কামরুল হাসান নাসিম
পূর্বসূরি প্লেটোর একটি বিশেষ উক্তি, প্রেমের পরশে তো সবাই কবি, তোমাকে আলাদা করে দেখার কী আছে! নাসিম বলছেন, জীবনটাকে ব্যাখা করার জন্য ‘প্রেম’ উপযুক্ত অস্ত্রই নয়। কামরুল হাসান নাসিম বলছেন, মায়া ও শারীরিক আকর্ষণ এই দুটি বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে যেয়ে প্রেমও জীবনের ‘যৌগিক’ অনুষঙ্গ কিন্তু, প্রেম ‘মৌলিক’ হাতিয়ার না হতে পারার দরুন দুর্বল চিত্তের কবিবর্গ প্রেমের কবি সেজে ফলত সংস্কৃতি কর্মী হতে পারেনি। কামরুল হাসান নাসিম তাই বলছেন অকপটে, ‘কবি হওয়াটাই অসম্ভব, যদি তার লেখার দায়ে মৃত্যু ঝুঁকি না থাকে।’
পাগলা রাজা বলছেন, পৃথিবীর সকল জনপ্রিয় কথিত কবির সম্বল হলো, বহুদূরে বসবাস করা অন্যের লেখা চালিয়ে দেওয়া কিংবা কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া। অন্যদিকে শাসকশ্রেণির শীর্ষ চরিত্রসমূহদের অনেককেই এই পৃথিবীতে কবি হতে দেখা গেছে। অথচ রাজ্যসভায় কৃষ্টিকে সমুন্নত রাখতে তারা সত্যিকারের কবির জন্য বড় বড় চেয়ার রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যার মাশুলে রাজা-বাদশাহরা কবি হতে চাইলেও হতে পারেননি এবং বহু বছর পর প্রমাণ হয়, তারা দুর্বল শাসকও। তবে চটুল রচনায় গিয়ে ওই রাজারা রমণীমোহন সত্তা হয়ে তথা প্রেমিক হিসেবে বিপরীত লিঙ্গের দেহ লুট করতে পারদর্শী হয়। যখন তাদের স্ত্রী ও রক্ষিতারা তাকে প্রেমের কবি হিসেবে বিবেচনা করে। পাগলা রাজা বলছেন, ‘অধিকাংশরাই প্রতিকবি কিংবা উপকবি। যাদের একমাত্র অস্ত্র প্রেম, শুধু মানুষ গোত্রের জন্য শারীরিক প্রেমের চুলকানি দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাতার মতো করে বলবে, কেমন দিলাম!’
ঈশ্বরমিত্র বলছেন, তুমি তখনই কবি যখন আধ্যাত্মিকতাকে আশ্রয় দিয়ে ঈশ্বর প্রেমকে প্রশ্রয় দিয়ে সত্তা হতে পারছো। অনন্ত পথচলা (মৃত্যুহীন জীবন) নিশ্চিত করতে স্বার্থপর প্রেমী হয়ে ঈশরের প্রেমে পড়ার মধ্যেই তুমি কবি। যদিও তোমার রচনা সমগ্র প্রকাশ করার পরপরই মানব সভ্যতায় ধর্মভিত্তিক সমাজ কিংবা রাষ্ট্র তোমাকে ফাঁসি দেবে কিংবা মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করবে।
প্লেটো প্রকারন্তরে দুর্বলদের কবি হিসেবে মানেননি। আমি বলি, এই গ্রহে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন কবি এসেছিলেন। এদিকে পরিণত সত্তায় জানতে পারলাম, কবি হিসেবে আগেও এসেছিলাম। যার নাম ছিলো নাসিমি। তিনি কবি ছিলেন। তার জন্ম ও মৃত্যু আজারবাইজানে! আমার অপরাপর কাজগুলো শেষ করার ইচ্ছা থাকার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে বিলম্ব করছি। কারণ তা প্রকাশ করার পরপরই এই বিশ্ব আমাকেও হত্যা করার আদেশ দেবে। কিন্তু মহাকাব্যটি বাদ দিয়ে প্রায় এক হাজার কবিতা রচনা করে বসে আছি। কিন্তু পুস্তক আকারে প্রকাশের উদ্যোগে তখনোই যাবো, যখন অন্যান্য কাজগুলো শেষ করতে পারবো। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে সব কিছুই শেষ হতে যাচ্ছে। কবিতাও পেয়ে যাবে সবাই তখন। কখন? ২০২২ সালের শেষভাগে! ডিসেম্বরে!
লেখক ও রাজনীতিবিদ
সুত্রঃ ডেইলি নববার্তা
https://www.amadershomoy.com/bn/2021/10/28/1499405.asp
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.