতে পারে। সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে তবে বাংলাদেশকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষায় অনেক সময় বিশেষ দলের উপর আস্থা রেখে দেশ সেবা করার সুযোগ দেয়ার অভিলাষে যাওয়ার মধ্যেও গণতন্ত্রের বিজয় হয়। কারণ, রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্যেও গণতন্ত্র প্রাণবন্ত হতে পারে। নেতিবাচক চিন্তায় পরিবেষ্টিত থাকা জনগণের সমর্থনকে তাই প্রাধান্য না দিয়ে দেশ বিনির্মাণের রাস্তায় পথিক হওয়ার মধ্যেও দেশপ্রেমের রাজনীতি প্রতিভাত হয়। মনে রাখা দরকার, সবার আগে দেশ।
সারা বিশ্বে ৩০ থেকে ৩৫ রকমের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বড়াই করার মত কিছু নেই। তবে আশার আলোর সন্ধান করতে হবে। গভীর বাস্তবতায় সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয়তা, সংবিধান, বিদেশ নীতি ও শাসন ব্যবস্থা ইস্যুতে ঐক্য হয়ে পড়লে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের মধ্যে উদাহরণ সৃষ্টি করার পর্যায়ে যেতে পারবে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের পর হতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমুল সংস্কার হতে পারে। তারজন্য প্রত্যেকটি দলের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের রাজনীতিক, বিশেষত একজন শেখ হাসিনা ও দুটি বিশেষ বলয়ের তরুণ ও যুব নেতৃত্বের বড়সড় ভুমিকা রাখতে হবে। আমরা সকলেই সু অবগত এই বছরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে নানা ধরণের নাশকতা আগভাগেই হতে পারে। মৌলিক দাবীর ধুলো উঠিয়ে ফলত নকল আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি থাকতে পারে। নির্বাচন বানচাল করার জন্য কৃত্রিম তৎপরতায় থেকে অপউদ্যোগে থাকতে পারে রাজনৈতিক বিশেষ বলয়। মনে করার সুযোগ আছে যে, বিএনপির একটি নেতৃস্থানীয় অংশ নির্বাচনে যেতে চাইবে না। তবে আমরা সকলে আশা করি,সব দলের অংশগ্রহণে দেশে একটা নির্বাচন হোক। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখুক। সারা দেশে জরীপ করতে যেয়ে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আশাহত হয়েছি যে, অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, পেশি শক্তির দাপট রয়েছে, সামাজিক পর্যায়ে সাধারণ জ্ঞানের অভাব, বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে ধারণা কম– এমন অযুত অযুত উদাহরণ রয়েছে। আমরা আগেই বলেছি, প্রত্যেকটি দলের সেরা রাজনীতিক হিসাবে প্রমাণ করতে আমরা ৯ পয়েন্টের উপর কাজ করেছি। জনপ্রিয়তায় ৫ পয়েন্ট, সততা-মেধা-দুরদৃষ্টি- শিক্ষাগত যোগ্যতা/পারিবারিক ঐতিহ্য তে এক পয়েন্ট করে ৪ পয়েন্ট। যিনি বেশী স্কোর করেছেন তাঁকেই আমরা নির্দিষ্ট আসনের সেরা রাজনীতিক বা আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ রাখছি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য। আমরা আরো একবার হাজির হব। আজ দৈনিক মানবকন্ঠ ছাড়াও একাধিক জাতীয় দৈনিকে ৩০০ আসনের জরীপের ফলাফল ঘোষণা করা হল। যেদিন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে আমরা পুনরায় আরো চুলচেরা বিশ্লেষণ ও জরীপ ধরে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত ফলাফল তুলে ধরার প্রাণান্ত উদ্যোগে থাকবো। বেশ কিছু আসনে তখন ঘোষিত নামের পরিবর্তনও হতে পারে। সেদিনেও একাধিক জাতীয় দৈনিকে আমরা তা প্রকাশ করব। ধন্যবাদ তাঁদেরকে। যারা রিসার্চ টিম এর হয়ে স্থায়ী ও খন্ডকালীন দায়িত্ব নিয়ে এমন উদ্যোগে নিয়োজিত ছিলেন ও আছেন। ২০০৪ সাল হতে আজ এই অব্দি দেশের রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, জাতীয় নির্বাচন, জনপ্রতিনিধি ইস্যুতে গবেষণা—- আমাদের প্রধান কর্মীর নির্দেশনায় কেএইচএন রিসার্চ টিম ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরো ভুমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করার সুযোগ আছে। সকলের জন্য শুভ কামনা।”
কেএইচ/গ/৭১৭/০০৯
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.