নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাত্র মাস দেড়েক আগেই এক ভারতীয় জুয়াড়ির দেয়া ‘অনৈতিক’ প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের সাজা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান । এবার ভারতেরই ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী ইতিহাসের চরম প্রতারণা করল সাকিবের সাথে । সবচেয়ে বেশী ভোট পাওয়া স্বত্বেও সাকিবকে তারা বঞ্চিত করেছে ‘বর্ষসেরা’ ক্রিকেটারের পুরস্কার থেকে !
ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট সমর্থক গ্রুপ হচ্ছে ‘ভারত আর্মি’ । এটা অনেকটা ইংল্যান্ডের ‘বার্মি আর্মি’র মতই । প্রতি বছর সমর্থকের ভোটে ভারত-আর্মি নির্বাচন করে ‘বর্ষসেরা ক্রিকেটার’ ।
২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নে ছিলেন সাকিব আল হাসান । সাথে ছিল ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস , অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে ভারত-আর্মির ‘বর্ষসেরা’ ক্রিকেটারের নাম । সেখানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসকে ।
বেন স্টোকসের বিজয়ী ঘোষণায় কোন সমস্যা ছিল না । কারণ ইংলিশ এই অল রাউন্ডার ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছিলেন বড় ভুমিকা । কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে , সমর্থক ভোটের ৮২ শতাংশই পড়েছে সাকিবের নামে। কেন উইলিয়ামসন ৬ এবং স্টিভ স্মিথ পান ৪ ভাগ ভোট। আর বেন স্টোকস পেয়েছেন আট শতাংশ ভোট , অথচ তাকেই কিনা ভারত আর্মি ঘোষণা করেছে বিজয়ী !
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে , আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে যদি ভারত -আর্মি উপেক্ষা করে সাকিবকে ; তবে তাকে কেন মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ? কারণ নিষেধাজ্ঞার পরেই আইসিসি সাকিবকে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ র্যাংকিং থেকে সরিয়ে ফেলেছে । সেটা ভারত-আর্মিও করতে পারত । কিন্তু সেটা না করে প্রকারান্তরে মনোনয়ন দিয়ে বঞ্চিত করার মাধ্যমে অপমানই করল !
ভারত আর্মির এমন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ক্রিকেটভক্তরা। অনেকে এটাকে ইতিহাসের জঘন্যতম প্রতারণা হিসেবে অভিহিত করছেন। ক্ষুব্ধ সমর্থকরা রীতিমতো তোপ দাগছেন গোষ্ঠীটির ওপর। তাদের প্রশ্ন, ভারত আর্মিই যদি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করবে, তা হলে পোলের নামে এই তামাশা করার কী দরকার ছিল?
উল্লেখ্য , ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাটিং এবং বোলিং সব বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন সাকিব। তিনি যে বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফরমেন্সের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে সেটার প্রমান দিয়েছিলেন।
সাকিব ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি হাফসেঞ্চুরিসহ মোট ৬০৬ রান করেছিলেন! ৭৪ ওভার বোলিং করে ৩৬.২৭ গড় এবং ৫.৩৯ ইকোনমিতে ১১ উইকেট শিকার এই বাঁহাতি স্পিনারের৷
এক বিশ্বকাপে অন্তত চারশ রান ও ১০ উইকেট নেবার কীর্তি এর আগে দেখাতে পারেননি বিশ্বের কোনো অলরাউন্ডার৷ সেটি আশির সেই বিখ্যাত চতুষ্টয় কিংবা পরবর্তী সময়ে জয়াসুরিয়া-ক্যালিস-ক্লুজনারদের কেউই না৷ সেখানে সাকিবের এক বিশ্বকাপে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট৷ বিশ্বকাপের রেকর্ডের পাতায় অক্ষয় কালিতেই লেখা হয়ে গেল সাকিবের এ কীর্তি৷
সূত্র-ক্রীড়ালোক
5 Comments
Alex TM
Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.
Alex TM
Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.
Alex TM
Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.